সবচেয়ে প্রবীন বিজ্ঞানী তিনি। সত্তুর বছরের কেরিয়ারে তার রয়েছে একশোরও বেশি গবেষণাপত্র। নাম ড. ডেভিড গুডল ৷ চলতি মাসের শুরুতে পা রেখেছেন ১০৪ বছরে। এতগুলো বছর বেঁচে থেকে তিনি এখন ক্লান্ত।
বার্ধক্যে উপনীত হয়েও তেমন কোনও অসুখ–বিসুখ নেই এই বিজ্ঞানীর। তা সত্ত্বেও কোনও আনন্দ নেই ৷ জীবনের সমস্ত আনন্দই যেন ফুরিয়ে গেছে। তাই আর বাঁচতে চান না এই বিজ্ঞানী ৷ সেই কারণে জীবন থেকে মুক্তি চান। তাই স্বেচ্ছামৃত্যুর রাস্তা বেছে নিয়েছেন ডেভিড গুডল ৷ জুন মাসেই মারা যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বর্ষীয়ান এই বিজ্ঞানী।এ জন্য সুইজারল্যান্ডের বাসেলের একটি স্বেচ্ছামৃত্যু এজেন্সির সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হয়েছেন। খুব তাড়াতাড়ি সুইজারল্যান্ড রওনা দেবেন তিনি। স্বেচ্ছায় মৃত্যুবরণ করার জন্য সুইজারল্যান্ডই তার প্রথম পছন্দ ৷অস্ট্রেলিয়ার এবিসি চ্যানেলে এক সাক্ষাৎকারে এই ইকোলজিস্ট বলেন, ‘জীবনে এতগুলো বছর পাওয়ার জন্য আমার অনুশোচনার অন্ত নেই! এখন আমি সুখী নই। মৃত্যু চাই। মৃত্যু আমার জন্য বিশেষ কোনও দুঃখের বিষয় নয়।’অস্ট্রেলিয়ায় স্বেচ্ছামৃত্যুর আইনি স্বীকৃতি নেই৷ সেই কারণেই সুইজারল্যান্ডে গিয়ে মরতে চান তিনি।‘আমার মতো বৃদ্ধ মানুষের জন্য নাগরিকত্বের পাশাপাশি সরকারের পক্ষ থেকে আত্মহত্যা করার অধিকারও দেওয়া উচিত’- বলেন এ বিজ্ঞানী।