আজ কুষ্টিয়া জেলা শহরে অবস্থিত একটি মেসে করোনাকালীন সময়ে জরুরী স্বাস্থ্যসেবায় নিয়োজিত একজন নিবেদিত প্রাণ নারী কর্মী ও শিক্ষার্থীদের (ছাত্রী) জোড়পূর্বক বাসা থেকে বের করে দেওয়ার অভিযোগে কুষ্টিয়া জেলা প্রশাসন দুটি অভিযান পরিচালনা করে৷ জেলা প্রশাসনের বিজ্ঞ নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট জনাব মাহেরা নাজনীন ও জনাব মোঃ সবুজ হাসান উক্ত অভিযান দুটির নেতৃত্ব দেন৷
স্বাস্থ্যসেবায় নিয়োজিত থাকায় একজন স্বাস্থ্যকর্মীকে বাসায় ঢুকতে বাসার মালিক বাধা প্রদান করে। একই সাথে উক্ত বাসায় মেস করে থাকা প্রায় ত্রিশজন শিক্ষার্থীকে বাসা ছেড়ে দিতে বাসার মালিক চাপ দিয়ে আসছিলো। তাছাড়া বিভিন্ন রুমে শিক্ষার্থীদের জিনিসপত্র আটকে রেখে অযৌক্তিক মেস ভাড়া পরিশোধের জন্য বিভিন্ন চাপ ও দুর্ব্যবহার করে আসছিলো মর্মে অভিযোগের সত্যতা প্রমাণিত হয়।
অবশেষে জেলা প্রশাসনের বিজ্ঞ নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটদ্বয়ের পর পর দুটি অভিযানের পর জেলা প্রশাসনের পক্ষে অনুরোধের ফলে শিক্ষার্থীদের এক মাসের ভাড়া মওকুফ ও অন্যান্য মাসগুলোর ভাড়া ৫০ শতাংশ কম নেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেন। সেই সাথে করোনাকালীন সময়ে জরুরী স্বাস্থ্যসেবায় নিয়োজিত স্বাস্থ্যকর্মী একই পরিমান ভাড়ার আওতায় বাসায় অবস্থান করতে পারবেন বলেও আশ্বাস দেন।
স্বাস্থ্যকর্মী ও শিক্ষার্থীদের সাথে ভবিষ্যতে শালীন ব্যবহার করতে ও যৌক্তিকভাবে মেস ভাড়া গ্রহনের জন্য জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে বিশেষভাবে অনুরোধ জানানো হয়েছে। ভবিষ্যতে জাতির ভবিষ্যত শিক্ষার্থী সমাজ ও করোনাকালীন সময়ে ফ্রন্টলাইন যোদ্ধা স্বাস্থ্যকর্মীদের সাথে যে কোনো ধরনের অমানবিক ও শিষ্ঠাচার বহির্ভূত আচরণ করলে প্রশাসন কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করবে বলে সতর্ক করা হয়েছে।