কক্সবাজার রোববার, ১০ জানুয়ারি ২০২১:
সরকার পেশাদার অপেশার সাংবাদিক চিহ্নিত করতে না পারলে খুব অচিরেই ভুঁইফোড় সাংবাদিকে বাংলাদেশ ভরে যাবে।
দেশে আর কোন প্রকৃত সাংবাদিকের ওপর জুলুম বরদাস্ত করবেনা বাংলাদেশ মফস্বল সাংবাদিক ফোরাম -বিএমএসএফ ও সাংবাদিক নির্যাতন প্রতিরোধ কমিটি।
যারা নিজেকে সাংবাদিক দাবি করে আরেক সাংবাদিক প্রতিষ্ঠান বা সাংবাদিকদের হামলা মামলা কিংবা কোন প্রকার ক্ষতি সাধনে দৃর্বৃৃত্তদের উস্কিয়ে দিবে এমন রাক্ষুসে সাংবাদিকেরও ছাড় দেওয়া হবেনা।
এসব অপকর্মে জড়িত সে যেই হোক কঠোরভাবে প্রতিহত করা হবে। এজন্যই মতবিরোধ ভুলে সকল পেশাদার সাংবাদিকদের ঐক্যবদ্ধ হওয়ার বিকল্প নেই।
সম্প্রতি কয়েকটি বিদেশি গণমাধ্যমে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে কক্সবাজারে কারা নির্যাতিত সাংবাদিক বিএমএসএফ কেন্দ্রীয় কমিটির সহ- সাংগঠনিক সম্পাদক ও সাংবাদিক নির্যাতন প্রতিরোধ কমিটির নেতা দৈনিক জনতারবানী ও কক্সবাজারবানী সম্পাদক ফরিদুল মোস্তফা খান একথা বলেন।
এসময় তিনি নিজেদের অভ্যন্তরিন কোন্দল ও রেষারেষির কারনে সাম্প্রতিক সময়ে বাংলাদেশে নজিরবিহীন সাংবাদিক নির্যাতনের ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করে বলছেন, প্রত্যেকটি ঘটনায় দৃর্বৃত্তদের উৎসাহিত করেছে কতিপয় দালাল চাটুকার অপেশাদার রাক্ষুসে সাংবাদিকরা।
সরকার ও স্থানীয় প্রশাসনের উচিত এদেরকে চিহ্নিত করে জরুরি ব্যবস্থা নেওয়া।
অন্যথায় বিপদগামী এসব সুবিধাভোগীরা গণমাধ্যম ও রাষ্ট্রকেও বেকায়দায় ফেলবে।
কাজেই সরকারের সকল এজেন্সির উচিত কে সাংবাদিক, কে সাংবাদিক না, কে লিখতে জানে, কে জানেনা, থানা বা প্রশাসনের দুয়ারে দুয়ারে কারা ঘুর ঘুর করে, কেন করে, তাদের চিহ্নিত করে এখনি ব্যবস্থা না নিলে পুরো বাংলাদেশ ভুঁইফোঁড় ও দালাল সাংবাদিকে ভরে যাবে।
অনলাইন স্বাক্ষাৎকারে সাংবাদিক ফরিদুল মোস্তফা খান আরো বলেন, অন্তত নিজেদের সম্মান রক্ষায় সকল জেলা উপজেলায় সাংবাদিক নির্যাতন প্রতিরোধ কমিটি গঠন এখন সময়ের দাবী হয়ে উঠেছে ।
অন্যথায় তিনি বাংলাদেশের গণমাধ্যম ও সাংবাদিকদের সামনে কঠিন বিপদের আশংকা প্রকাশ করেন।
সাংবাদিক ফরিদুল বলেন,আসুন আমরা সব ভেদাভেদ ভুলে দুনিয়ার সাংবাদিকরা এক হয়ে বাংলাদেশ মফস্বল সাংবাদিক ফোরাম ও সাংবাদিক নির্যাতন প্রতিরোধ কমিটিতে সক্রিয় হয়ে ১৪ দফা দাবি বাস্তবায়নের জন্য কাজ করি। গণমাধ্যমের স্বাধীনতার পাশাপাশি নিজেদের হারানো মর্যাদা রক্ষা করি। এতেই সকলের কল্যান হবে।