আশরাফুল ইসলাম গাইবান্ধা ::
বিজ্ঞ আদালতে চলমান বাটোয়ারা মামলা চলাকালে গাইবান্ধা জেলার পলাশবাড়ী উপজেলার পারবামুনিয়া মৌজার জেএল নং -১৫০ দাগ নং ১০৬০, ১০৬১, ১০৬২ , ১০৬৩,১০৬৯,১০৮৩,১২২৪,১২২৬,১২২৭,১২৩১,১২৬১ উক্ত ভিটাজমিতে সেকেন্ড চান্স এডুকেশন (পিইডিপি ৪) উপানুষ্ঠানিক শিক্ষা ব্যুরো প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রনালয় কর্তৃক পরিচালিত স্কুলঘরসহ ,পকুর, বাশ ঝাড়,গাছের বাগান ,কবরস্থান নিয়ে মোট ৭৮ শতাংশ নালিসী জমি নিয়ে বিগত ৩৫ বছর হলে পত্রিক সূত্রে এ গ্রামের মৃত কাজেম উদ্দিনের পুত্র সুলতান প্রধান মালিকানা স্বর্তে ভোগ দখল থাকার পরে বর্তমান সময়ে উক্ত জমির ৫০ শতাংশ নিজ মালিকানা দাবী করে তাহার আপন ছোট বোন ভারটিয়া লোকজন নিয়ে গত ৭ অক্টোবর ২০২০ ইং রোজ বুধবার ভোরে উক্ত স্কুল ঘরের তালা ভেঙ্গে প্রবেশ করে জোড় পূর্বক দখল করিয়া অবশিষ্ট জমিতে টিনের বেড়া দিয়ে ঘিরে নিয়েছে।
এঘটনায় জোড় পূর্বক দখলের পায়তার করার আগেও ফাড়ি থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করার পরেও এবং জোড় পূর্বক দখল করার পরে পলাশবাড়ী থানায় সুলতান প্রধান বাদী হয়ে অভিযোগ করেও কোন প্রতিকার হয়নি । বরং জোড় পূর্বক দখলকারীরা স্থায়ী দখল করতে সেখানে টিনের বেড়ার পাশাপাশি ইটে সিমেন্ট দিয়ে প্রাচীর নির্মাণ ও পাকা ঘর নির্মাণের পায়তারা চালিয়ে যাচ্ছেন।
অত্র শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষিকা শাহিদা বেগম বলেন , করোনা কালে আমাদের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটি বন্ধ রয়েছে । আমার আমাদের স্কুলের ঘরটি সুলতান প্রধানের নিকট হতে ভাড়া গ্রহন করে তাকে ভাড়ার টাকা প্রদান করে আসছি । বর্তমান সময়ে তার আপন বোন ও তাদের লোকজন উক্ত জমির মালিকানা দাবী করে দখল করছেন । আমাদের স্কুলে থাকা মালামাল আমাদের বুঝিয়ে দিয়েছেন।
স্কুল ঘর দখলের বিষয়ে জানার চেষ্ঠা করলে করোনা কালিন সময়ে স্কুলটি বন্ধ থাকায় স্কুল পরিচালনায় সংশ্লিষ্টদের সাথে এ বিষয়ে কোন কথা বলা সম্ভব হয়নি । তবে ৩৫ বছর হলো পত্রিক সূত্রে ভোগদখলকারী সুলতান প্রধান জানান ,৫ বছরের জন্য চুক্তিপত্র মোতবেক উক্ত ঘর আমি ভাড়া দিয়েছি। করোনা কালিন সময়ে স্কুলটি বন্ধ থাকায় দখলকারীরা উক্ত স্কুল ঘরের তালা ভেঙ্গে স্কুল ঘরটিতে অনাধিকার প্রবেশ করে দখল করেছে । তিনি আরো বলেন উক্ত জমি নিয়ে গাইবান্ধা বিজ্ঞ আদালতে গত ২৫-৮-২০২০ ইং তারিখে ৪৯/২০২০ মামলাটি দায়ে করা হয় । এ মামলা চলাকালে গত ৭ অক্টোবর বুধবার সকাল ৭ টার সময় উক্ত জমিতে অনাধিকার প্রবেশ করে দখল করে টিনের বেড়া দিয়ে ঘিরে নেয় । এঘটনায় থানা অভিযোগ করেও কোন প্রতিকার পাই নাই । বর্তমান সময়ে দখলকারীরা ইটের প্রাচীর ও ঘর উত্তোলনের পায়তারসহ আমার পকুরের চাষকৃত মাছ ও আমার রোপনকৃত গাছ কর্তনের পায়তারা করছেন। এদিকে এ বিষয়ে দখলকারী গং এর সাথে যোগাযোগ করে তাদের কোন মন্তব্য পাওয়া সম্ভব হয়নি।
এ ঘটনাস্থলে যাওয়ায় পর পলাশবাড়ী থানা এসআই মানিক রানা কাছে এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি জানান, যেহেতু উক্ত জমি নিয়ে বিজ্ঞ আদালতে মামলা চলমান সেহেতু উক্ত স্থানে শান্তি শৃংখলা বজায় রাখতে উভয় পক্ষকে নিয়ে আলোচনা করে চলমান দ্বন্দ কোলহ সমাধানের চেষ্ঠা করা হবে । ভোক্ত ভোগী সূত্রে আরো জানা যায় এর আগে পলাশবাড়ী থানার অফিসার ইনচার্জ মাসুদুর রহমান উক্ত স্থানে গিয়ে উভয় পক্ষ কে শান্তি শৃংখলা বজায় রাখার জন্য নির্দেশ প্রদান করার পরেও দখলকারীরা উক্ত স্থানে পাকা অবকাঠামো উত্তোলনের চেষ্ঠা চালিয়ে যাচ্ছেন তারা সেখানে ইট নিয়ে এসে রেখেছেন ।
এবিষয়ে থানা অফিসার ইনর্চাজ মাসুদদুর রহমান জানান, এঘটনাটির বিষয়ে অভিযোগ পেয়ে সরেজমিনে গিয়ে উভয় পক্ষকে শান্তি শৃংখলা বাজায় রাখার নির্দেশ প্রদান করি। এ বিষয়টি নিয়ে সরেজমিন তদন্ত পূর্বক প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে ।