মোঃ মনির হোসেন শাহীন
ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি
প্রধানমন্ত্রীর তহবিল থেকে ভিটিপাকা ঘর দেয়ার কথা বলে শতাধিক গৃহহীন পরিবারের কাছ থেকে ১০-১২ হাজার টাকা করে হাতিয়ে নিয়েছে সোনারামপুর ইউনিয়ন পরিষদের ২নং ওয়ার্ড মেম্বার শাহজাহান মিয়া। ঘর বরাদ্দ না পেয়ে টাকা ফেরত চাইলে উল্টো হুমকি-ধমকি মিলেছে অসহায় পরিবারের মানুষের উপর। এমন অভিযোগ ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার বাঞ্ছারামপুর উপজেলার সোনারামপুর ইউনিয়নের চরমরিচাকান্দি ও আশপাশের এলাকার শতাধিক দরিদ্র অসহায় ও গৃহহীন পরিবারের।
ঘর পাবার জন্য কেউ মহাজন, সমিতি থেকে চরা সুদে, কেউ ধার কর্জ করে মেম্বারকে টাকা দিয়েছেন। কিন্তু বিগত ৩ বছর যাবৎ মিথ্যা আশ্বাস দিয়ে দরিদ্রদের প্রায় ১০ থেকে ১২ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন শাহজাহান মিয়া। টাকা ফেরত চাইলে দায় চাপিয়ে দিচ্ছেন সোনারামপুর ইউপি চেয়ারম্যান মো. শাহিন আহমেদের ওপর।
মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে শাহজাহান মেম্বার টাকা হাতিয়ে নেয়ার বিষয়ে কিছুটা এড়িয়ে গিয়ে বলেন, তিনি ৩৬ জনের কাছ থেকে ১০ থেকে ১২ হাজার টাকা করে নিয়ে চেয়ারম্যানকে দিয়েছেন।
চরমরিচাকান্দি গ্রামের ইব্রাহিম মিয়া অভিযোগ করে বলেন, “ধার-দেনা করে শাহজাহান মেম্বারকে ১০ হাজার টাকা দিছি সরকারি ঘর দেয়ার জন্য। টাকাও দেয় না ঘরও দেয় না।’
এই ব্যাপারে চরমরিচাকান্দি গ্রামের রুশিয়া বেগম বলেন, “মেম্বর (শাহজাহান মেম্বার) সরকারের ঘর দিব কইয়া (বলে) ১০ হাজার টেহা (টাকা) নিয়া মাসের পর মাস খালি ঘুরাইতাছে। কইলেই (বললে) মেম্বর খালি (শুধু) ডর-ভয় দেহায়। আমরা আর ঘর চাই না, আমরা টেহা (টাকা) ফেরত চাই। ”
এনিয়ে যোগাযোগ করা হলে ইউপি চেয়ারম্যান শাহিন আহমেদ বলেন, দরিদ্রদের কাছ থেকে টাকা নেয়ার কথা জানতে পেরে শাহাজাহান মেম্বারকে টাকা ফেরত দিতে বলেছেন। বিষয়টি তিনি ইউএনওকেও মৌখিকভাবে জানিয়েছেন। মেম্বারের বিরুদ্ধে মানহানির মামলা করবেন বলেও জানান তিনি।
এই বিষয়ে বাঞ্ছারামপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোহাম্মদ নাসির উদ্দিন সরোয়ার সবুজ নিশান কে বলেন, চরমরিচাকান্দি গ্রামের ২৮ জন দরিদ্র মানুষ শাহজাহান মেম্বারের বিরুদ্ধে অভিযোগ দিয়েছেন। একটি তদন্ত কমিটি করা হয়েছে। প্রমাণ হলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।