সাতক্ষীরা প্রতিনিধিঃকালিগঞ্জে দুর্ণীতিবাজ সিদ্দিক মেম্বরের নানান অনিয়ম, দূর্ণীতি, স্বজনপ্রিতি, সরকারি মালামাল আত্মসাত, সন্ত্রাসী কর্মকান্ডসহ পাঁচ বছরে কোটিপতি হওয়ার বিস্তর অভিযোগে মাববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে। সোমবার (২২ জুন) বেলা ১১ টায় ৪ নং ওয়ার্ডের ভুক্তভোগী, সচেতন ব্যাক্তি ও আওয়ামীলীগ নেতাকর্মীদের আয়োজনে মানববন্ধনে বক্তারা বলেন- আমরা একান্ত নিরুপায় হয়ে নিরাপত্তাহীনতায় মাববন্ধননের মাধ্যমে জাতীর বিবেক সাংবাদিকবৃন্দের দারস্থ হয়েছি। আপনাদের লিখনীর মাধ্যমে যেনো দুর্ণীতিবাজ, সন্ত্রাসী, অন্যের অর্থ আত্মসাতকারী সিদ্দিকের মুখোশ খুলে যায় এবং আইনে শাস্তি পায় সে আসায় আমরা বিষ্ণুপুর ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ডের স্থায়ী বাসিন্দা ও ভুক্তভোগীগন এলাকাবাসী অংশগ্রহন করেছি। আপনাদের লিখনীর মাধ্যমে বহুল বিতর্কিত, দুর্ণীতিবাজ ও বহু অপকর্মের হোতা সিদ্দিক মেম্বরকে আইনের আওতায় আনতে পুলিশ ও প্রশাসনের সু-দৃষ্টি কামনা করছি। কালিগঞ্জ উপজেলার ২ নং বিষ্ণুপুর ইউনিয়নের ৪ নং ওয়ার্ডের সদস্য ও শ্রীধরকাঠী গ্রামের মৃত নেফু শেখের পুত্র শিদ্দিকুর রহমান শেখ আমাদের ওয়াডের মেম্বর। আমরা চেয়েছিলাম অন্তত ভাল হয়ে এলাকার জনগনের কল্যাণে কাজ করবে কিন্তু আমরা দেখলাম জনগনের কল্যাণে নয়, মেম্বর নিজেই কোটিপতি হয়েছে। নানান অনিয়ম আর দূর্ণীতি করে তিনি আখের গুছিয়েছে নিজের পরিবারের জন্য। যে সিদ্দিক মেম্বরের ছোট্ট একটি মুদি দোকান করে কোন রকম সংসার চালাতে হিমশিম খেতে হতো, সেখানে আজ তিনি পাঁচ বছরের ব্যবধানে আলিশান বাড়ি, গাড়ী আর নামে বে-নামে হয়েছে অঢেল সম্পদের মালিক । আমরা দুর্ণীতিবাজ এই সিদ্দিক মেম্বরের বিরুদ্ধে সত্য বলার পাশাপাশি তাকে দ্রুত আইনের আওতায় এনে শাস্তির দাবীতে মানববন্ধন করছি। তার বিরুদ্ধে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কর্তৃক দুস্থদের ঘর দেওয়ার নাম করে নগদ টাকা নেওয়া, রেশন কার্ডের মাল আত্মসাত, মৃত ব্যাক্তির ভাতার টাকা উত্তোলন, স্বজনপ্রিতি, সন্ত্রাসী কর্মকান্ড করা, স্বামী ও স্ত্রী উভয়কে কার্ড দেওয়া, প্রকল্পের কাজে অনিয়ম সহ বিভিন্ন চাঞ্চল্যকর অভিযোগ রয়েছে। সে একজন অতি ভয়ঙ্কররুপী, তার বিরুদ্ধে সহজে এলাকার কেহ মুখ খুলতে সাহস পায়না। যখন তখন সন্মানী মানুষের অপদাস্থ করতে মোটেও কুন্ঠিত হয়না। আমরা তার হীন অপরাধ উল্লেখ করে গত ০১/০৬/২০২০ তারিখে কালিগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর আবেদন করেছিলাম। সেকারণেই মেম্বরসহ তার পেটুয়া বাহিনী লাঠি শোঠা নিয়ে ১২/০৬/২০২০ তারিখ সন্ধ্যায় অভিযোগকারীদের বাড়ি বাড়ি যেয়ে অশ্রাভ্য ভাষায় গালিগলাজ করে জীবন নাশের হুমকী দেয় এবং পথেঘাটে একাকী পাইলে হাত পা ভেঙ্গে দেওয়াসহ খুন গুম করবে বলে প্রকাশ্যে আস্ফালন করে। এ বিষয়ে মেম্বরের বিরুদ্ধে কালিগঞ্জ থানায় সাধারণ ডায়েরীর আবেদন করেছেন এলাকার ৪/৫ জন। তারা বর্তমানে মেম্বরের ও তার পেটুয়া বাহিনীর ভয়ে নিরাপত্তাহীনতায় আছে। তারা আশংখা করছে যে, সত্যকথা বলতে এসে সুস্থ শরীরে ভালভাবে পরিবারের মাঝে পৌছাতে পারবো কিনা! তবুও সত্যকথা বলতে হবে।
দুর্ণীতিবাজ সিদ্দিক মেম্বর প্রধানমন্ত্রীর উপহার অসহায় মানুষের ঘর দেওয়ার নাম করে হোগলা গ্রামের মৃত মফিজ সানার পুত্র (ভ্যান চালক) আব্দুল হান্নান টাপালীর নিকট থেকে ৫ হাজার ও রেশন কাড দেওয়ার নামে ২৫ শত টাকা, মোবারক সরদারের পুত্র শহিদ সরদারের নিকট থেকে ৫ হাজার টাকা নেয়। এছাড়াও ছামসুর রহমান পিং আনছার মোড়ল, আসাদুজ্জামান ময়না পিং বাবু শিকারীসহ ১৫/১৬ জনের রেশন কাডের চাউল আত্মসাত করেছে। মেম্বর স্বজনপ্রীতির মাধ্যমে সরকারী নীতিমালা উপেক্ষা করে স্বামী স্ত্রী দুইজনকেই কার্ড দিয়েছে। যেমন আছমত মোড়লের নামে রেশনকাড স্ত্রী হাফিজার নামে শিশুকার্ড, নুরুল সানার নামে রেশনকাড, স্ত্রী শেফালীর নামে শিশুকাড, সাইদুর মোড়লের নামে রেশনকাড স্ত্রীর নামে শিশুকাড। এমনিভাবে অত্র ওয়ার্ডের মধ্যে ১৭/১৮ টি পরিবারে কার্ড দেওয়া হয়েছে। মেম্বরের একান্ত দোসর আব্দুর রউপ মোল্যার (ডিলার) সহযোগিতায় ও যোগসাজসে গরীব ও অসহায়দের সরকারি বরাদ্ধকৃত অর্থ এবং মালামাল আত্মসাত করে আসছে। প্রত্যেকটি অভিযোগের সত্যতা আছে, এলাকায় তদন্ত করলে যথাযথ প্রমান মেলবে। দুর্ণীতিবাজ সিদ্দিক মেম্বরের অতিদ্রুত আইনের আওতায় আনতে সহযোগীতার আহবান জানানো হয়। মানববন্ধনে উপস্থিত থেকে বক্তব্য রাখেন বিষ্ণুপুর ইউনিয়নের ৪ নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা শেখ আব্দুর রশিদ, সেক্রেটারী আবুল বাসার মোড়ল, বিশিষ্ট আওয়ামীলীগ নেতা ইউনুছ আলী মোড়ল, ভুক্তভোগী ছামসুর রহমান মোড়ল, আব্দুল হান্নান টাপালী, রব্বানী টাপালী, সিদ্দিক মোড়ল, আসাদুজ্জামান ময়না, রব্বানী মোড়ল, ও শহিদ প্রমুখ।