বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগে মাহামুদুল হককে এখনো নিয়োগ দেয়নি বেরোবি কর্তৃপক্ষ। হাইকোর্ট মাহামুদুল হকের জন্য শিক্ষক হিসেবে একটি পদ সংরক্ষণের জন্য ইতোমধ্যে নির্দেশনা দিয়েছেন। কিন্তু সে নির্দেশনা বাস্তবায়ন না করে বিশ্ববিদ্যালয়টিতে গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগে নতুন শিক্ষক নিয়োগের জন্য নতুন বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হয়। মাহমুদুল হককে নিয়োগ না দিয়ে নতুন শিক্ষক নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি দেওয়ায় আদালত অবমাননার অভিযোগ এনে বোরোবি উপাচার্য অধ্যাপক ডক্টর নাজমুল আহসান কলিমউল্লাহ ও রেজিস্ট্রার ইব্রাহিম কবিরের বিরুদ্ধে উকিল নোটিস পাঠিয়েছেন হাইকোর্টের আইনজীবী হাসনাত কাইয়ুম। গত ২৩ এপ্রিল মাহামুদুল হকের পক্ষে আইনজীবী হাসনাত কাইয়ুম ওই নোটিসে গত ৬ এপ্রিল পত্রিকায় প্রকাশিত নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি বাতিলসহ নিয়োগের সকল কার্যক্রম বন্ধ করে নোটিস পাওয়ার সাত দিনের মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে জবাব দেওয়ার অনুরোধ করেছেন। এ সময়ের মধ্যে জানানো না হলে ভিসি ও রেজিস্ট্রারের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার মামলাসহ অন্যান্য আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে তিনি নোটিসে উল্লেখ করেন।
সুপ্রিম কোর্ট মাহামুদুলকে ওই বিভাগে শিক্ষক হিসেবে নিয়োগের জন্য বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দিয়েছেন। হাইকোর্টের রায় বহাল রেখে গত ১২ এপ্রিল বিশ^বিদ্যালয়ের করা লিভ-টু-আপিল (আপিলের অনুমতি) খারিজ করে দিয়েছেন আপিল বিভাগ। গত বছর ১৫ অক্টোবর হাইকোর্ট এক রায়ে মাহামুদুলকে ১৫ দিনের মধ্যে স্থায়ীভাবে নিয়োগ দেওয়ার জন্য নির্দেশ দেন।