নড়াইল-১ আসনের সংসদ সদস্য কবিরুল হক মুক্তির স্ত্রী চন্দনা হক এবং কালিয়া পৌর নির্বাচনে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী মেয়র প্রার্থী মুশফিকুর রহমান লিটনসহ ৬৫ জনের নামে মামলা দায়ের হয়েছে। আগামীকাল (৩০ জানুয়ারি) কালিয়া পৌরসভা নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।
মামলার বিবরণে জানা যায়, গত ২৩ জানুয়ারি রাতে নৌকার নির্বাচনী কার্যালয়ে আগুন দেয়ার অভিযোগে এমপির স্ত্রী চন্দনা হকসহ বিদ্রোহী প্রার্থী ও সমর্থকদের নামে এ মামলা দায়ের করা হয়েছে। আওয়ামী লীগ মনোনীত মেয়র প্রার্থী ওয়াহিদুজ্জামান হিরা বাদী হয়ে গত বুধবার রাতে ৬৫ জনের নামে এ মামলা করেন। নির্বাচনী অফিসে আগুন দেয়াসহ ঘটনাস্থলে ৩ থেকে ৪টি ককটেল বিস্ফোরণ ঘটনা হয়েছে।
মামলায় এমপি কবিরুল হক মুক্তির স্ত্রী চন্দনা হক এবং আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী মেয়র প্রার্থী মুশফিকুর রহমান লিটনকে হুকুমের আসামি করা হয়েছে। অন্য আসামিরা মেয়র প্রার্থী লিটনের সমর্থক।
গত ২৩ জানুয়ারি রাত ১টার দিকে কালিয়া পৌর এলাকার ব্যাপারীপাড়া নির্বাচনী অফিসে অগ্নিসংযোগ ও ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। ঘটনাস্থল থেকে দুটি বোমা সাদৃশ্য বস্তু ও দুটি ছ্যানদা উদ্ধার করে পুলিশ।
এ ব্যাপারে মেয়র প্রার্থী মুশফিকুর রহমান লিটন বলেন, নির্বাচনকে বানচাল করতে আমাদের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করা হয়েছে। সমর্থকদের মাঠছাড়া করতে নিজেরা আগুন লাগিয়ে এবং ককটেল ফাঁটিয়ে আমাদের বিরুদ্ধে মামলা করেছে।
কালিয়া থানার ওসি কনি মিয়া বলেন, আসামিদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।
এদিকে, কালিয়া পৌরসভা নির্বাচনে নৌকা প্রতীকের প্রার্থী ওয়াহিদুজ্জামান হিরার বিপক্ষে কাজ করার অভিযোগে সংসদ সদস্য কবিরুল হক মুক্তির স্ত্রী চন্দনা হকসহ কালিয়া উপজেলা ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাত নেতাকে দল থেকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়েছে। গত ২৪ জানুয়ারি তাদের পদ-পদবি ও দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেয়া হয়।
কালিয়া পৌরসভা নির্বাচনে মেয়র পদে আওয়ামী লীগ প্রার্থী ওয়াহিদুজ্জামান হিরা, বিএনপি প্রার্থী ওয়াহিদুজ্জামান মিলু এবং আ.লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী ও বর্তমান মেয়র ফকির মুশফিকুর রহমান লিটন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এ ছাড়া সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর পদে নয়জন ও সাধারণ কাউন্সিলর পদে ৩২ জন প্রার্থী মাঠে আছেন।