হাফিজুর রহমান শিমুলঃ সাতক্ষীরা জেলার কালিগঞ্জের কালিকাপুরের পানিবন্দী অর্ধশত পরিবার ত্রাণ নয় পানি নিস্কাশনের দাবী জানিয়েছে। ঘুর্ণিঝড় ‘আম্ফান’ এর আঘাতে জেলার আশাশুনি ও শ্যামনগরে পানিবন্দিদের ন্যায় কালিগঞ্জেও ৫০টি পরিবার বর্তমানে মানবেতর জীবন কাটাচ্ছে। নিজ ঘরবাড়ি ফেলে অনেকেই রাস্তার ধারে, স্কুলে কিংবা অন্যের বাড়িতে আশ্রয় নিয়ে দুর্বিসহ সময় পার করছে । শুক্রবার (২৯ মে) সকালে সরেজমিনে দেখাগেছে, ২০ মে থেকে অদ্যবধী উপজেলার কৃষ্ণনগর ইউনিয়নের তালতলা হাট সংলগ্নে থেকে নদীর ধার পর্যন্ত ৫০/৫৫ টি পরিবার ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। তাদের বসতঘর, রান্নাঘর, হাঁস, মুরগী আর গোয়ালঘরসহ গুরুত্বপুর্ণ সম্পদ পানিতে নিমজ্জিত। অনেকের মৎস্যঘের, ক্ষেতের ফসল নদীর পানিতে তলিয়ে বিনষ্ট হয়েছে। ক্ষতি হয়েছে লক্ষ লক্ষ টাকার সম্পদ। আজও তারা নিজ ঘরে ফিরতে পারেনি। তাদের অভিযোগ, নদীর পানিতে প্লাবিত হওয়ার আজ দশদিন হয়ে গেল অথচ কেঊ খোঁজ নেয়নি। পাশে এসে অভয় দিয়ে পানিবন্দী থেকে মুক্ত করার কথা কেউ বলেনি। বেসরকারি ভাবে সাতক্ষীরার জনৈক খলিলুল্লাহ ঝড়ু সাহেব পানিবন্দীদের মাঝে ত্রাণ সামগ্রী দিলেও সরকারী ভাবে অদ্যবধি তারা কিছু পায়নি বলে জানান কালিকাপুর গ্রামের ছামছুর ঢালীর পুত্র হাবিবুল্লাহ, রুহুল আমিন গাজীর স্ত্রী আছিরণ বিবি, আব্দুর রউপ শেখের পুত্র রেজাউল ইসলাম শেখ, ছুরমান গাজীর পুত্র রহমান গাজী, হাজির উদ্দীনের পুত্র রাজগুল বিস্বাস, নুর মোহাম্মাদ সানার পুত্র আশরাফ হোসেন সানা, আবুল কাশেম মোড়লের পুত্র আব্দুর রউপ মোড়ল, মোহাম্মাদ আলী কারিকরের পুত্র শহিদুল ইসলাম কারিকর, মজিদ শেখের পুত্র নজরুল ইসলামসহ অর্ধশত পরিবারের সদস্যরা। এখন তাদের কথা বা দাবী ত্রাণ নয় যেভাবেই হোক পানিবন্দী থেকে মুক্ত করা হোক। স্থানীয় গন্যমান্য ব্যাক্তিরা এ প্রতিনিধিকে জানান, এভাবে যদি পানিবন্ধী হয়ে আরও কিছুদিন গত হয়, তাহলে লোনা পানির কারণে কাঁচা ঘরবাড়ি বিনষ্ট হয়ে যাবে। ভুক্তভোগীরা পানিবাহী রোগে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা অনেক বেশী ।