জেলা প্রতিনিধি :-মোঃ শামীম আহমেদ
পটুয়াখালী জেলা।
সকালের প্রথম প্রহরে বাঙ্গালী জাতির মুক্তির সনদ ঐতিহাসিক ৭ই মার্চ উপলক্ষে পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ এর পক্ষ থেকে সরকারি প্রতিষ্ঠান কার্যালয় পতাকা উত্তোলন এবং বঙ্গবন্ধুর স্মৃতি স্তম্ভে পুষ্পমাল্য অর্পন সহ ৭ই মার্চের বঙ্গবন্ধু কে নিয়ে বিভিন্ন আলোচনা সভা ও উপস্থিত বক্তব্যে দেয়া হয়।
সকালের প্রথম প্রহরে বাঙ্গালী জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্মৃতি স্তাম্ভে পুস্পমাল্য অর্পন করেন পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজের শিক্ষক সহযোগী অধ্যাপক ডাক্তার মোঃ মশিউর রহমান,সহকারী অধ্যাপক ডাক্তার মোঃ জিয়াউল করিম,সহকারী অধ্যাপক ডাক্তার সিদ্ধার্থ শক্কর দাস ও পটুয়াখালী মেডিকেল এসোসিয়ান এর সভাপতি ডাক্তার মোঃ মিজানুর রহমান (অবসার প্রাপ্ত ) ও ডাক্তার মোঃ হাবিবুর রহমান সহ পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজের শিক্ষার্থী ছাএলীগ সভাপতি মোঃ জসিম ও সাধারণ সম্পাদক মোঃ মেহেদী সহ পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজের কর্মকর্তা কর্মচারিবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
সকাল ১১.০০ ঘটিকায় পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজের লেকচার গ্যালারি ২
ঐতিহাসিক ৭ই মার্চ উপলক্ষে আলোচনা সভা ও বক্তব্য দেয়া হয়। এবং উক্ত সভায় সভাপতিত্ব করেন পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজের অধ্যাপক অধ্যক্ষ ডাক্তার মোঃ ফায়জুল বাসার। এবং সভায় উপস্থিত থাকেন সহযোগী অধ্যাপক ডাক্তার মোঃ মসিউর রহমান,সহকারী অধ্যাপক ডাক্তার মোঃ রফিকুল ইসলাম,সহকারী অধ্যাপক ডাক্তার সিদ্ধার্থ শঙ্কর দাস,সহকারী অধ্যাপক ডাক্তার অহিদুজ্জামন (শামীম ),প্রভাষক ডাক্তার নীল রতন সরকার ও পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজের শিক্ষার্থী ছাএলীগ সভাপতি ও সম্পাদক সহ সকল নেএীবৃন্দোগন সহ পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজের কর্মকর্তা কর্মচারিবৃন্দ। এবং পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজের অধ্যাপক অধ্যক্ষ ডাক্তার মোঃ ফায়জুল বাসার তিনি উক্ত আলোচনা সভায় সভাপতিত্বে করেন এবং ৭ই মার্চের বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে বক্তব্যে দেন।
আজ ঐতিহাসিক ৭ মার্চ। ১৯৭১ সালের এই দিনে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের যুগান্তকারী ভাষণের স্মারক হিসেবে দিনটি অবিস্মরণীয় হয়ে আছে।
তৎকালীন রেসকোর্স ময়দানের (বর্তমানে সোহরাওয়ার্দী উদ্যান) বিশাল জনসমাবেশে দেওয়া ওই ভাষণে বঙ্গবন্ধু বাঙালি জাতিকে স্বাধীনতাযুদ্ধের চূড়ান্ত প্রস্তুতি নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছিলেন। বিশাল জনসমুদ্রে দাঁড়িয়ে বঙ্গবন্ধু বলেছিলেন, ‘এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম।’
বঙ্গবন্ধু রেসকোর্স ময়দানে লাখো মানুষের উপস্থিতিতে ময়দান ছিল কানায় কানায় পূর্ণ। স্লোগান ছিল ময়দানজুড়ে ‘পদ্মা মেঘনা যমুনা, তোমার আমার ঠিকানা’। উপস্থিত জনতাকে বঙ্গবন্ধু যুদ্ধের প্রস্তুতি নিতে নির্দেশ দিয়েছিলেন। তিনি বলেছিলেন, ‘প্রত্যেক ঘরে ঘরে দুর্গ গড়ে তোলো। তোমাদের যা কিছু আছে, তাই নিয়ে শত্রুর মোকাবিলা করতে হবে’। ইনসোআল্লাহ ।
প্রকৃতপক্ষে জাতির উদ্দেশে দেওয়া বঙ্গবন্ধুর ওই ভাষণই ছিল বাংলাদেশের স্বাধীনতার আনুষ্ঠানিক ঘোষণা। এরপরই দেশের মুক্তিকামী মানুষ ঘরে ঘরে চূড়ান্ত লড়াইয়ের প্রস্তুতি নিতে শুরু করে।
রাষ্ট্রীয়ভাবে আজকের দিনটি যথাযোগ্য মর্যাদায় পালন করা হবে। বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও সংগঠন ৭ মার্চ উপলক্ষে বিভিন্ন কর্মসূচি হাতে নিয়েছে। দিনটি উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পৃথক বাণী দিয়েছেন। রাষ্ট্রপতি তাঁর বাণীতে বলেন, ‘৭ মার্চের বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক ভাষণ বাঙালি জাতির স্বাধীনতার দলিল। এদিন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান রেসকোর্স ময়দানে বজ্রকণ্ঠে যে ঐতিহাসিক ভাষণ দিয়েছিলেন, তার মধ্যে নিহিত ছিল স্বাধীন-সার্বভৌম বাংলাদেশের ডাক।’
বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণের আবেদন আজও অটুট আছে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাঁর বাণীতে বলেন, ‘বাঙালির বীরত্বপূর্ণ সংগ্রাম ও সশস্ত্র মুক্তিযুদ্ধে জাতির পিতার এই ভাষণের দিকনির্দেশনাই ছিল সে সময় বজ্রকঠিন জাতীয় ঐক্যের মূলমন্ত্র। অসীম ত্যাগের বিনিময়ে অর্জিত বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামের অমিত শক্তির উৎস ছিল এ ঐতিহাসিক ভাষণ।’