উজ্জ্বল রায়, নড়াইল জেলা প্রতিনিধিঃ মৃত্যুর সাথে সাথেই আমাদের নাম হয়ে যায় লাশ। লোকে বলবে “লাশের” পা টা একটু সোজা করেন। লাশকে” একটু ডান দিকে রাখলে ভালো হয়। লাশকে” ধীরে ধীরে নাড়ুন। লাশের মাথাটা ঢেকে দিন। লাশের” পাশে ভীড় কমান।
লাশকে” শশ্মানে নিয়ে যাওয়ার সময় হইছে।
আপনি নেতা, মন্ত্রী, রাজা-মহারাজা হলেও
লাশ আবার পথের ভিক্ষুক হলেও সেদিন লাশ।
সেই করুন মুহুর্তে, সেদিন কেউ আর আপনার সেই জড় জাগতিক দেয়া ডাক নাম ধরে ডাকবেন না। ডাকবেন না ম্যাডাম বা স্যার বলে!
সকল আপনজন কিংবা শুভাকাঙ্ক্ষী বলবে শুধুই একটা লাশ। অনেকে আবার চেহারাটাও দেখবে না! রাতে ভয় পাবে বলে। যদিও আপনার জীবিত অবস্থায় আপন রুপ
ছিল অতুলনীয়। সত্যিই কতইনা কষ্টের হবে সেই সময়টা, যখন আপনার আপনজনই আপনাকে কাঁধে নিয়ে আপন ঘর থেকে আপনাকে বের করে দিবে। নিয়ে যাবে বাড়ীর পাশে অন্ধকার একটা যায়গার দিকে। যেই জায়গার পাশ দিয়ে হয়তো আপনি হাজারো বার বন্ধুদের নিয়ে হাসতে হাসতে পথ চলে ছিলেন। কতই না অসহায় হবেন সেই দিনটা! আমরা সেদিন দেখব, শুনব, কিন্তু কিছুই বলার থাকবে না।
যমদূতেরা নিয়ে যাবে যমালয়ে, অসহ্য মৃত্যু যন্ত্রনায় ছটফট করবো। কেননা, এই মায়াভরা দুঃখালয়ে সমস্ত কিছুই মিথ্যা, কিন্তু মৃত্যু চির সত্য, যা কখনোই আমরা কেউ খন্ডাতাে পারবো না। তাহলে কেন আমরা এখনো এমন মূল্যবান সময় নষ্ট করতেছি। বল বল বলরে সবাই কৃষ্ণ ভজিবার তরে সংসারে আসিনু মিছে মায়ায় বদ্ধ হয়ে বৃক্ষসম হইনু। শুন মিশ্র কলিযুগে নাহি তপ যজ্ঞ যেইজন ভজে কৃষ্ণ তার মহা ভাজ্ঞ। তাই, আসুন আমরা কৃষ্ণভাবনাময় জীবনযাপন করি, যাতে করে আর আমাদের জন্ম, মৃত্যু, জড়া, ব্যাধি চক্রে আবদ্ধ হতে না হয়, এবং প্রকৃত স্বত্বা কৃষ্ণকে ভালোবাসি। অবশ্যই তিনি আমাদের ভালবাসার প্রতিদান দিবেন।