কোটা সংস্কারের দাবিতে শিক্ষার্থীদের শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিকে ভিন্ন খাতে নিতে সরকারি এজেন্টদের দিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের বাসভবনে হামলা করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।মঙ্গলবার বিএনপির নয়াপল্টন কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন তিনি।রিজভী আহমেদ বলেন, কোটা সংস্কারের দাবিতে শিক্ষার্থীরা দীর্ঘদিন ধরে আন্দোলন করে আসছে। তাদের দাবি মানার জন্য বারবার সরকারের কাছে আহ্বান জানিয়ে আসছে। কিন্তু তাতে কর্ণপাত করছেনা সরকার। গতকালও আওয়ামী লীগের মন্ত্রী ও নেতারা তাদের সঙ্গে লোক দেখানো বৈঠক করলেন।তারা কি বললেন একমাস পর বিষয়টি দেখবেন, কিন্তু আটক শিক্ষার্থীদের মুক্তি না দিয়ে বললেন, কারা ভাংচুর ও হামলায় জড়িত তাদের পরীক্ষা নিরীক্ষা করে ছাড়া হবে।তিনি বলেন, গুলি, হামলা, ভাংচুরতো করেছে ছাত্রলীগ। গণমাধ্যমে সেসব খবর বেরিয়েছে, ছবি প্রকাশ হয়েছে তাদের ধরছেন না কেন? সাধারণ শিক্ষার্থীরা জানিয়ে দিয়েছে ভিসির বাসভবনে তারা হামলা করেনি। ঢাবির ক্যাম্পাসতো ছাত্রলীগের সশস্ত্র সন্ত্রাসীদের দখলে ছিল। ঢাবি ক্যাম্পাসে এ মুহুর্তে ছাত্রলীগের সশস্ত্র সন্ত্রাসী ছাড়া আর কেউ হামলা, ভাংচুর করার সাহস রাখেনা। এ হামলা পরিকল্পিত।তিনি আরো বলেন, আওয়ামী লীগের একজন কেন্দ্রীয় নেতা ক্যাম্পাসে প্রবেশের দশ মিনিটের মাথায় এই হামলা সংঘটিত হয় এবং বিপুল সংখ্যক পুলিশ উপস্থিত থাকা সত্ত্বেও ভিসির বাসভবনে দুই ঘন্টাব্যাপী হামলা রহস্যজনক। সাধারণ শিক্ষার্থীদের শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি ভিন্নখাতে নিতেই সরকারী এজেন্টদের দিয়ে ভিসির বাসভবনে হামলা হয়েছে কি না এ প্রশ্ন এখন সাধারণ মানুষের মনে ঘুরপাক খাচ্ছে।এ সময় তিনি বলেন, আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত স্বৈরাচারী সরকারের মন্ত্রীদের কত দাম্ভিকতা। মেধাবী শিক্ষার্থীরা কোটা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলন করছে, বারবার তারা সরকারকে তাদের দাবি মেনে নেওয়ার আহবান জানাচ্ছে। আলোচনা করে সুষ্ঠু সমাধানের দাবি জানালেও দীর্ঘদিন মন্ত্রীরাসহ শীর্ষ নেতারা বলে আসছেন, তাদের সাঙ্গে কোন আলোচনা নয়, উল্টো মেধাবী শিক্ষার্থী ও চাকুরী প্রার্থীদের গুলি করতে ও গ্রেপ্তার করতে পুলিশকে নিষ্ঠুর আদেশ দিয়েছে সরকার। প্রথমে আলোচনায় বসতে অস্বীকৃতি জানানো হলেও এখন আবার আলোচনায় বসলেন সেটিও তামাশার। তামাশা এজন্য যে, আলোচনায় বসার পরেও হুমকি দেয়া হচ্ছে ফুটেজ ধরে বেছে বেছে গ্রেপ্তার করা হবে। অর্থাৎ এটি আন্দোলনরত শিক্ষার্থী ও চাকুরী প্রার্থীদেরকে ভয় দেখানোর জন্য হুমকী।এসময় তিনি প্রশ্ন রাখেন, শিক্ষার্থী ও চাকুরী প্রার্থীদের দাবি হলো তারা মেধার ভিত্তিতে চাকুরি চায়, মেধার মুল্যায়ন চায়। তাদের ওপর এমন নিষ্ঠুর আচরণ কেন ?