উজ্জ্বল রায়, নড়াইল জেলা প্রতিনিধিঃ
নানা আয়োজনে নড়াইলে বীরশ্রেষ্ঠ নূর মোহাম্মদ শেখের ৪৯তম শাহাদাতবার্ষিকী পালিত হয়েছে। এ উপলক্ষে শনিবার (৫ সেপ্টেম্বর) সকাল থেকে নূর মোহাম্মদ নগরে কোরআনখানি, স্মৃতিস্তম্ভে পুষ্পমাল্য অর্পণ, পুলিশ কর্তৃক সশস্ত্র সালাম এবং দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন জেলা প্রশাসক আনজুমান আরা, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রিয়াজ আহম্মেদ, মুক্তিযোদ্ধা সাইফুর রহমান হিলু, এস এ মতিন, বীরশ্রেষ্ঠ নূর মোহাম্মদের ছেলে গোলাম মোস্তফা কামাল, বীরশ্রেষ্ঠ নূর মোহাম্মদ ট্রাস্টের সদস্য সচিব আজিজুর রহমান ভূঁইয়াসহ অনেকে। বীরশ্রেষ্ঠ নূর মোহাম্মদ ট্রাস্ট ও জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে এসব অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
মুক্তিযুদ্ধের রণাঙ্গণের সাহসী সন্তান বীরশ্রেষ্ঠ শহীদ ল্যান্স নায়েক নূর মোহাম্মদ শেখ ১৯৭১ সালের ৫ সেপ্টেম্বর যশোর জেলার গোয়ালহাটি গ্রামে শাহাদাতবরণ করেন। এদিন পাকিস্তানি হানাদারবাহিনীকে প্রতিরোধ এবং দলীয় সঙ্গীদের জীবন ও অস্ত্র রক্ষা করতে গিয়ে শহীদ হন নূর মোহাম্মদ। যশোরের শার্শা উপজেলার কাশিপুরে তাকে সমাহিত করা হয়। মুক্তিযুদ্ধে বীরোচিত ভূমিকা ও আত্মত্যাগের স্বীকৃতিস্বরূপ তাকে সর্বোচ্চ রাষ্ট্রীয় সম্মাননা ‘বীরশ্রেষ্ঠ’ খেতাবে ভূষিত করা হয়।
নূর মোহাম্মদ ১৯৩৬ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি নড়াইল সদর উপজেলার চন্ডিবরপুর ইউনিয়নের মহিষখোলা গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। বাবা মোহাম্মদ আমানত শেখ ও মা জেন্নাতুন্নেছা, মতান্তরে জেন্নাতা খানম। বাল্যকালেই বাবা-মাকে হারান তিনি। সপ্তম শ্রেণি পর্যন্ত লেখাপড়া করেছেন। তবে, মতান্তর রয়েছে। মহিষখোলার নাম পরিবর্তন করে ২০০৮ সালের ১৮ মার্চ নূর মোহাম্মদ নগর করা হয়। এরপর উন্নয়নের ছোঁয়ায় বদলে যায় নূর মোহাম্মদ নগর। তার স্মৃতিরক্ষার্থে নূর মোহাম্মদ নগরে নির্মাণ করা হয়েছে ‘বীরশ্রেষ্ঠ শহীদ ল্যান্স নায়েক নূর মোহাম্মদ শেখ গ্রন্থাগার ও স্মৃতি জাদুঘর’ এবং স্মৃতিস্তম্ভ। প্রতিষ্ঠিত হয়েছে বীরশ্রেষ্ঠ নূর মোহাম্মদ মাধ্যমিক বিদ্যালয় এবং মহাবিদ্যালয়সহ অনেক উন্নয়নমূলক কাজ।