ওই কেন্দ্রের সহকারী প্রিসাইডিং অফিসার নুরুল ইসলাম জানান, ইকবালনগর স্কুল কেন্দ্রে সাতটি বুথ ছিল। বেলা ১১টার দিকে স্কুলের একাডেমিক ভবন-২ সাত নম্বর বুথে ১৫-২০ জনের একটি দল দোতলায় উঠে আসে। তার কাছ থেকে ব্যালট বই ছিনিয়ে নিয়ে সিল মেরে বাক্সে ঢুকিয়ে দেয়। এরপর তিনি বিষয়টি কেন্দ্রের প্রিসাইডিং অফিসারকে বিষয়টি জানান। তিনি ঘটনাস্থল পরির্দশনের পর তাৎক্ষণিকভাবে কেন্দ্রের ভোটগ্রহণ বাতিল করে দেন।
রিটার্নিং অফিসার ইউনুস আলী বলেছেন, প্রিসাইডিং অফিসারের সঙ্গে কথা বলে ওই কেন্দ্রের ভোট বাতিল করা হয়েছে। ভোট বাতিলের আগ পর্যন্ত ২০ শতাংশ ভোট পড়েছে। এ কেন্দ্রে ভোটার সংখ্যা ২১২৪।
তিনি আরও জানান, ব্যালট বাক্সে ভরা ব্যালটের মধ্যে কাউন্সিলর (সংরক্ষিত) প্রার্থী লিভানা পারভীনের মগ মার্কা এবং সাধারণ কাউন্সিলর প্রার্থী মইনুল ইসলামের ঠেলাগাড়ির সিল পাওয়া গেছে। কোনও মেয়র প্রার্থীর জন্য ভোট ব্যালট দেওয়া হয়েছে কিনা জানা যায়নি।
এর আগে বিএনপি’র পোলিং এজেন্টদের বের করে দেওয়া, ব্যালট পেপার কেড়ে নেওয়া এবং মারধরের অভিযোগ পাওয়া গেছে। বিএনপি মনোনীত মেয়র পদপ্রার্থী নজরুল ইসলাম মঞ্জুর নেতাকর্মীদের অভিযোগ, ‘তারা চাপে আছেন। ভয়ে গলায় কার্ড ঝুলাতে সাহস পাচ্ছেন না।’
সকালে রহিমা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে ভোটদান শেষে বিএনপি প্রার্থী মঞ্জু একই অভিযোগ করেন। তিনি সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমার এজেন্টদের বিভিন্ন কেন্দ্র থেকে বের করে দেওয়ার খবর পেয়েছি। এছাড়া বিভিন্ন জায়গায় প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করা হচ্ছে। খবর পেয়েছি ২২, ২৫, ২৯, ৩০ ও ৩১ নম্বর ওয়ার্ডের কোনও কেন্দ্রেই বিএনপি’র এজেন্ট নেই। তাদের বের করে দেওয়া হয়েছে। ৩০টি সেন্টারের খবর পেয়েছি, যেখান থেকে আমার পোলিং এজেন্টদের বের করে দেওয়া হয়েছে। এসব কেন্দ্রে আমার এজেন্টদের প্রবেশের ব্যবস্থা করতে নির্বাচন কমিশনের কাছে অনুরোধ জানাই।’ তবে তিনি নির্বাচনের শেষ সময় পর্যন্ত অপেক্ষা করবেন বলে জানিয়েছেন।