।।উজ্জ্বল রায় (নড়াইল জেলা) প্রতিনিধি।।
যশোর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-২ এর অধীন নড়াইলের কালিয়ায় পল্লী বিদ্যুৎ কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে ভুতুড়ে বিলসহ বিভিন্নভাবে গ্রাহক হয়রানির অভিযোগ পাওয়া গেছে। নতুন সংযোগ পেতে জামানতের টাকা জমা দেয়ার ৬ মাসেও মিলছে না বিদ্যুৎ লাইনের সংযোগ। বরং মাসের পর মাস ঘুরিয়ে গ্রাহক হয়রানি করার অভিযোগ উঠেছে সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে। এ ছাড়া করোনাকালে ভৌতিক বিলের কারণে গ্রাহকরা হয়ে পড়েছেন দিশেহারা। উজ্জ্বল রায় নড়াইল জেলা প্রতিনিধি জানান, দেশের প্রচলিত নিয়ম অনুযায়ী নতুন সংযোগ পাওয়ার ক্ষেত্রে জামানতের টাকা জমা নেয়ার পর ৭ দিনের মধ্যে নতুন সংযোগ স্থাপন বা আবেদনকারীর প্রতিকার পাওয়ার কথা থাকলেও কালিয়া উপজেলার শীতলবাটি গ্রামের নূর আলীর অভিযোগ, তিনি রাইস মিলে বিদ্যুৎ সংযোগ পাওয়ার জন্য গত বছর ২৯ ডিসেম্বর কালিয়া পল্লী বিদ্যুৎ অফিসে ১৮ হাজার ৪০০ টাকা জমা দিয়েছেন। সব কার্যক্রম সঠিকভাবে সম্পন্ন করার পরও রহস্যজনক কারণে তিনি গত ৬ মাসেও বিদ্যুতের সংযোগ পান নি।
উপজেলার কলাবাড়িয়া গ্রামের রাসেল শেখ এর অভিযোগ, বকেয়া বিলের কারণে তার বিদ্যুৎ সংযোগটি বিচ্ছিন্ন করা হয়। বকেয়া বিল পরিশোধ করে তিনি গত ২৫ মার্চ পুণঃসংযোগ স্থাপনের জন্য নির্ধারিত ফিসহ আবেদন করেন। কিন্তু তিন মাস ধরে তদবিরের পর গত ১৮ জুন তার সংযোগটি পুণঃস্থাপন করা হয়েছে।
অপরদিকে, করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাবে কর্মহীন হয়েপড়া মানুষের কাছ থেকে বিদ্যুৎ বিল আদায়ের ক্ষেত্রে গত ফেব্রুয়ারি মাস থেকে সরকার কর্তৃক বিদ্যুৎ বিলের বিলম্ব মাশুল মওকুফ করাসহ বিদ্যুৎ বিল আদায়ে গ্রাহকদের হয়রানি না করার নির্দেশ প্রদান করা হয়। অথচ সরকারের নির্দেশ উপক্ষো করে কালিয়া বিদ্যুৎ অফিস কর্তৃক গত মার্চ মাসের পরিশোধিত বিল মে মাসের বিলের সঙ্গে বকেয়া ও বিলম্ব মাসুলসহ যুক্ত করে গ্রাহকদের মারাত্মক হয়রানি করছেন বলে গ্রাহকদের অভিযোগ রয়েছে। উপজেলার প্রত্যন্ত অঞ্চল থেকে কালিয়ায় এসে ওইসব ভৌতিক বিল সংশোধন করতে গ্রাহকদের সীমাহীন দুর্ভোগে পড়তে হচ্ছে। কালিয়া পল্লী বিদ্যুৎ অফিসের বর্তমান ডিজিএম মোঃ মোমিনুর রহমান বিশ্বাস কালিয়ায় যোগদানের পর থেকে ওইসব অনিয়ম ও গ্রাহক হয়রানি বেড়ে গেছে বলে ভুক্তভোগী গ্রাহকদের অভিযোগ।
এ বিষয়ে কালিয়া পল্লী বিদ্যুৎ কার্যালয়ের ডিজিএম মোঃ মোমিনুর রহমান বিশ্বাস বলেন, ‘২০২১ সালের ডিসেম্বর মাসের মধ্যে সরকারের ঘোষণানুযায়ী কালিয়া উপজেলাকে শতভাগ বিদ্যুতায়ন করা হবে। তবে বিদ্যুৎ সংযোগের জন্য গ্রাহকরা যাবতীয় কাগজপত্র ও টাকা জমা দেয়ার পর ৬ মাস অতিবাহিত হলেও কেন বিদ্যুতের সংযোগ দেয়া হচ্ছে না? এ প্রশ্নের উত্তরে তিনি সন্তোষজনক কোন জবাব দিতে পারেন নি।’
কালিয়া পল্লী বিদ্যুৎ অফিসে দায়িত্বরত কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সব ধরণের অনিয়ম ও হয়রানি বন্ধে গ্রাহকরা সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।