হাফিজুর রহমান শিমুলঃ একটি ইউনিয়ন পরিষদের সকল উন্নয়নের ক্ষমতার মালিক স্থাণীয় ইউপি চেয়ারম্যানগন। স্থানীয় সরকারের যাবতীয় কার্যক্রম তিনিই দেখাশুনা করেন। অধিকাংশ প্রতিনিধিরা ক্ষমতা হাতে পাওয়ার পর সব ধরণের প্রতিশ্রুতির কথা ভুলে যান। সেই সময় কঠিন হয়ে দাঁড়ায় তাদের বিভিন্ন কর্মকান্ডে জনগণের আস্থা ও বিশ্বাস অর্জনে। আর মানুষের জন্য সুবিচার প্রতিষ্ঠা তো ভাবাই যায় না। চেয়ারম্যান, মেম্বারদের ক্ষেত্রে এটি একটি কঠিনতর অধ্যায় বিচারকের চেয়ারে বসে সুবিচার প্রতিষ্ঠা করা। সকল অধ্যায় পেরিয়ে স্থানীয় জনগণের কাছে শ্রেষ্ঠ ও জননন্দিত চেয়ারম্যানে হিসেবে পরিচিতি লাভ করেছেন সাতক্ষীরা জেলার কালিগঞ্জ উপজেলার ৬-নং নলতা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আজিজুর রহমান পাড়। ইতিমধ্যে জেলা জুড়ে তার সততা ও দক্ষতার পরিচয় ফুটে উঠেছে। এই জননন্দিত চেয়ারম্যান আজিজুর রহমান দায়িত্ব গ্রহনের পর কাজ কর্মে সাধারণ মানুষ ও প্রশাসনের নজর কেড়েছে। খোঁজ নিয়ে জানা যায়, সরকারের বিভিন্ন দপ্তর থেকে এলাকার উন্নয়নে স্থানীয় সরকারের মাধ্যমে এ পর্যন্ত পরিষদে যত বাজেট এসেছে, তার সকল অর্থ যথার্থভাবে কাজে বাস্তবায়ন করেছেন তিনি। শুধু তাই না, সরকারি বাজেট ছাড়াও বহু উন্নয়নমূলক কাজে নিজের অর্থ দিয়ে তিনি কাজ করে নজির রেখেছেন। এমনকি তিনি নিজের বেতন ভাতা তিনি এতিম, দুস্থ, অসহায় ব্যাক্তি ও শিক্ষার্থীদের মাঝে বিলিয়ে দিচ্ছেন। নিজ ইউনিয়ন পরিষদকে তিনি নিজ অর্থায়নে ডিজিটাল লাইজড করেছেন। এলাকায় মাদক নির্মুল, বাল্যবিবাহ প্রতিরোধ, নারী নির্যাতন, জমিজমা সংক্রান্ত সকল বিরোধ, কলোহ ইত্যাদি দক্ষতার সাথে সমাধান করে দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে। মানুষের কঠিন বিপদে জীবন বাজী রেখে পাশে দাঁড়িয়েছেন। ঘর্ণিঝড়, বুলবুলি, ফনি ও আম্পানের মত ঝড়ে লন্ডভন্ড ক্ষতিগ্রস্ত ইউনিয়নে নিজ পকেট থেকে সাহার্য্য সহযোগীতা করেছেন। মহাবিপদ চলাকালেও তিনি দিনরাত বিরামহীন ভাবে গ্রামে গ্রামে ঘুরে মানুষের সুবিধা অসুবিধা দেখেছেন। সারা বিশ্বের মত করোনা ভাইরাস যখন বাংলাদেশকে বিপর্যস্ত করে তুলেছিল সে সময় চেয়ারম্যান আজিজুর রহমান পাড় ঘুরে ঘুরে অসহায় মানুষের মাঝে দিন রাত খাদ্য সহায়তার পাশা-পাশি স্বাস্থ্য সুরক্ষা সামগ্রী পৌঁছে দিয়েছেন। সচেতনতা ও স্বাস্থ্যবিধি মানতে সকলকে উদ্বুর্দ্ধ করেছেন। জলাবদ্ধতা নিরসন, মাক্স ব্যবহার, জনগণের স্বাস্থ্যবিধি ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে কঠিন পদক্ষেপ নিয়েছেন। এছাড়া ডেঙ্গু নিধন, বজর্য ব্যবস্থাপনা, ন্যায় বিচার ও জনকল্যাণে গুরুত্বপুর্ণ কার্যক্রম ও পরিকল্পনা গ্রহন করে জেলার মধ্যে ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি করেছেন। করোনা ক্লান্তিকালে জীবন বাজী রেখে এলাকার মানুষকে নিরাপদ রাখতে নানামূখি পদক্ষেপ গ্রহন করায় নন্দিত ও আলোচিত হয়েছেন চেয়ারম্যান আজিজুর রহমান। সামাজিক পরিবর্তনে সাধারণ মানুষের আশা আকাংঙ্খা পূরণে যে প্রতিষ্ঠানটি সবচেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে সেটা হলো ইউনিয়ন পরিষদ। যদি আজিজুর রহমানের মত জনপ্রতিনিধিরা তাদের স্বীয় দায়িত্ব করতো সত্যিকার অর্থে বাংলাদেশ দ্রুত সময়ের মধ্যে ব্যাপক উন্নয়ন ঘটতো। তিনি জনকল্যানে অসামান্য অবদান রাখায় ইতিমধ্যে মাদার তেরেসা মেমোরিয়াল অ্যাওয়ার্ড-২০১৬, মহাত্বা গান্ধী গোল্ড মেডেল- ২০১৬, শেরে-ই-বাংলা এ.কে ফজলুল হক সম্মননা পদক- ২০১৬, বঙ্গবীর জেনারেলে ওসমানী স্মৃতি পদক- ২০১৬, মানবাধিকার শান্তি পদক- ২০১৬, ঢাকা প্রেসক্লাব সম্মাননা-২০১৬, নবাব সিরাজুদৌলা স্বর্ণপদক-২০১৭, বিচারপতি সৈয়েদ মাহবুব মোর্শেদ স্মৃতি পদক-২০১৭, স্বাধীনতা সম্মননা পদক-২০১৭, লোকাল সোস্যাল ডেভেলপমেন্ট অ্যাওয়ার্ড- ২০১৮, শেরে- ই-বাংলা এ.কে ফজলুল হক সম্মননা পদক -২০১৮ সহ অসংখ্যা সম্মননা পদক ও ক্রেষ্ট পেয়েছেন।