মোহাম্মদ আল-আমিন,ডেস্ক রিপোর্ট: বিশ্ব অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি আগামী বছর ঘুরে দাঁড়াবে। তবে করোনা মারামারিজনিত কারণে এ বছর যে বিশাল জনগোষ্ঠী অতি দরিদ্র হয়ে পড়বে, আগামী বছরও সে সংখ্যা অপরিবর্তিত থাকবে বলে আশঙ্কা করছে বিশ্বব্যাংক। মঙ্গলবার এক ব্লগ পোস্টে এ সতর্কবার্তা দিয়েছে সংস্থা। বার্তা সংস্থা এএফপির প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।
সোমবার ‘গ্লোবাল ইকোনমিক প্রসপেক্টাস ২০২০’ প্রকাশ করে বিশ্বব্যাংক। এর পরিপ্রেক্ষিতেই ব্লগে এই বিশ্লেষণ দিয়েছে তারা। সংস্থাটি বলছে, গত ৮০ বছরের মন্দে সবচেয়ে বড় মন্দায় পড়েছে বিশ্ব। এই করোনা মহামারির কারণে চলতি বছর ৭ থেকে ১০ কোটি মানুষ চরম দরিদ্র হয়ে পড়বে। মহামারির আগে বিশ্বব্যাংকের ‘চরম দারিদ্র্য’ বলতে ওই মানুষকে বলা হতো, যিনি প্রতি দিন ১ দশমিক ৯০ ডলারের (১৬১ টাকা) চেয়ে কম অর্থে জীবনযাপন করেন। এখন তা কমিয়ে আনা হচ্ছে।
সংস্থাটি বলছে, আগামী বছর বৈশ্বিক প্রবৃদ্ধির হার ৪ শতাংশ হতে পারে। তবে যেসব দেশগুলোতে দরিদ্র জনগোষ্ঠী সবচেয়ে বেশি, তাদের প্রবৃদ্ধি জনসংখ্যার অনুপাতে অতটা বাড়বে না বলে ধারণা করা হচ্ছে। এতে ২০২০ সালে যাঁরা চরম দরিদ্র হয়ে পড়ছেন, ২০২১ সাল পর্যন্ত তাঁদের অবস্থার পরিবর্তন হবে না।
ওই ব্লগ পোস্টে বিশ্বব্যাংক বলছে, বিশ্বের মোট দরিদ্রের এক-তৃতীয়াংশের বেশি বাস করে নাইজেরিয়া, ভারত ও কঙ্গো প্রজাতন্ত্র। এই দেশগুলোর মাথাপিছু মোট জাতীয় উৎপাদনে প্রবৃদ্ধি হবে যথাক্রমে মাইনাস শূন্য দশমিক ৮, ২ দশমিক ১ এবং শূন্য দশমিক ৩ শতাংশ। অন্যদিকে এই দেশগুলোর জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার যথাক্রমে ২ দশমিক ৬ শতাংশ, ১ শতাংশ ও ৩ দশমিক ১ শতাংশ। দরিদ্রের সংখ্যা কমানোর ক্ষেত্রে এটি যথেষ্ট নয়।
বিশ্বব্যাংক সতর্ক করেছে, মহামারির কারণে দরিদ্র জনগোষ্ঠীর সংখ্যা বেশি বাড়বে দক্ষিণ এশিয়ায়, বিশেষ করে ভারতে। বিশ্বব্যাপী ১৭ কোটি মানুষের দৈনিক আয় ৩ দশমিক ২০ ডলারের (২৭১ টাকা) নিচে নেমে আসবে। এই ১৭ কোটির দুই–তৃতীয়াংশ হবে এশিয়ার মানুষ।