শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৮:৪৯ অপরাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম:
ভূমিমন্ত্রীর সাথে আলোচনা করলেন তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্র গণপূর্তমন্ত্রীর সাথে ইউএনডিপি’র আবাসিক প্রতিনিধির সৌজন্য সাক্ষাৎ জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবেলায় প্রয়োজনীয় অর্থ পেতে সরকার বাংলাদেশ জলবায়ু উন্নয়ন অংশীদারিত্ব গঠন করবে। – পরিবেশমন্ত্রী সাবের চৌধুরী চলচ্চিত্র ও টেলিভিশন খাতে বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে পারস্পরিক সহযোগিতা ও অভিজ্ঞতা বিনিময় করা হবে -তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী নতুন প্রজন্মের মাঝে স্বাধীনতার ঘোষণাপত্রের গুরুত্ব ও তাৎপর্য তুলে ধরার আহ্বান জানান মহিলা ও শিশু বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী। কালিগঞ্জে প্রাণিসম্পদ প্রদর্শনী ও সেবা সপ্তাহের উদ্বোধন করলেন আতাউল হক দোলন এমপি Jolpore.com অনলাইন বুক রিভিউ প্রতিযোগিতা পরীমনির বিরুদ্ধে অভিযোগের সত্যতা পেয়েছে পিবিআই  এথেন্স সম্মেলন : দায়িত্বশীল ও টেকসই সমুদ্র ব্যবস্থাপনায় সম্মিলিত প্রয়াসের আহ্বান পররাষ্ট্রমন্ত্রীর ২২ এপ্রিল থেকে শুরু হচ্ছে ৪ দিনের ন্যাপ এক্সপো, উদ্বোধন করবেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী। -পরিবেশমন্ত্রী সাবের চৌধুরী

বাংলাদেশে সিংহভাগ ডাক্তার-নার্সদের চাকরি কালীন পেশাগত দক্ষতা বৃদ্ধির সুযোগ নেই বললেই চলে

  • আপডেট টাইম : রবিবার, ৬ ডিসেম্বর, ২০২০, ৬.০৬ পিএম
  • ২০৭ বার পঠিত

 

সোহাগ আরেফিন: দেশে চিকিৎসক, নার্স এবং অন্য স্বাস্থ্যকর্মীদের বিভিন্ন প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা থাকলেও তা একেবারেই মান সম্পন্ন নয়, প্রশিক্ষণের সময়কালও কম। স্বাস্থ্য পেশায় কর্মরতদের জন্য নিজ নিজ ক্যারিয়ার ঠিক করতে কোন চাকরিকালীন প্রশিক্ষণ প্রটোকল নেই যার মাধ্যমে তাদের পদায়ন হবে কিনা বা পদোন্নতি কিভাবে হবে তা নিরূপণ করা যেতে পারে। যার ফলে উদাহরণস্বরূপ, অনেক চিকিৎসক কখনোই পদোন্নতিপ্রাপ্ত হন না অথবা কাউকে কাউকে এমন জায়গায় পদায়ন করা হয়, যেখানে কাজ করার পর্যাপ্ত দক্ষতা তাদের নেই। বাংলাদেশে চিকিৎসা শিক্ষার মান এখন সর্বকালের সর্বনিম্ন। আগেকার শিক্ষকদের প্রশিক্ষণের মানের তুলনায় বর্তমান শিক্ষকরা নিম্নমানের। ‘লার্নিং এনভায়রনমেন্ট’ও অনুপস্থিত। শিক্ষককে খুশি করে, মুখস্থবিদ্যার মাধ্যমেই আজকাল অনেক মেডিকেল কলেজ থেকেই ডিগ্রী পাওয়া যায়, যা দিয়ে বেশিদূর যাওয়া সম্ভব নয়। অনেকেই সামাজিক মর্যাদা বাড়াতে ডাক্তারি ডিগ্রী কিনতে চান। ইন-সার্ভিস ট্রেনিং বা চাকুরীকালীন পেশাগত দক্ষতা বাড়াতে স্ট্র‍্যাটেজিক প্ল্যান গ্রহণ করতে হবে। কমিউনিকেশন স্কিল, বিহেভিয়ারেল সায়েন্স এবং এথিকস এর প্রশিক্ষণ চিকিৎসকদের অগ্রাধিকার ভিত্তিতে দিতে হবে।সমন্বিত স্বাস্থ্যসেবার জন্য মাল্টি প্রফেশনাল ট্রেনিং প্রয়োজন। (০৬ ডিসেম্বর) স্বাস্থ্য ব্যবস্থা উন্নয়ন ফোরাম আয়োজিত ‘ইন সার্ভিস ট্রেনিং ফর হেলথ প্রফেশনালস ইন বাংলাদেশ: চ্যালেঞ্জেস এন্ড অপরচুনিটিস’ শীর্ষক ওয়েবিনারে বক্তারা এই মত জানান।

এতে অতিথি হিসেবে আলোচনায় অংশ নেন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার দক্ষিণ–পূর্ব এশিয়া অঞ্চলের সাবেক উপদেষ্টা ডা. মোজাহেরুল হক, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের স্বাস্থ্য ও জনশক্তি উন্নয়নের লাইন ডিরেক্টর, এডিবি অর্থায়নে কোভিড-১৯ প্রজেক্টের প্রজেক্ট ডিরেক্টর ডা. মো. নাজমুল ইসলাম এবং কানাডা থেকে ইউনিভার্সিটি অফ টরন্টোর ডালা লানা স্কুল অফ পাবলিক হেলথ এর সহকারী অধ্যাপক ড. সফি ভূইয়া।

কম্বোডিয়ার রাজধানী নমপেন থেকে অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন বিশ্ব ব্যাংকের সিনিয়র হেলথ স্পেশালিস্ট এবং স্বাস্থ্য ব্যবস্থা উন্নয়ন ফোরামের প্রতিষ্ঠাতা ড. জিয়াউদ্দিন হায়দার। স্বাস্থ্য ব্যবস্থা উন্নয়ন ফোরাম নিয়মিতভাবে সাপ্তাহিক এই আয়োজন করে আসছে।

ডা. নাজমুল বলেন, সদ্য বিসিএস পাশ করা চিকিৎসকদের প্রত্যন্ত অঞ্চলে পাঠানো হলেও চাকরিকালীন সময়ে কোন বিশেষ ট্রেনিং এর ব্যবস্থা থাকে না। কিছুদিন চাকরির পর তাদের ছোট ছোট কিছু ট্রেনিং এ আহবান করা হলেও সেসব জায়গায়তেও রয়েছে ভীষণ প্রতিযোগিতা। সবাইকে প্রশিক্ষণ দেয়ার স্থান সংকুলান হয় না হাসপাতালগুলোর৷ এই প্রশিক্ষণগুলোকে খুব সুপারভাইজড বলা হলেও, প্রথমদিকের কয়েকটি মেডিকেল কলেজ ছাড়া বাকিগুলোতে শিক্ষক স্বল্পতা রয়েছে। নার্সিং এর ক্ষেত্রেও বিভিন্ন প্রশিক্ষণ ব্যবস্থা থাকলেও তা একেবারে মানসম্পন্ন নয়, প্রশিক্ষণের সময়কালও কম।

স্বাস্থ্য ব্যবস্থা উন্নয়ন ফোরামকে এরকম একটি অনুষ্ঠান নিয়মিতভাবে আয়োজন করার জন্য ধন্যবাদ জানিয়ে ডা. মোজাহেরুল বলেন, বাংলাদেশে চিকিৎসা শিক্ষার মান এখন সর্বকালের সর্বনিম্নে। বাংলাদেশের মতো দেশে মান নিয়ন্ত্রণহীন এতো বেশি মেডিকেল কলেজের প্রয়োজন রয়েছে কিনা সেটা বড় প্রশ্ন। আগেকার শিক্ষকদের প্রশিক্ষণের মানের তুলনায় বর্তমান শিক্ষকরা খুব নিম্নমানের। চিকিৎসা সেবার মান বাড়াতে হলে চিকিৎসকদের প্রশিক্ষণের মানও বাড়াতে হবে৷ শিক্ষকদের কাজ শিক্ষার্থীদের প্রশিক্ষণ দেয়া নয়, তাদের ভবিষ্যতের জন্য প্রস্তুত করা যেনো তারা নিজেরাই শিখতে পারে। কিন্তু বাংলাদেশে এখন ‘লার্নিং এনভায়রনমেন্ট’ অনুপস্থিত। লাইব্রেরিতে শিক্ষার্থীরা যা খুঁজে তা পাচ্ছে না। কোনো মেডিকেল কলেজেই পর্যাপ্ত স্কীলড ল্যাব নেই| বিশ্বায়নের এই যুগে দেশের চিকিৎসকরা কিভাবে বিদেশে গিয়েও প্রতিযোগিতা করতে পারেন সেকথা মাথায় রেখে মেডিকেল এডুকেশন, প্রশিক্ষণ এসব কিছু করতে হবে।

কানাডা থাকলেও নিজ দেশ নিয়ে কথা বলতে চান এবং বিজয়ের মাসে সেই সুযোগ করে দেয়ায় স্বাস্থ্য ব্যবস্থা উন্নয়ন ফোরামকে ধন্যবাদ জানান আবেগাপ্লুত ড. সফি। তিনি বলেন, কোন চিকিৎসক, নার্স বা অন্য যে কোন স্বাস্থ্যকর্মীর জন্য তার ডিগ্রীটাই বড় কথা নয়। ডা. মোজাহেরুলের সাথে একাত্মতা পোষণ করে তিনিও বলেন, শিক্ষককে খুশি করে, মুখস্থবিদ্যার মাধ্যমেই আজকাল ডিগ্রী পাওয়া যায়, যা দিয়ে বেশিদূর যাওয়া সম্ভব নয়। মেধার চর্চা করতে হবে৷ অনেকেই আজকাল সামাজিক মর্যাদা বাড়াতে ডাক্তারি ডিগ্রী কিনতে চান। কানাডায় মেডিকেল স্কুলে পড়ার আগে প্রি-মেডিকেলে পড়ে যোগ্যতা অর্জন করতে হয়। এরপর পাশ করেও প্রতিযোগিতামূলক লাইস্যান্সিং পরীক্ষায় (স্বাধীন প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে) অংশ নিতে হয়। চাকরিতে প্রবেশের আগে দুবছর রেসিডেন্সি করতে হয়, বাংলাদেশে যা এক বছর। দেশে ইন সার্ভিস ট্রেনিং বা দক্ষতা বাড়াতে স্ট্র‍্যাটেজিক প্ল্যান গ্রহণ করতে হবে।

ডা. মোজাহেরুল বলেন, স্বাস্থ্য অবকাঠামোর দিক থেকে বাংলাদেশকে একটি আদর্শ রাষ্ট্র বলা চলে। কিন্তু একটি কার্যকর উপজেলা হেলথ কমপ্লেক্স, একটি ইউনিয়ন হেলথ সেন্টার, একটি কমিউনিটি হেলথ ক্লিনিক খুঁজে পাওয়া দুষ্কর। রোগী আছে, কিন্তু তার জন্য কোন শয্যা নেই এরকম বাংলাদেশ ছাড়া পৃথিবীর অন্য কোন দেশের রাজধানীতে হয়তো খুঁজে পাওয়া যাবে না। কমিউনিকেশন স্কিল, বিহেভিয়ারেল সায়েন্স এবং এথিকস এই তিনের প্রশিক্ষণ চিকিৎসকদের অগ্রাধিকার ভিত্তিতে দিতে হবে। আর সমন্বিত স্বাস্থ্যসেবার জন্য মাল্টি প্রফেশনাল ট্রেনিং অবশ্যই দিতে হবে।

ড. সফি বাংলাদেশের নবীন চিকিৎসকদের উদ্দেশ্যে বলেন, শুধু মুখস্থবিদ্যার উপর নির্ভর করে বসে থাকলে চলবে না। নিজের দক্ষতা বাড়াতে হবে। ডেথ সার্টিফিকেট লেখার মতো দক্ষতাও আজকাল দেখা যায়না।

দেশে চিকিৎসক, নার্স এবং অন্য স্বাস্থ্যকর্মীদের মাঝে বিরাজমান সমন্বয়হীনতা দূর করার জন্য ‘বিশেষায়িত কোর্স’ এর আয়োজন করা যেতে পারে বলে মন্তব্য করেন ডা. নাজমুল, যেখানে স্বাস্থ্য ব্যবস্থার অন্তর্গত বিভিন্ন পেশার লোকজন একসাথে থাকবেন। দেশে স্বাস্থ্য খাতে সক্ষমতা আগের চেয়ে বাড়লেও তা একেবারেই মানসম্পন্ন নয় । করোনা সেটা চোখে আঙ্গুল দিয়ে দেখিয়েছে৷

দয়া করে নিউজটি শেয়ার করুন

এই ক্যাটাগরীর আরো খবর

পুরাতন খবর

SatSunMonTueWedThuFri
  12345
20212223242526
27282930   
       
     12
24252627282930
       
2930     
       
    123
       
    123
25262728   
       
     12
31      
   1234
262728    
       
  12345
2728     
       
   1234
       
     12
31      
1234567
891011121314
15161718192021
2930     
       
    123
11121314151617
       
  12345
20212223242526
27282930   
       
      1
2345678
23242526272829
3031     
      1
       
293031    
       
     12
10111213141516
       
  12345
       
2930     
       
    123
18192021222324
25262728293031
       
28293031   
       
      1
16171819202122
30      
   1234
       
14151617181920
282930    
       
     12
31      
     12
3456789
10111213141516
17181920212223
       
© All rights reserved © MKProtidin.Com
Theme Developed BY ThemesBazar.Com