রেজাউল ইসলাম: কোন কালে হয়নি ক’ জয়ী একা পুরুষের তরবারি প্ররণা দিয়েছে সাহস যুগিয়েছে বিজয়ী লক্ষী নারী!
তেমনি এক মহীয়সী নারী হলেন বঙ্গমাতা বেগম শেখ ফজিলাতুন্নেসা মুজিব । জাতীর জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমানের সহধর্মিনী ও বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছার ৯০ তম জন্ম বার্ষিকী পিরোজপুরের মঠবাড়িয়া উপজেলা প্রশাসনের সহযোগিতায় এবং উপজেলা মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের উদ্যোগে আজ শনিবার ৮ আগস্ট বেলা ১১ ঘটিকায় উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে সাংবাদিক ইসরাত জাহান মমতাজের সঞ্চালনায় নির্বাহী অফিসার ঊর্মি ভৌমিকের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন উপজেলা চেয়ারম্যান রিয়াজ উদ্দিন আহম্মেদ, ভাইস চেয়ারম্যান আরিফুর রহমান সিফাত, মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা মনিকা আক্তার, মহিউদ্দিন আহম্মেদ মহিলা ডিগ্রি কলেজের প্রভাষক ও উপজেলা মহিলা সংস্থার চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট শাহানাজ পারভীন, মঠবাড়িয়া উপজেলা প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক হারুন-অর-রশিদ, মঠবাড়িয়া প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি আব্দুস সালাম আজাদি, সমবায় অফিসার এমাদুল হক , মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার রফিকুল ইসলাম ভুঁইয়া। সমাপনী বক্তব্যে ঊর্মি ভৌমিক বলেন, স্বাধীনতার মহানায়ক মুজিব থেকে বঙ্গবন্ধু উপাধি অর্জনের পিছনে বঙ্গমাতার ঐকান্তিক অবদান ছিলো বিধায় তিনি আজ জাতির পিতা খেতাবসহ বিশ্বনেতার সারিতে অনির্বান। তিনি বাংলার ফার্ষ্ট লেডি হলেও নিরহঙ্কার, সাদামাটা, জৌলুসমুক্ত জীবনযাপন করেছেন। আজ সমাজের প্রতিটি নারী যদি এ মহীয়সী নারীর চরম এ আত্মত্যাগকে অবলম্বন করে আগামীর পথকে প্রশস্ত করেন, তাহলে এ দেশ আরও দূর্গম কন্টকাকীর্ণ পথ পাড়ি দিতে সক্ষম হবে। পরিশেষে মহিলা অধিদপ্তরের পক্ষ হতে ৬ জন প্রশিক্ষণ প্রাপ্ত দুস্থ মহিলার মাঝে ৬ টি সেলাই মেশিন বিতরণ করে বঙ্গমাতা ও বঙ্গবন্ধুর রূহের মাগফিরাত কামনা করে দোয়া মোনাজাতের মাধ্যমে অনুষ্ঠান সমাপ্ত করা হয়।