কোটা পদ্ধতি বাতিলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জাতীয় সংসদে যে ঘোষণা দিয়েছেন তা বৃহস্পতিবারের মধ্যে প্রজ্ঞাপন আকারে প্রকাশের আলটিমেটাম দিয়েছেন আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা।
বুধবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় লাইব্রেরীর সামনে কোটা সংস্কার আন্দোলনে নেতৃত্ব দেওয়া সংগঠন সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদ “আর নয় কালক্ষেপন, দ্রুত চাই প্রজ্ঞাপন” ব্যানারে শিরোনামে আয়োজিত এক মানববন্ধনে এই হুশিয়ারি দেন সংগঠনটির যুগ্ম আহ্বায়ক ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী নুরুল হক নুর।মানবন্ধনে নুর বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী কোটা বাতিলের ঘোষণা দেয়ার পর ২৭ দিন অতিবাহিত হয়ে গেছে। অথচ এখনো প্রজ্ঞাপন জারি হয়নি। এ নিয়ে সারাদেশের ছাত্রসমাজ ক্ষুব্ধ। ছাত্রসমাজ সবসময় আলোচনার পথ খোলা রেখেছিলো। সরকারের পক্ষ থেকে ছাত্রসমাজের প্রতিনিধি হিসেবে আমাদেরকে যতবার ডাকা হয়েছিলো আমরা গিয়েছি।’তিনি বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণার পর শিক্ষার্থীরা আন্দোলন বন্ধ করে পড়ার টেবিলে ফিরে গেছে। তাদেরকে আবার রাজপথে নামতে বাধ্য করবেন না। বৃহস্পতিবারের মধ্যে যদি প্রজ্ঞাপন জারি করা না হয়, তবে আগামী রবিবার থেকে সারাদেশে ছাত্রসমাজের দাবানল রাজপথ উত্তপ্ত করবে। ছাত্রসমাজ যদি ক্ষেপে যায়, যেকোন অশুভ শক্তিকে দাঁত ভাঙ্গা জবাব দিবে।’যুগ্ম আহ্বায়ক রাশেদ খান বলেন, প্রধানমন্ত্রী কোটা নিয়ে সংসদে যে বক্তব্য দিয়েছেন তা প্রজ্ঞাপন আকারে প্রকাশে বাধা কোথায় আমরা জানি না। সরকার কোটা নিয়ে ভোটের রাজনীতি করতে চাচ্ছে। কোটা পদ্ধতি সংস্কারে সরকার প্রজ্ঞাপন জারি না করা পর্যন্ত রাজপথে আন্দোলন চলবে।সোমবার মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলম জানিয়েছিলেন, সরকারি চাকরিতে বিদ্যমান কোটা পদ্ধতি বাতিল বা সংস্কারের প্রজ্ঞাপনের বিষয়ে কোনো অগ্রগতি নেই।তার এ বক্তব্যের পর মঙ্গলবার সংবাদ সম্মেলন করে আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দেন সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের নেতারা। ঘোষিত কর্মসূচি অনুযায়ী বুধবার সারাদেশের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে মানববন্ধন কর্মসূচি পালিত হচ্ছে।