আব্দুল মজিদ খাঁন মিলন:ঢাকার উপকণ্ঠে অবস্থিত গাজীপুরের উন্নয়নে মহাপরিকল্পনা প্রণয়ন এবং আবাসনের জন্য পরিকল্পনা নিতে ‘গাজীপুর উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ বিল-২০২০’ সংসদে পাস হয়েছে। মঙ্গলবার (৮ সেপ্টেম্বর) গৃহায়ন ও গণপূর্ত প্রতিমন্ত্রী শরীফ আহমেদ বিলটি সংসদে পাসের প্রস্তাব করলে তা কণ্ঠ ভোটে পাস হয়। এর আগে বিলের ওপর দেওয়া জনমত যাচাই, বাছাই কমিটিতে পাঠানো এবং সংশোধনী প্রস্তাবগুলোর নিষ্পত্তি করা হয়।
গত ১৮ ফেব্রুয়ারি বিলটি সংসদে তোলা হয়। পরে সেটি পরীক্ষা করে সংসদে প্রতিবেদন দেওয়ার জন্য গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটিতে পাঠানো হয়। চট্টগ্রাম, খুলনা, রাজশাহী, কক্সবাজার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের মতো করেই গাজীপুরের জন্য এ আইন করা হচ্ছে।
বিলে বলা হয়েছে, ২০ জনকে নিয়ে এই কর্তৃপক্ষ গঠন করা হবে। একজন চেয়ারম্যান, চার জন সার্বক্ষণিক সদস্য, গাজীপুরের জেলা প্রশাসক, বুয়েটের নগর অঞ্চল পরিকল্পনা বিভাগের প্রধান, গণপূর্ত, ভূমি, পরিবেশ এবং বিমান মন্ত্রণালয়ের একজন করে উপসচিব থাকবেন।
এছাড়া গণপূর্ত অধিদফতরের একজন তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী, পুলিশ কমিশনারের একজন প্রতিনিধি, গাজীপুর সিটি করপোরেশনের নির্বাহী কর্মকর্তা, গাজীপুরের গণপূর্ত বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী, সরকার মনোনীত ওই এলাকার একজন নারীসহ তিনজন বিশিষ্ট নাগরিক এবং গাজীপুর শিল্প ও বণিক সমিতির একজন প্রতিনিধি এবং উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের সচিব থাকবেন এই কর্তৃপক্ষে। মনোনীতরা তিন বছর মেয়াদে এই কর্তৃপক্ষের সদস্য হবেন। চেয়ারম্যান ও সার্বক্ষণিক চার জন সদস্যকে সরকার তিন বছরের জন্য নিয়োগ দেবে।
বিলে বলা আছে, পরিকল্পনার বাইরে কেউ জমি ব্যবহার করলে ১০ লাখ টাকা জরিমানা হবে।
বিলের উদ্দেশ্য ও কারণ সম্পর্কে প্রতিমন্ত্রী শরীফ আহমেদ বলেন, ‘বিলটি আইন হিসেবে প্রণয়ন হলে কর্তৃপক্ষের আওতাভুক্ত এলাকায় একটি আধুনিক নগরী প্রতিষ্ঠার স্বার্থে ওই অঞ্চলের সুপরিকল্পিত উন্নয়ন নিশ্চিত করা যাবে।’