হাজিয়া বেবি বিন্তে বাছেদ: ব্রহ্মণবাড়িয়ার নবীনগরে মহামারী করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব এবং রোগীর সংখ্যা দিন দিন বেড়েই চলেছে যার ফলে সরকার পৌরসভার কয়েকটি পাড়াকে রেডজোন ঘোষণা করেছেন। সরকার নির্ধারিত এলাকায় রেডজোন কার্যকর করার জন্য উপজেলা করোনা ভাইরাস প্রতিরোধ কমিটি পৌরসভার মধ্যে জরুরী সেবাসমূহ ব্যতীত সকল প্রকার যানবাহন সীমিত করন এবং ফার্মেসি ও জরুরি পণ্য ব্যতীত সকল দোকানপাট দুপুর দুইটা পর্যন্ত খোলা রাখার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছেন। আজ২৬/০৬/২০২০ শুক্র বার লকডাউন এর প্রথম দিন। উক্ত লকডাউন আদেশ কার্যকরের জন্য রোদ উপেক্ষা করে সকাল থেকে মাঠে নেমে পড়েছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ। সরেজমিনে তদারকির ফলে রাস্তায় যানবাহন সংখ্যা খুব কম ছিল, রোগী ব্যতীত কোনো যানবাহন চলাচল করতে দেখা যায়নি এবং যে সকল পথ পথচারী রাস্তা দিয়ে হেঁটে যাচ্ছিল প্রত্যেকেরই মুখে মাস্ক পড়া ছিল যা সচেতন হওয়ার লক্ষণ। এসময় সহযোগিতা করেন নবীনগর থানার এসআই মোজাম্মেল হক, এসআই নূর সহ সঙ্গীয় ফোর্স। একই সময় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ভ্রাম্যমাণ আদালত ও পরিচালনা করেন। অটো, সিএনজি যাত্রী এবং পথচারীদের সামাজিক দূরত্ব ও স্বাস্থ্যবিধি মেনে না চলার কারণে এবং মোটরসাইকেলে তিনজন করে যাত্রী বহন করায় প্রত্যেককে জরিমানা করা হয়েছে। ভ্রাম্যমাণ আদালত কয়েকটি মামলায় নয় হাজার চারশত টাকা জরিমানা করেন ।এসময় নির্বাহী কর্মকর্তা বলেন নবীনগরে মহামারী করোনা ভাইরাস দিন দিন আক্রান্তের সংখ্যা বেড়েই চলেছে, তাই কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া ছাড়া কোন উপায় নেই। তিনি সকলের উদ্দেশ্যে বলেন আপনারা বিনা প্রয়োজনে ঘরের বাহির হবেননা, একান্ত বিশেষ প্রয়োজনে বাহির হতে হলে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলাচলের জন্য সকলকে অনুরোধ করেন এবং সকলের সহযোগিতা কামনা করেন।