উজ্জ্বল রায়, নড়াইল জেলা প্রতিনিধিঃ
নড়াইল সদর উপজেলার সলুয়া গ্রামের পাট চাষি বাচ্চু মোল্লা বলেন, জুন ও জুলাই মাসে অতিরিক্ত বৃষ্টি হয়। যার কারণে পাটের অনেক চারা মরে যায়। অবশিষ্ট চারাগুলো স্বাভাবিকভাবে বাড়তে পারেনি। ফলে উৎপাদন কম হয়েছে। অবশ্য অন্য বছরের তুলনায় এ বছর বেশি জমিতে পাট চাষ হয়েছে। বাজারে প্রথম দিকে দুই হাজার টাকায় প্রতি মণ পাট বিক্রি হলেও এখন ভালো মানের পাট তিন হাজার টাকায় বিক্রি হচ্ছে। পাটের এ দাম অব্যাহত থাকলে আগামীতে আরো বেশি জমিতে পাট চাষ হবে লোহাগড়া উপজেলার সরুশুনা গ্রামের মেহেদী শেখ বলেন, এক সময় পাট চাষ করে উৎপাদন খরচই উঠতো না। এখন সুদিন ফিরে এসেছে। এই করোনাকালে পাটের বেশ ভালো দাম পেয়েছি। সরকারিভাবে প্রতি মণ পাটের দাম তিন হাজার টাকা নির্ধারণ করে দিলে পাটের সোনালী দিন টিকে থাকবে। নড়াইলের পাটের চাহিদা সারাদেশে রয়েছে। এ বছর পাটের উৎপাদন কম হওয়ায় চাহিদা মোতাবেক পাট কিনতে পারিনি।
উৎপাদন কম হয়েছে। অবশ্য অন্য বছরের তুলনায় এ বছর বেশি জমিতে পাট চাষ হয়েছে। বাজারে প্রথম দিকে দুই হাজার টাকায় প্রতি মণ পাট বিক্রি হলেও এখন ভালো মানের পাট তিন হাজার টাকায় বিক্রি হচ্ছে। পাটের এ দাম অব্যাহত থাকলে আগামীতে আরো বেশি জমিতে পাট চাষ হবে। লোহাগড়া উপজেলার সরুশুনা গ্রামের মেহেদী শেখ বলেন, এক সময় পাট চাষ করে উৎপাদন খরচই উঠতো না। এখন সুদিন ফিরে এসেছে। এই করোনাকালে পাটের বেশ ভালো দাম পেয়েছি। সরকারিভাবে প্রতি মণ পাটের দাম তিন হাজার টাকা নির্ধারণ করে দিলে পাটের সোনালী দিন টিকে থাকবে। দেশে সোনালী আঁশ খ্যাত পাট উৎপাদনে চতুর্থ অবস্থানে দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের জেলা নড়াইল। পাট চাষের জন্য এ জেলার মাটি খুবই উপযোগী। খুলনা বিভাগের মধ্যে এখানেই সবচেয়ে উন্নত মানের পাট উৎপাদন হয়। এ বছর সুদিন ফিরেছে নড়াইলের পাট চাষিদের। ভালো দাম পেয়ে হাসি ফুটেছে তাদের মুখে। বর্তমানে মান অনুযায়ী প্রতি মণ পাট তিন হাজার টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।
জেলা কৃষি বিভাগ বলছে, এ বছর লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বেশি জমিতে পাট চাষ হয়েছে। তবে চাষিদের ভাষ্যমতে, অতিবৃষ্টির কারণে পাট উৎপাদন কম হয়েছে। আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে উৎপাদন আরো বেশি হতো। জেলা কৃষি বিভাগ থেকে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, ২০২০-২১ অর্থবছরে নড়াইলে ২১ হাজার ৯১০ হেক্টর জমিতে পাট উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ছিলো। সেখানে চাষ হয়েছে ২২ হাজার ২৭৫ হেক্টর জমিতে। উৎপাদন হয়েছে দুই লাখ ৫৫ হাজার ৩১৫ বেল পাট। গত অর্থবছরে (২০১৯-২০) এ জেলায় পাট চাষ হয় ২০ হাজার ৯৬৫ হেক্টর জমিতে। উৎপাদন হয় দুই লাখ ৩০ হাজার ৪৫০ বেল পাট। ব্রাহ্মণডাঙ্গা বাজারের পাট ব্যবসায়ী লাবলু মোল্লা বলেন, নড়াইলের পাটের চাহিদা সারাদেশে রয়েছে। এ বছর পাটের উৎপাদন কম হওয়ায় চাহিদা মোতাবেক পাট কিনতে পারিনি। বিগত বছর গুলোতে ১৫০০-২৩০০ টাকা দাম উঠলেও এ বছর প্রতি মণ পাট তিন হাজার টাকায় কিনতে হচ্ছে। পাটের মানও বেশ ভালো। বলে জানান তিনি। নলদী বাজারের পাট ব্যবসায়ী শাহিনুজ্জামান বলেন, নড়াইলের মধ্যে নলদী, নোয়াগ্রাম ইউপি ও পার্শ্ববর্তী উঁচু এলাকায় উৎপাদিত পাটের মান অনেক ভালো। এসব এলাকার পাটচাষিরা সর্বোচ্চ দাম পেয়ে থাকে। এ বছর সর্বোচ্চ তিন হাজার টাকা পর্যন্ত দাম উঠেছে। এসব পাট যশোর, খুলনা, চট্টগ্রামসহ দেশের বিভিন্ন এলাকার মিলগুলোতে সরবরাহ করা হয়। অতিবৃষ্টির কারণে পাটের উৎপাদন কম হওয়ায় চাহিদা অনুযায়ী সরবরাহ করা যাচ্ছে না।