জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১০১তম জন্মবার্ষিকী ১৭ ই মার্চ ২০২১এবং জাতীয় শিশু দিবস। মুক্তিযুদ্ধের এই মহানায়ক ১৯২০ সালের এই দিনে ফরিদপুর জেলার তৎকালীন গোপালগঞ্জ মহকুমার টুঙ্গিপাড়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। শিশুকালে ‘খোকা’ নামে পরিচিত সেই শিশুটি পরবর্তী সময়ে হয়ে ওঠেন নির্যাতিত-নিপীড়িত বাঙালি জাতির মুক্তির দিশারি।বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কিশোর বয়সেই সক্রিয় রাজনীতিতে জড়িয়ে পড়েন। গোপালগঞ্জের মিশন স্কুলে অষ্টম শ্রেণিতে অধ্যয়নকালে তৎকালীন ব্রিটিশবিরোধী আন্দোলনে যোগদানের কারণে প্রথমবার কারাবরণ করেন। ১৯৬৬-এর ছয় দফা আন্দোলন, ১৯৬৯-এর গণ-অভ্যুত্থান এবং ১৯৭০ সালের ঐতিহাসিক নির্বাচন ও মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে স্বাধীন বাংলাদেশ অর্জনের মাধ্যমে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাঙালি জাতির অবিসংবাদিত নেতা হিসেবে পরিণত হন। সদ্য স্বাধীন বাংলাদেশকে যখন অর্থনৈতিক মুক্তির লক্ষ্যে পরিচালিত করছিলেন, তখনই ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট একদল বিপথগামী সেনা কর্মকর্তার হাতে সপরিবারে নিহত হন তিনি। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান আমাদের চিরন্তন প্রেরণার উৎস। তাঁর কর্ম ও আদর্শ চিরকাল আমাদের মাঝে বেঁচে থাকবে।’ তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু কেবল বাঙালি জাতির নন, তিনি বিশ্বে নির্যাতিত, নিপীড়িত ও শোষিত মানুষের স্বাধীনতার প্রতীক।আমি ক্ষুদ্র কলাম লেখক কবির নেওয়াজ রাজ মনে করি, এ গণমুক্তি আন্দোলনের নেতৃত্বে ছিলেন বঙ্গবন্ধু। ফলে,মোটেই বিস্ময়ের কথা নয় যে মুক্তিপ্রয়াসী মানুষ—তা তারা যেখানেই থাকুক—তাঁর জন্মদিবস উদ্যাপনে আগ্রহী হবে।বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান তাঁর জীবনের প্রায় অর্ধসময়—তিনি বাঙালি জাতির মুক্তি অন্বেষণে ব্যয় করেন। বঙ্গবন্ধু ব্যক্তিগত ত্যাগ ও আপসহীন নেতৃত্ব শুধু বাংলাদেশের মানুষ নয়, সারা বিশ্বের মানুষকেই অনুপ্রাণিত করেছে। তাই বঙ্গবন্ধুর জন্মদিনের উদ্যাপন এ কারণে জাতীয় সীমানা অতিক্রম করে আন্তর্জাতিক চরিত্র গ্রহণ করেছে।আসুন, জাতির জনকের জন্মদিনে আমরা সকলে মিলে আত্মমানবতার সেবায় কাজ করি।
লেখকঃ কবির নেওয়াজ রাজ
সম্পাদক,মানুষের কল্যাণে প্রতিদিন।