নাসরিন পারভিন মিমি : ঢাকা হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের বিপরীতে ১৫২ পদের রাজা চায়ের আড্ডা নামটি দিন দিন তরুণদের কাছে খুব জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। ময়মনসিংহ ত্রিশাল এর সন্তান আজহারুল ইসলাম রাজা এর দিকনির্দেশনায় চা তৈরি করা হয়। রাজা দুবাইতে দুই বছর ছিল এবং সেখান থেকে বিভিন্ন স্টাইলের চা তৈরি করা শিখেছিল। তারপর রাজা বাংলাদেশ আবারো ফিরে আসলো এবং বাংলাদেশে আসার সময় কিছু এরাবিয়ান চায়ের কেটলি সাথে নিয়ে আসছিল। যখন এরাবিয়ান চায়ের কেটলি বাংলাদেশ নিয়ে আসে তখনই বিমানবন্দরে সবাই তাকে বলেছিল দুবাই থেকে যারা বাংলাদেশে যায় তারা স্বর্ণ গহনা ডায়মন্ড নিয়ে যায় কিন্তু আপনি নিয়ে যাচ্ছেন এরাবিয়ান চায়ের কেটলি আপনি আমাদেরকে অবাক করেছেন আপনি আশ্চর্য এক অদ্ভুত মানুষ বলে আমাদের মনে হচ্ছে। যে চা’ বর্তমানে এয়ারপোর্টে ৫০ টাকায় পাওয়া যাচ্ছে এই চা দুবাইতে খাইতে গেলে ১৫ দেরহাম লাগে বাংলাদেশ টাকার মূল্য তিনশত টাকা। রাজা যে সকল উপাদান দিয়ে চা তৈরি করে সেগুলো হলো কাজুবাদাম, কাঠবাদাম, পেস্তা বাদাম, কিসমিস, হরলিক্স, ব্লাক কফি, ম্যাক কফি, দুধের ছানা ও দুধের স্বর মিশ্রিত। রাজার চা খাওয়ার পর রাজাকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানিয়েছে মানুষের কল্যাণে প্রতিদিন এর সম্পাদক ও বাংলাদেশ মফস্বল সাংবাদিক ফোরামের কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক কবির নেওয়াজ রাজ, সাংবাদিক নাসরিন পারভীন মিমি সহ আরো অনেক সাংবাদিক বৃন্দ। তাছাড়াও এই বাংলাদেশ স্বাধীন করার জন্য যারা যুদ্ধে অংশগ্রহণ করেছিলেন রাজা তাদেরকে সম্মান করে বাংলার মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য ‘চা” ফ্রি করে দিয়েছেন। জয় বাংলা, জয় হোক রাজা চায়ের আড্ডার মালিক আজহারুল ইসলাম রাজার।