মোঃ শামীম হাওলাদার পটুয়াখালী জেলা :যে মানুষটি তার যৌবন কৈশর শেষ করেছেন রাজনীতির তরে,নৌকার তরে।যে মানুষটি তার জীবনটাই পার করেছেন শেখ হাসিনা আর নৌকার গুনটেনে।যে মানুষটি স্ত্রী কন্যা পুত্র সন্তানদের প্রতি ভালোবাসাকে উপেক্ষা করে রাজপথে নেমেছেন বার বার,বরন করেছেন কারা অন্তরীক্ষ।জীবদ্দশার প্রায় সকল সময়ই ভেবেছেন কর্মী আর একটি অঞ্চলের আদর্শ উন্নয়ন নিয়ে।সে মানুষটি পরলোকগত হয়েছেন গত ২৪ তারিখ।সুন্দর সাজানো বাগানখানি তছনছ হয়েছে বার বার ঝড়ের কবলে পড়ে।পুনরোদ্ধার করেছেন নিজগুনে,শাসনে সোহাগে।এসব করতে গিয়ে কখনো হয়েছেন কারো বিরাগভাজন কর্মীর অভিমানে।সব অভিমান যেন উবে গিয়েছিলো তার শেষ আগমনে জনতার ঢলে।
যে মানুষটি সম্পর্কে সবাই বলতো শুধু রাগ আর রাগ কে জানতো সেই রাগের অন্তরালে তার আরও রুপ আছে যা জানতাম ই না আমরা।তার চলে যাবার পরে নিরিবিলি অনেক মানুষকে আক্ষেপ করে কাদতে আর বলতে দেখেছি কে আমার সন্তানদের পড়ালেখার খরচ বহন করবেন,কেউ বলছেন কে আমার চিকিৎসার ভার বইবেন,কেউ সুদর থেকে ফোন করে চিৎকার করে বলছে তাকে না নিয়ে আমায় নিয়ে গেলেও ভাবতাম আমার সন্তান রা মানুষের মত মানুষ হবে কারন তাদের একজন অভিভাক আছেন।এসবই একজন খ ম জাহাঙ্গীরের গল্প,যা দেখে আর শুনে বিস্মিত হচ্ছি।এত কাছাকাছি থেকেও তার এসব জনহিতকর কর্মকান্ড কেউ জানতো কি না সন্দেহ।
একজন খ ম জাহাঙ্গীর বার বার মৃত্যুর মুখ থেকে ফিরে এলেও শেষবারে করোনা আক্রান্ত হয়ে সুস্থ হয়েও ফিরতে পারলেন না।
দিয়ে গেছেন অনেক কিছুই,এবার আমাদের পালা।রাগ অভিমান ক্ষোভ সবই ছিলো ভালোবাসি বলে ই।আমাদেরকে রেখে গেছেন দাবীর তলে, তার উত্তরসূরীকে আমাদের জিম্মায় রেখে গেছেন দেখভাল করার তরে।আমরা অভিমানী কিন্তু বেঈমান নই এর প্রমান আমরা তখনই দিতে পারবো যখন আমরা আমাদের এই দায়িত্বটুকু পালন করবো তার উত্তরসূরীর পাশে থেকে।আর এটা আমাদের কর্তব্য কেননা আজকে আমরা যে যা ই কিছু সব ই তার অবদান।তিনি না শেখালে বা পথ না দেখালে হয়তো সেদিন ই অঙ্কুরে ঝরে যেতাম আমরা।