আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইবুনালের তদন্ত সংস্থার সমন্বয়ক ও #সাবেক_আইজিপি বীর মুক্তিযোদ্ধা #আব্দুল_হান্নান_খানের প্রথম নামাজে জানাযা রাজারবাগ পুলিশ লাইন্সে অনুষ্ঠিত হয়। রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় সম্মান জানিয়ে শ্রদ্ধাঞ্জলি জ্ঞাপন করেন পুলিশ প্রধান সম্মানিত ইন্সপেক্টর জেনারেল অব পুলিশ। এছাড়া শ্রদ্ধা নিবেদন করেন ডিএমপির কমিশনার, বাংলাদেশ পুলিশ সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকসহ পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ, সরকারের প্রাক্তন সিনিয়র সচিব সাজ্জাদুল হাসান, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইবুনালের তদন্ত সংস্থা ও প্রসিকিউসনের সদস্যবৃন্দ এবং বিভিন্ন স্তরের সুধীজন ও শুভানুধ্যায়ীমণ্ডলী।
বাংলাদেশের #মহামান্য_রাষ্ট্রপতি এক শোকবার্তায় বলেন, “আব্দুল হান্নান খান জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হত্যাকাণ্ড, জেল হত্যা ও যুদ্ধাপরাধীদের বিচারে গঠিত আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের প্রধান তদন্ত কর্মকর্তা হিসাবে প্রয়োজনীয় সাক্ষ্য-প্রমাণ ও দলিলপত্র সংগ্রহ ও উপস্থাপনের মাধ্যমে এ সমস্ত মামলার কার্যক্রমে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছেন।”
বাংলাদেশের #মাননীয়_প্রধানমন্ত্রী এক শোকবার্তায় বলেছেন, “যুদ্ধাপরাধীদের বিচারে গঠিত আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থার প্রধান সমন্বয়ক হিসেবেও তিনি সততা ও সাহসিকতার সাথে দায়িত্ব পালন করেছেন।” এছাড়া তিনি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হত্যা মামলা এবং জেল হত্যা মামলার তদন্তে সমন্বয়ক হিসেবে আব্দুল হান্নান খানের নিষ্ঠা ও দক্ষতার সঙ্গে দায়িত্ব পালনের কথা ‘শ্রদ্ধার সাথে’ স্মরণ করেছেন।
বাংলাদেশ পুলিশ প্রধান সম্মানিত #ইন্সপেক্টর_জেনারেল অব পুলিশ এক শোকবার্তায় বলেন, “জনাব আব্দুল হান্নান খান ছিলেন একজন সাহসী ও নীতিবান ব্যক্তিত্ব। তিনি অত্যন্ত যোগ্যতা, দক্ষতা ও সাহসীকতার সাথে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হত্যা মামলা, জেল হত্যা মামলা এবং একাত্তরের মানবতাবিরোধী অপরাধ মামলার তদন্ত কার্যক্রম পরিচালনার করেছেন। এক্ষেত্রে অনন্য অবদানের জন্য তিনি আজীবন স্মরণীয় হয়ে থাকবেন। একজন দক্ষ পুলিশ অফিসার হিসেবেও জ্ঞান ও অভিজ্ঞতায় তিনি ছিলেন ঋদ্ধ ।”
মরহুমের রুহের মাগফিরাত কামনা করছি এবং শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানাচ্ছি।