টঙ্গীতে বিভিন্ন কারখানায় শিশু শ্রমসহ নানা প্রমান্য সংবাদ প্রকাশ করার জের ধরে বিএমএসএফের বৃহত্তর টঙ্গী থানার আহবায়ক ও এশিয়ান টেলিভিশনের ক্রাইম রিপোর্টার নজরুল ইসলামের ওপর সন্ত্রাসি হামলা চালিয়ে অফিস ভাংচুর ও লুটপাট করা হয়েছে।
এ ঘটনায় উল্টো মান্নান দেওয়ান নামে জনৈক ব্যক্তি সাংবাদিক নজরুল সহ ১৪ জনের বিরুদ্ধে দেয়া মামলাও গ্রহন করেছে পুলিশ। নজরুলের পক্ষ থেকেও অভিযোগ দাখিল করা হলেও এফআইআর হয়নি। নজরুলের বৃদ্ধ পিতা এবং স্থানীয় সাংবাদিকরা মামলা দায়েরের জন্য ঘুরছে।
টঙ্গী পূর্ব থানার ওসি তদন্ত দেলোয়ার হোসেন জানিয়েছেন, সাংবাদিক নজরুল বিভিন্ন সময় কারখানা মালিকদের কাছে চাঁদা দাবি করে আসছিল। গতকাল কারখানা মালিকরা মিলে বৈঠক করেছিলো। এমন সময় সাংবাদিক নজরুল তাদের ওপর হামলা চালায়। পুলিশ খবর পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে নজরুলকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে।
বৃহস্পতিবার গভীর রাতে এই ঘটনা ঘটে। উল্টো পুলিশ সাংবাদিক নজরুল ইসলামকে আটক দেখিয়ে থানায় রেখেছেন। বিএমএসএফ’র গাজিপুর জেলা কমিটির নেতা হামিদ খান জানিয়েছেন কারখানা কর্তৃপক্ষ এবং সাংবাদিকের সাথে ধাওয়া-হামলার ঘটনায় এলাকায় থমথমে পরিস্থিতির রয়েছে।
স্থানীয় বৃহত্তর টঙ্গী বিএমএসএফের সদস্য সচিব মোস্তাক খান জানিয়েছেন, গভীর রাতে দূর্বৃত্তরা সাংবাদিকের অফিসে হামলা চালায় এবং লুটপাট চালায়।
শুক্রবার দুপুরে গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে বাংলাদেশ মফস্বল সাংবাদিক ফোরামের পক্ষ থেকে কেন্দ্রীয় আহবায়ক শহীদুল ইসলাম পাইলট ও সদস্য সচিব আহমেদ আবু জাফর, আহবায়ক কমিটির সদস্য কবির নেওয়াজ রাজ তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে অনতিবিলম্বে দোষী হামলা ও লুটপাটকারীদের আইনের আওতায় আনারও দাবি করেন।
পুলিশ কারখানা মালিকদের পক্ষ নিয়ে একজন সাংবাদিকের লেখনির বিরুদ্ধে অবস্থান নেয়াটা কতটা অযৌক্তিক এটাই তার প্রমান। অবিলম্বে বিএমএসএফের পক্ষ থেকে সাংবাদিক নজরুলের মুক্তি দাবি করা হয়।