মোছাঃ তাসলিমা খাতুন (২৫), পিতা-মোঃ আকবর আলী শেখ, গ্রাম-মুসলিমপাড়া, থানা ও জেলা-চুয়াডাঙ্গা এর সাথে গত ২৫.০৬.২০১৪ খ্রিঃ মোঃ কামরুজ্জামান জনি (৩০), পিতা-মোঃ আকবর, সাং-সিএন্ডবি পাড়া, থানা ও জেলা-চুয়াডাঙ্গা এর ইসলামী শরিয়া মোতাবেক বিবাহ হয়। তাদের সংসার জীবনে জান্নাতুল নামের ৪ বছরের একটি ফুটফুটে কন্যা সন্তান জন্ম গ্রহন করে। কিছুদিন পূর্বে কামরুজ্জামান পরকিয়ায় জড়িত সন্দেহে তাদের মধ্যে বিরোধ দেখা দেয়। সংসারে চলমান বিরোধ সংঘাতে রুপ নেয়। এমন পর্যায়ে তাসলিমা খাতুন তার পিতার বাড়ীতে অবস্থান করতে বাধ্য হয়।
এমতাবস্থায় মোছাঃ তাসলিমা খাতুন তার ০৪ বছরের সন্তান ও নিজের অসহায়ত্ব থেকে রক্ষা পেতে পুলিশ সুপার, চুয়াডাঙ্গার নিকট একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। পুলিশ সুপার, চুয়াডাঙ্গা মহোদয় উক্ত অভিযোগটি তার কার্যালয়ে অবস্থিত এবং নিজে উদ্বোধনকৃত “উইমেন সাপোর্ট সেন্টার” এ কর্মরত নারী এএসআই (নিরস্ত্র)/মিতা রানী বিশ্বাস’কে দিলে তিনি উভয় পক্ষকে পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে হাজির করেন। উইমেন সাপোর্ট সেন্টারের মাধ্যমে পুলিশ সুপার, চুয়াডাঙ্গা জনাব মোঃ জাহিদুল ইসলাম এর প্রত্যক্ষ মধ্যস্থতায় তাদের মধ্যে চলমান ভুল বুঝাবুঝির অবসান হয়। এসময় মোঃ কামরুজ্জামান জনি ও মোছাঃ তাসলিমা দম্পতি পূর্বের ন্যায় সংসার করতে সম্মত হয়। ফলে পুলিশ সুপার, চুয়াডাঙ্গা মোঃ জাহিদুল ইসলাম এর হস্তক্ষেপে তাসলিমা খাতুন ফিরে পেল তার সুখের সংসার এবং তাদের শিশু সন্তান ফিরে পেল বাবা ও মায়ের আদর স্নেহ।