কিশোর গোস্বামী নামে এক যুবকের বিরুদ্ধে। জানা গেছে, পরিচয়ের সূত্র ধরে ধর্ষণ করে সেই ভিডিও ছড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দিয়ে ভিকটিমকে নিয়মিত ধর্ষণ করে কিশোর। অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়লে জোর করে গর্ভপাত করায় এবং ১০ লাখ টাকা যৌতুক না দিলে বিয়ের স্বীকৃতিও দেবে না বলে জানায় কিশোর। এসব অভিযোগে কিশোরের বিরুদ্ধে ধর্ষণ মামলা করলেও পুলিশ এখনও কোনও ব্যবস্থা নেয়নি। মঙ্গলবার (১০ নভেম্বর) ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাগর-রুনি মিলনায়তনে আসামিদের শাস্তি চেয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব জানান ভুক্তভোগী ওই নারী।শ্রীমঙ্গল থেকে সংবাদ সম্মেলন করতে আসা এই নারী বলেন, ‘প্রতারণার বিয়ের আনুমানিক আট মাস পর আমি অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়ি। কিশোর গোস্বামী আমাকে গর্ভপাত করতে বলে। গর্ভপাত না করলে যৌতুক হিসেবে ১০ লাখ টাকা দিতে হবে, না হলে স্ত্রীর স্বীকৃতি দেবে না বলে জানায়। এমন পরিস্থিতি জোর করে ওষুধ খাইয়ে আমার গর্ভপাত করায়। তারপর সে আস্তে আস্তে আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করে।’
তিনি আরও বলেন, ‘এ বিষয়ে দুই পরিবার স্থানীয় চেয়ারম্যান-মেম্বারকে নিয়ে সমঝোতার চেষ্টা করলে তার পরিবারের লোকজন টাকাপয়সা দিয়ে আপস করতে চায়। আমাকে বাদ দিয়ে নতুন সংসার করতে চায়। এ বিষয়ে অস্বীকৃতি জানালে আমার পরিবারকে বিভিন্নভাবে ভয়ভীতি দেখায় তারা। পরে আমি শ্রীমঙ্গল থানায় কিশোর গোস্বামীসহ চার জনের বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা করি। বিবাদীরা প্রভাবশালী হওয়ায় এখন পর্যন্ত কোনও আসামিকে গ্রেফতার করেনি পুলিশ।’ভিকটিম বলেন, ‘আমি একজন শিক্ষার্থী। আমার সঙ্গে প্রতারণা করে বিয়ের কথা বলে দীর্ঘদিন ধর্ষণ করা হয়। আমার পেটের সন্তান নষ্ট করা হয়। এখন সে স্ত্রীর স্বীকৃতি দিতে চাচ্ছে না। আমি এই ঘটনায় স্বামী হিসেবে নয়, একজন ধর্ষকের বিচার চাই। পাশাপাশি এ মামলাটির তদন্ত পিবিআইর কাছে হস্তান্তর করার অনুরোধ জানাচ্ছি।’
সংবাদ সম্মেলনে ভুক্তভোগী নারীর মা-বাবা ও তার পরিবারের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।