বেবি বিনতে বাছেদ: ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগরের নাসিরাবাদ গ্রামের অসহায় শুকলা রানী দেবের জীবন বাঁচে পত্রিকা বেঁচে।
স্বামী-সন্তানহীন শুকলা রানী দেব দীর্ঘ ৩০ বছর ধরে পত্রিকা বেঁচে আসছেন।
প্রান্তিক অঞ্চলে পত্রিকার পাঠক কম থাকায়, করোনা পরিস্থিতি ও ইন্টারনেটের যুগে পত্রিকার কাটতি পড়ায় দারিদ্র্যতায় মুষড়ে পরছেন তিনি।
অশ্রুসিক্ত শুকলা রানী নিজের অসহায়ত্বের কথা বলতে গিয়ে বারবার সমাজের বিত্তবান, সরকারি সহায়তা ও প্রধানমন্ত্রীর সাহায্য কামনা করেন।
শুকলা রানী দেব বলেন, আফনেরা আমারে বিধবা ভাতা, নাইতো বয়স্ক ভাতার ব্যবস্তা কইরা দেন। আমি খুব কষ্ট আছি। স্বামী নাই, সন্তান নাই, পত্রিকা বেইচ্চা চলি। অহন শরীলডা ভাল থাহে না। পত্রিকা অ বেচা অ না।
সমাজকর্মী ও সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব আব্বাস উদ্দিন হেলালের স্যাস্টাসটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হলে সাংবাদিকদের নজরে আসে। আব্বাস উদ্দিন হেলালের স্যাস্টাসটি দেখে অনেকেই সাধ্যমত আর্থিক সহায়তা প্রদান করেন।
আব্বাস উদ্দিন হেলাল বলেন, উনাকে আমি দীর্ঘদিন যাবৎ দেখছি। অভাবে থেকেও কারো কাছে হাত না পেতে পত্রিকা বিক্রি করে চলছেন। এখন উনি প্রায়ই বয়সের ভারে অসুস্থ থাকেন। সমাজের বিত্তবান ও সরকারি সহায়তা পেলে বাকি জীবনটা কাটিয়ে দিতে পারতেন।
শ্যামগ্রাম ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ আমির হোসেন বাবুল বলেন, আমি আন্তরিকভাবে দুঃখ প্রকাশ করছি শুকলা রানীর জন্য। কিছু দিন আগেও আমি তার ব্যাপারে খুঁজ নিতে গিয়ে শুনেছিলাম উনাকে বয়স্ক ভাতার জন্য ব্যবস্থা করে দেয়া হয়েছে। আমি দ্রুত উনার বয়স্ক ভাতাসহ আমার ব্যক্তিগত ভাবে সহায়তা প্রদান করবো এবং সমাজের সকল উচ্চ বিত্তবানদের কাছে আমি অনুরোধ করবো উনাকে সহায়তার জন্য এগিয়ে আসার জন্য।