মোঃ ফিরোজ হোসাইন :
সকাল থেকে সন্ধ্যা। তীর্থের কাকের মতো অপেক্ষা। দিনশেষে প্রাপ্তির খাতায় কখনো থেকে যায় শূন্যই। আছে অতৃপ্তি-হতাশা, তবুও নিরাশ নন কেউই। পূর্ণ উদ্যমে আবারো ধ্যান। ছিপ আর বড়শি দিয়ে মাছ শিকারিদের গল্প এমনই।
উত্তরবঙ্গের মৎস্য ভান্ডার হিসেবে পরিচিত নওগাঁর আত্রাই উপজেলা। এই উপজেলার নদী-নালা, খাল-বিল ও ফসলের মাঠে থৈ থৈ করছে অথৈয় পানি। যেদিকে চোখ যায় শুধু পানি আর পানি। কিন্তু এবার ৩বারের বন্যায় আত্রাই উপজেলার ৩ শতাধিক পুকুর থেকে মাছ ভেসে গেছে।
সাম্প্রতিক ভারি বর্ষণ ও আত্রাই নদীর বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধের ভাঙন এবং উজান থেকে নেমে আসা ঢলের পানিতে প্রতিটি মাঠ প্লাবিত হয়ে গেছে। এসব খাল-বিলের পানি কমাই এখন মাছ শিকারে মুখরিত হয়ে উঠেছে এলাকার মৎস্যজীবী (জেলে) পরিবারের কর্তারা সহ স্ব স্ব এলাকার তরুণ, যুবক, প্রবীণ ও স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীরাও।
তারা ছিপ বড়শি সহ বিভিন্ন পদ্ধতিতে দিন রাত মাছ শিকার করছেন। আর এ মাছ বিক্রি করে স্বাচ্ছন্দে চলছে তাদের পরিবার আর কেউবা করোনায় স্কুল কলেজ বন্ধ থাকায় এইভাবে পার করছেন সময়।
সরেজমিনে বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা যায়, করোনায় মানুষের কর্মসংস্থান ও আয়ের উৎস কমে যাওয়ার কারণে অধিকাংশ মানুষ বর্ষার পানিতে মাছ শিকারে নেমেছেন।
এ বিষয়ে উপজেলার হাটকালুপাড়া ইউপির দ্বীপচাঁদপুর গ্রামের মোঃ আমিনুল ইসলাম বলেন, মহামারি করোনা ভাইরাসের কারণে কাজ কর্ম বন্ধ থাকায় আপাতত বড়শি দিয়ে মাছ শিকার করে দিন কেটে যাচ্ছে। বন্যার কারণে ডোবায় নালায় বিভিন্ন মাছ ছড়িয়ে পড়েছে। মাছ ধরার আনন্দও অন্য রকম।
এ ব্যাপারে উপজেলার কালিকাপুর ইউনিয়নের সুমন হোসেন বলেন, বন্যার পানি বিভিন্ন জায়গায়ম প্রবেশ করার কারণে এখন সব জায়গায় কম বেশি মাছ শিকার করা যাচ্ছে৷