মঠবাড়িয়া পিরোজপুর প্রতিনিধি।
পিরোজপুরের মঠবাড়িয়া উপজেলার ৬নং টিকিকাটা ইউনিয়নের পশ্চিম ভেচকী গ্রামের আব্দুল মালেক শিকদারের পরিবারকে নানা ভাবে হয়রানীর প্রতিবাদে মঠবাড়িয়া উপজেলা প্রেসক্লাবে আজ ১৫ সেপ্টেম্বর মঙ্গলবার সকাল ১০টায় সাংবাদিক সম্মেলন করেন। এসময় লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন আব্দুল মালেক শিকদারের ছেলে মোঃ আলাউদ্দিন।লিখিত বক্তব্যে বলেন, এলাকার কিছু চিহ্নিত সন্ত্রাসী পূর্ব শত্রুতার জেরে পরিকল্পিতভাবে গত ৬ সেপ্টেম্বর আমাদের বসত ঘরে আগুন ধরিয়ে দেয় এসময় বারান্দায় থাকা ১লক্ষ টাকা দামের ১টি গরু ও ডাকাতের ভয়ে গরু রাখার ঐ ঘরের চালায় গুজে রাখা ৩ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা পুরে যায়। এঘটনায় জড়িত থাকায় সাব্বির, মারুফ, রাজিব, জুয়েল, লিখন, কামাল, হুমায়ুন, আরিফ ও জারিফ কে আসামী করে মঠবাড়িয়া থানায় একটি মামলা দায়ের করি। মামলা করার পরে আসামীরা আরও বেপরোয়া হয়ে নানা হুমকি ধামকি দিয়ে আসছে। এমনকি পরিবারসহ সবাইকে দিনে দুপুরে জবাই খালে ফেলে দিয়ে ঘর বাড়ী দখলেরও হুমকি দিচ্ছে।আসামীদের কয়েকজন আন্তজেলা ডাকাত দলের সদস্য তাদের বিরুদ্ধে একাধিক হত্যা ও ডাকাতি মামলা রয়েছে যার কারণে এলাকার মানুষ ভয়ে তাদের বিরুদ্ধে মুখ খুলতে সাহস পাচ্ছে না। কে বা কাহার আশ্রয় প্রশ্রয় পেয়ে তারা এত অপকর্ম করেও প্রকাশ্যে বুক ফুলিয়ে হাটার সাহস পায় এটা আমাদের বোধগম্য নয়। তারা এতটাই বেপরোয়া যে, যার ঘরে সুন্দরী মেয়ে আছে সে বাবা শংকার মধ্যে দিনাতিপাত করছে। তারা গভীর রাতে মানুষের বাড়ী লুট পাট ভাংচুর, বাবার সামনে থেকে স্কুল পড়–য়া মেয়েকে অপহরণ, টাকার বিনিময়ে জমি দখল, টাকার বিনিময়ে মারধর, কাঙ্খিত চাঁদা না দিলে মিথ্যা অপবাদে মারধর করার কারণে পুরো এলাকা তাদের কাছে জিম্মী অবস্থায় রয়েছে।এলাকার মানুষের একটাই কথা এদের হাত থেকে কবে মুক্তি পাব। সংবাদ সম্মেলনে তারা আরও বলেন, আসামী সাব্বিরের নামে ৫টি এফ আই আর মামলা আছে এবং ছাত্রলীগের অফিস ও বঙ্গবন্ধুর ছবি ভাংচুর করা ও রাতের আধারে মাদ্রাসা ছাত্রীকে জিম্মী করে অপহরণ করার মামলা আছে, আসামী মারুফের বিরুদ্ধে ডাকাতি ও হত্যা মামলা রয়েছে। আসামী রাজিব মাদক মামলার আসামী। আসামী জুয়েল শিশু ধর্ষন মামলায় জেল খেটেছে। উপরোল্লিখিত সকল আসামী মাদক ব্যবসার সাথে জড়িত । সংবাদ সম্মেলনে আরও বলেন, ১নং আসামী সাব্বিরের মা পারুল বেগম গত ১৪ সেপ্টেম্বর মঠবাড়িয়া রিপোটার্স ইউনিটি নামে একটি ক্লাবে সাংবাদিক সম্মেলন করে আমাদের গরু ও টাকা পুড়ে যাওয়ার মামলাটিকে মিথ্যা বলে অপপ্রচার করেন আমরা এর তীব্র প্রতিবাদ জানাই। তারা আমার বাবাকে স্বাধীনতা বিরোধী বলে অপপ্রচার করেন যা একেবারে ভিত্তিহীন ও বানোয়াট। স্বাধীনতার সময় আমার বাবার জন্মই হয়নি। কিন্তু আমার বাবা আওয়ামীলীগের একজন একনিষ্ঠ কর্মী। তারা সংবাদ সম্মেলনে আমাদের পরিবারের বিরুদ্ধে মিথ্যা বানোয়াট ভিত্তিহীন বক্তব্য দিয়ে আমাদের মান সম্মানের উপর আঘাত করেছে, অথচ আমার পিতাসহ আমাদের পরিবারের কারো বিরুদ্ধে থানায় কোন মামলা এমনকি থানায় কোন জিডিও নেই। আমরা একটি নিরীহ পরিবার আমরা যাতে ওই সন্ত্রাসীদের হাত থেকে নিরাপদ থাকতে পারি সেজন্য প্রশাসনকে উক্ত আসামীদের দ্রুত গ্রেফতারের দাবী জানাচ্ছি।সংবাদ সম্মেলনে গরু ব্যবসায়ী মালেক শিকদার ও তার স্ত্রী মরিয়ম বেগম আসামীদের গ্রেফতারের দাবীতে কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন। এ বিষয়ে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ( এসঅাই) মোঃ জাফর এর সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, ৩২ হাজার ৫’ শ পোড়া টাকা জব্দ করা হয়েছে। অাসামীরা এলাকায় না থাকায় তাদের গ্রেপ্তার করা যাচ্ছে না। অাসামীদের গ্রেপ্তারে পুলিশী তৎপরতা অব্যাহত রয়েছে।