ঢাকা বৃহস্পতিবার ১৪ জানুয়ারী ২০২১: কিশোরগঞ্জে মিঠামইন থানা পুলিশের করা ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের অভিযুক্ত আসামী সাংবাদিক মুক্তার হোসেন গোলাপকে আজ ঢাকা সাইবার ট্রাইব্যুনাল আদালত থাকে স্থায়ী জামিন দিয়েছেন। সাংবাদিক গোলাপের পক্ষে আইনি সহায়তা দিয়েছেন বাংলাদেশ মফস্বল সাংবাদিক ফোরাম।
গত বছরের ১৩ মার্চ ইটালি প্রাবাসি শেখ ইকবাল নিজ বাড়িতে এসে মিঠামইন থানার পুলিশের দুই এস আইয়ের বিরুদ্ধে চাঁদা দাবীর অভিযোগ তুলেন। শেখ ইকবালের অভিযোগের ভিডিও বার্তা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে, যমুনা টেলিভিশন, বিডি চ্যানেল ফোর সহ অন্যান্য অনলাইন টেলিভিশনে প্রচার করা হয়। পরে মিঠামইন থানার পুলিশের এস আই নজরুল ইসলাম বাদী হয়ে শেখ ইকবাল ও শেখ বাবুকে আসামী করে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা ধায়ের করে ইকবালকে গ্রেফতার করে। শেখ ইকবালের আট দিন রিমান্ড শেষে তার ১৬৪ ধারা জবানবন্দির পরিপেক্ষিতে সাংবাদিক মুক্তার হোসেন গোলাপকে ১০ মে গ্রেফতার করে আদালতের মাধ্যমে কিশোরগঞ্জ কারাগারে পাঠানোর হয়। উচ্চ আদালতের মাধ্যমে সাংবাদিক মুক্তার হোসেন গোলাপ দীর্ঘ ৫ মাস ৫ দিন পর কিশোরগঞ্জ কারাগার থেকে জামিনে মুক্তি পান।
আজ বৃহস্পতিবার ১৪ জানুয়ারী সাংবাদিক মুক্তার হোসেন গোলাপ ঢাকা সাইবার ট্রাইব্যুনাল আদালতে স্থায়ী জামিন প্রার্থনা করলে বিজ্ঞ বিচারক তার জামিন মঞ্জুর করেন। সাংবাদিক গোলাপের পক্ষে আইনি সহায়তা প্রদান করেন বাংলাদেশ মফস্বল সাংবাদিক ফোরামের বিজ্ঞ আইনজীবী কাওসার হোসাইন ও তাঁর সহযোগী আইনজীবী আব্দুর রাজ্জাক।
বৃহস্পতিবার এক বিবৃতিতে বাংলাদেশ মফস্বল সাংবাদিক ফোরামের সাধারণ সম্পাদক ও সাংবাদিক নির্যাতন প্রতিরোধ কমিটির সমন্বয়কারী আহমেদ আবু জাফর সরকারের নিকট ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে আর কোন সাংবাদিককে হয়রাণী না করার আহবান জানান। তিনি এক যুক্তিতে বলেন, চিকিৎসকরা যদি চিকিৎসা করে আর কোন রোগি চিকিৎসাকালে মারা যান তবেতো চিকিৎসকের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা হয়না। তবে কেন সংবাদ প্রকাশের জের ধরে সাংবাদিকের বিরুদ্ধে মামলা হবে? সাংবাদিকের বিরুদ্ধে মামলার প্রয়োজন হলে ৫০০/৫০১/৫০২ ধারায় মামলা করার যে বিধানটি রয়েছে সেই ধারায় মামলা দায়েরের জন্য একটি প্রজ্ঞাপন জারী করতে সরকারের কাছে আহবান জানানো হয়।