ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির খবরে বলা হয়, দক্ষিণ কোরিয়াকে ‘শত্রু দেশ’ উল্লেখ করে উত্তর কোরিয়া বলছে, অ্যাকশন মাত্র শুরু হলো।
দক্ষিণ কোরিয়াকে ‘শত্রু’ দেশ হিসেবে উল্লেখ করে উত্তর কোরিয়া জানিয়েছে, প্রথম দফায় দক্ষিণ কোরিয়ার সঙ্গে যোগাযোগ ছিন্ন করছে তারা। এরপর আরও বেশ কিছু পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে বলে জানানো হয়েছে।
আজ মঙ্গলবার থেকে উত্তর কোরিয়ার কায়েসং সীমান্ত শহরের লিয়াজো অফিসে প্রতিদিনের ফোনকলও বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। ২০১৮ সালে দুই দেশের মধ্যে যে উত্তেজনা শুরু হয়েছিল, তা কমাতে এই লিয়াজো অফিস খোলা হয়েছিল।
১৯৫৩ সালে কোরীয় যুদ্ধ শেষ হলেও উত্তর ও দক্ষিণ কোরিয়ার মধ্যে কোনো শান্তিচুক্তি হয়নি। এর ফলে এ দুই দেশের মধ্যে এখনো যুদ্ধাবস্থা বিরাজ করছে।
উত্তর কোরীয় সংবাদ সংস্থা কোরিয়ান সেন্ট্রাল নিউজ এজেন্সি (কেসিএনএ) জানিয়েছে, উত্তর ও দক্ষিণ কোরিয়ার মধ্যে লিয়াজো অফিসের মাধ্যমে যে যোগাযোগ হয়ে আসছিল, তা আজ বেলা ১২ থেকে বন্ধ করা হচ্ছে। এ ছাড়া সামরিক যোগাযোগ চ্যানেলও বন্ধ করা হবে বলে জানানো হয়।
উত্তর কোরিয়া থেকে পালিয়ে যাওয়াদের কর্মকাণ্ড নিয়ে দক্ষিণ কোরিয়ার সঙ্গে নতুন করে বিরোধ বেধেছে উত্তর কোরিয়ার। উত্তর কোরিয়া থেকে পালিয়ে যাওয়া নাগরিকদের দক্ষিণ কোরিয়ার সীমান্তে উত্তরা কোরিয়া বিরোধী লিফলেট ও বার্তা পাঠানো নিয়ে এ বিরোধের সূত্রপাত হয়েছে।
গত সপ্তাহে উত্তর কোরিয়ার সর্বোচ্চ নেতা কিম জং উনের বোন কিম ইয়ো জং হুঁশিয়ারি দিয়েছেন, উত্তর কোরিয়া থেকে পালিয়ে যাওয়া এসব লোকজনের কর্মকাণ্ডে দক্ষিণ কোরিয়া বাধা দিতে না পারলে তাদের চরম মূল্য দিতে হবে। সে সময় দুই দেশের সম্পর্ক উন্নয়নের লিয়াজো অফিস বন্ধ করে দেওয়ারও হুমকি দিয়েছিলেন তিনি।