নাসরিন পারভীন মিমিঃ করোনা ভাইরাস মহামারির শুরু থেকে মানুষকে সেবা দেওয়া, সচেতন করা, আর যেখানে যারা করোনায় মারা গেছে, সেখানে তাদেরকে দাফন-কাফন করা থেকে শুরু করে মানুষের পাশে ছিল পুলিশ। ইদানিং লক্ষ্য করা যাচ্ছে করোনার সংক্রমণ বাড়ছে। এরই পরিপ্রেক্ষিতে আইজিপি ও ডিএমপি কমিশনারের নির্দেশনায় জনগণকে সচেতন করার লক্ষ্যে মাস্ক বিতরণ করা হচ্ছে।’
সচেতনতাই পারে করোনাভাইরাস থেকে দেশকে রক্ষা করতে : ডিসি শহিদুল্লাহ
ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের উত্তরা বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) মো. শহিদুল্লাহ বলেন, ‘করোনা ভাইরাসের মহামারীতে আমরা আগেও ছিলাম, ভবিষ্যতেও থাকবো। আমরা চাই প্রত্যেকটা মানুষই সচেতন হোক, মাস্ক পড়ুক এবং সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে চলুক। সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে তাদের কার্যক্রম চালিয়ে যাক।’ তিনি বলেন, মাস্ক বিতরণ কর্মসূচির মাধ্যমে আমরা দেশের মানুষকে একটি মেসেজ দিতে চাই- ‘সচেতনতাই পারে করোনাভাইরাস থেকে দেশকে রক্ষা করতে’।
রাজধানীর উত্তরায় বিমানবন্দর এলাকায় রোববার (২১ মার্চ) বেলা ১১টায় ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের পক্ষ থেকে করোনা ভাইরাসের দ্বিতীয় ঢেউ মোকাবিলায় জনগণকে সচেতন করার লক্ষ্যে মাস্ক বিতরণকালে তিনি এসব কথা বলেন।
এ সময় উত্তরা বিভাগের অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার, সহকারী পুলিশ কমিশনার, ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি), উপ-পরিদর্শক, সহকারী উপ-পরিদর্শকরা উপস্থিত ছিলেন। তারা সাধারণ জনগণকে মাস্ক পরিয়ে দেন এবং বিতরণ করেন।
তিনি বলেন, ‘করোনা ভাইরাস মহামারির শুরু থেকে মানুষকে সেবা দেওয়া, সচেতন করা, আর যেখানে যারা করোনায় মারা গেছে, সেখানে তাদেরকে দাফন-কাফন করা থেকে শুরু করে মানুষের পাশে ছিল পুলিশ। ইদানিং লক্ষ্য করা যাচ্ছে করোনার সংক্রমণ বাড়ছে। এরই পরিপ্রেক্ষিতে আইজিপি ও ডিএমপি কমিশনারের নির্দেশনায় জনগণকে সচেতন করার লক্ষ্যে মাস্ক বিতরণ করা হচ্ছে।’
তিনি বলেন, ‘আজ ২১ তারিখ থেকে পুলিশের বিভিন্ন ইউনিট সারা দেশে করোনা সচেতনতায় মাস্ক বিতরণ করবে।’ উত্তরা বিভাগের উপ-কমিশনার বলেন, ‘আমরা সব সময় জনগণের পাশে আছি। আমরা চাই দেশের মানুষ প্রত্যেককেই সচেতন হোক। সবাই সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখুক। কারণ বাংলাদেশে করোনার প্রকোপ আবার বেড়ে যাচ্ছে।’
ডিসি শহিদুল্লাহ বলেন, ‘নিজেরা সচেতন থাকেন, আপনার পরিবারকে সচেতন রাখেন। আপনি সতর্ক থাকেন, ভালো থাকেন, সেইফ থাকেন।’
তিনি বলেন, ‘আমরা আজ থেকে এই মাস্ক বিতরণ ও জনসচেতনতা মূলক কর্মসূচি চালিয়ে যাব। পরবর্তী নির্দেশনা না আসা পর্যন্ত এ কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে।’