মহামারীর মধ্যে আন্তঃজেলা, দূরপাল্লা ও নগর পরিবহনের বাস ও মিনিবাসের ভাড়া ৬০ শতাংশ বাড়িয়ে যে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে, তা স্থগিত চেয়ে উকিল নোটিস পাঠানো হয়েছে। সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের সচিব ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ-বিআরটিএর চেয়ারম্যানকে ৪৮ ঘণ্টা সময় বেঁধে দেওয়া হয়েছে।সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মো. মনিরুজ্জামান লিংকন সোমবার সকালে তাদের ইমেইলে নোটিসটি পাঠান। তিনি বলেন, করোনাভাইরাসের কারণে অর্থনৈতিকভাবে মানুষ বিপর্যস্ত। এজন্য সরকার কোটি কোটি মানুষকে ত্রাণের আওতায় এনেছে। তাদের কাজ-জীবিকার সুযোগ করে দেওয়ার জন্য সীমিত পরিসরে কলকারখানাও খুলে দিয়েছে। ঠিক সেই মুহূর্তে বিপর্যস্ত সাধারণ মানুষের উপর বাড়তি ভাড়ার বোঝা চাপানো হচ্ছে।বিশ্ব বাজারে যেখানে তেল বা জ্বালানির দাম সর্বনিম্ন। সে দামের সাথে সমন্বয় করে ভাড়া কমিয়ে জনগণকে সে সুবিধা দেওয়া যেত। অথবা পরিবহন খাতে প্রণোদনা বা ভর্তুকি দিয়ে ভাড়া কমানো যেত। এটা সরকারের দায়িত্ব। কিন্তু তা না করে যাদের ত্রাণের আওতায় আনা হয়েছে সেই বিপর্যস্ত সাধারণ মানুষের উপর বাড়তি ভাড়া চাপিয়ে দেওয়া হয়েছে।