রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ০৮:১১ পূর্বাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম:
‘‘কোনো নিরীহ মানুষ যেন হয়রানির শিকার না নয়’’-আইজিপি গাজীপুরের সফিপুরে সৌদি আন্তর্জাতিক দাতা সংস্থা ওয়ামির উদ্যোগে দৃষ্টিনন্দন মসজিদ কমপ্লেক্স উদ্বোধন কালিগঞ্জে ইকরা তা’লীমুল কুরআন নূরানী মাদ্রাসায় সুধী ও অভিভাবক সমাবেশ অনুষ্ঠিত কালিগঞ্জে র‍্যাবের অভিযানে ৩৪৭বোতল ফেন্সিডিলসহ দুই মাদক ব্যবসায়ী আটক সংস্কারের আগে নির্বাচন করলে কখনোই সংস্কার হবে না: সংস্কার কমিশন সদস্য তোফায়েল আহমেদ বাংলাদেশের সকল সম্প্রদায়ের সাথে আমাদের সংযোগ বাড়াতে চাই-পার্বত্য উপদেষ্টা সকল টেলিভিশন চ্যানেল ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ায় ‘জুলাই অনির্বাণ’-শীর্ষক ভিডিওচিত্র প্রচারের উদ্যোগ আ.লীগ নিজেরাই নিজেদের পতন ডেকে এনেছে : জামায়াত আমির ব্রেক ফেল হয়ে প্ল্যাটফর্ম থেকে ২ কিঃমিঃ দূরে গিয়ে থামলো ট্রেন গণমাধ্যমের অংশীজনের সঙ্গে ধারাবাহিকভাবে মতবিনিময় সভা আয়োজনসহ কয়েকটি বিষয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণ

শাহীন রেজার নির্বাচিত ৫০ঃ পাঠ পরবর্তী ভাবনা- তৌফিক জহুর

  • আপডেট টাইম : বুধবার, ৩১ মার্চ, ২০২১, ১২.৩৬ পিএম
  • ২৮২ বার পঠিত
চিন্তাটা শুরু এভাবেঃ
কখনো কখনো কোনো কোনো কবির কবিতা পাঠ করে কিছুক্ষণ তাকিয়ে থাকতে হয় আকাশের দিকে। কবিতার বিশালতা কেবল আকাশের দিকে তাকালেই পরিস্কার হয়ে যায়। প্রত্যেক কবির কবিতায় একটা আলাদা রস আছে। সেই রস আস্বাদন করতে পাঠককে সেই কবিতার ভেতরে ঢুকে যেতে হয়। সাদা চোখে একটি কবিতা পাঠ করলে একরকম লাগে, আর কবিতার ভেতরে প্রবেশ করলে অন্যরকম অনুভূতির জগত তৈরি হয়। কাব্যভাষার একটা ওজন আছে, সংযম আছে, সেটাকেই ছন্দ বলেছেন কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর। আর গদ্যভাষার কোনো বাছবিচার নেই তাই সে চলে বুক ফুলিয়ে। সেই গদ্য ভাষাকে কাব্যের প্রবর্তনায় শিল্পিত করা যায়। তখন সেই কাব্যের গতিতে এমন কিছু প্রকাশ পায় যা অকল্পনীয় অচিন্তনীয় ঘোর তৈরি করে। আমরা আশির দশকের কবি শাহীন রেজার নির্বাচিত ৫০ কাব্যগ্রন্থ নিয়ে কথা বলতে চাইছি। সেই জন্য এই ভূমিকার অবতারণা করলাম। কারণ, কবি শাহীন রেজা ছান্দসিক কবি আবার গদ্য কবিতায় তাঁর প্যাটার্ন অত্যন্ত শক্তিশালী। তাঁর চিন্তার আকাশ স্বচ্ছ। কবিতার বর্ণনা ঢঙ প্রকাশের ক্ষেত্রে কবি কোনো চালাকির আশ্রয় নেননি। আরোপিত শব্দ নয় বরং স্বতঃস্ফূর্ত শব্দেরা তাঁর কবিতার শরীরে লতার মতো জড়িয়ে থাকে। অবাক হওয়ার কিছু বিষয় আছে। ইদানীং কবিতা পাঠ করার পর আমি পেছনের দিকে দৌড়াই। অগ্রজ কবিদের কাব্য বিশ্লেষণে মনোযোগী হই।বোঝার চেষ্টা করি, তাদের সময়ে তাঁরা যে বিষয়ে কবিতা লিখেছেন বর্তমান সময়ে কবিবৃন্দ কিভাবে সেই বিষয় নিয়ে ভাবছেন।প্রায়শই আমি চমকে উঠছি। বিষয়ের পরিবর্তন হয়নি। দৃষ্টিভঙি বদলেছে। বিনয় মজুমদার “ধূসর জীবনানন্দ ” গ্রন্থে লিখেছেন, ” তবে কি জীবনানন্দ ঝরে গেছেন একেবারে? আমি আমার ঈশ্বরীকে… আমাদের নিকটবর্তী মন্দিরের দেবতাকে জিজ্ঞেস করি, ‘জীবনানন্দ ট্রামে চাপা পড়ে মরে যাওয়ার পরও কোনোখানে, কোনোরূপে বেঁচে আছেন কি? আপনি দৈববাণী করুন।’ দেবতা বললেন জীবনানন্দ এখনও বেঁচে আছেন। কারণ, মরে গেলে পুড়িয়ে ফেললে হয় ছাই। এবং ছাইও ভাবতে সক্ষম, কারণ ছাইয়েরও প্রাণ আছে।
‘ প্রাণ থেকে প্রাণ জন্মে
জানি এই কথা
মাটি থেকে জন্মে দেখি লজ্জাবতী লতা’।
সুতরাং মাটিতেও রয়েছে প্রাণ। প্রাণ যখন মাটি থেকেই জন্মায়,তখন মাটিতেও প্রাণ আছে। একথা বৈজ্ঞানিকভাবে সত্য। তবে প্রমাণ ছাড়াই একথা বহুকাল পূর্বে লিখেছেন বাল্মিকী, ব্যাসদেব। কারণ সীতা মাটিরই কন্যা ছিলেন অর্থাৎ মাটি থেকেই তাঁর জন্ম। অর্থাৎ জীবনানন্দ সেইরকমভাবেই জীবিত রয়েছেন এখনো। আর একথা বিশ্বাসযোগ্য। আমি বিশ্বাস করি, এই পৃথিবী ঈশ্বরের, সৃষ্টিকর্তার আদেশ দ্বারা চালিত। আমাদের জীবনও তার ইচ্ছাতেই চলে। আমি তাঁকে জিজ্ঞেস করি,মৃত্যুর পর আমার কি হবে?তিনি যদি বলেন যে মৃত্যুর পর তিনি আমাকে বাঁচিয়ে রাখবেন,আমার নামে আকাশের একটি নক্ষত্রের নাম রাখা হবে বিনয়তারা,তবে আমি এখনই মৃত্যুর জন্য প্রস্তুত আছি।সম্ভবত জীবনানন্দও প্রস্তুত ছিলেন, তাই তিনি আজো জীবিত আছেন। “( ধূসর জীবনানন্দ, পৃষ্ঠা -৩৭)। বাল্মিকী থেকে বিনয় মজুমদার পর্যন্ত মৃত্যু, মাটি ও প্রাণ নিয়ে যে ভাবনা আমরা পাঠ করলাম তা কি থেমে গেছে সাম্প্রতিক কবিতায়? না, থামেনি। আধুনিক কবিতায় এর বর্ণনা আসে ভিন্নভাবে। কবি শাহীন রেজার কবিতায়ও আমরা এমন দেখি। এখানে কবি মৃত্যু ভাবনার পাশাপাশি ভালেবাসার শ্রেষ্ঠ জায়গাটা দেখিয়ে দেন। আমরা সেই কবিতাটা লক্ষ্য করিঃ
“আমি মৃত্যু শেষে মৃত্তিকার মধ্যে মিশে যেতে যেতে প্রতিপালকের পর
যাঁর নাম উচ্চারণ করবো,তিনি আমার গর্ভধারিণী
এবং জন্মের মত মৃত্যুতেও আমি তার অনুগামী হবো।
( নির্বাচিত ৫০ কবিতা,পৃষ্ঠা ১৬)।
কবিতা মানুষের মনকে ভাবায়। একটা ঘোরের মধ্যে দিয়ে পাঠককে সামনের দিকে নিয়ে যায়। কিন্তু মুশকিল হলো কিছু কবিতা আছে যা পাঠের পর তার রেশ থেকে যায় বহুদিন। সেই কবিতাগুলো পাঠকপ্রিয়তা পায়। মৃত্যু নিয়ে জীবনানন্দ দাশ লিখেছেন।বিনয় মজুমদার তার ব্যাখ্যায় মৃত্যু পরবর্তী আকাশে বিনয়তারা হয়ে থাকলে পারলে ঈশ্বরের কাছে দ্রুত মৃত্যু কামনা করেছেন। শাহীন রেজা মৃত্যুর পর প্রতিপালকের পর যাঁর নাম উচ্চারণ করতে চান তিনি তাঁর আম্মা। মাটিতে মিশে যাওয়া, ছাই হয়ে যাওয়া সব কিছুতেই একটা প্রাণ আছে। এই প্রাণটাই কবিতা। লক্ষ্য করলে দেখা যাবে, হাজার হাজার বছরের কবিতার বিষয় একই। শুধু জেনারেশন টু জেনারেশন কবিতার প্যাটার্ন পাল্টে গেছে বিষয় ঠিক রেখে। বিনয় মজুমদার যে কবিতার রেফারেন্স দিয়েছেন, প্রাণ থেকে প্রাণ জন্মে/ জানি এই কথা / মাটি থেকে জন্মে দেখি লজ্জাবতী লতা… সেখানে কবি শাহীন রেজা ‘ আমি ও আমার বৃক্ষে’ লিখছেন
” আমি বৃক্ষের পত্রালি থেকে গ্রহণ করি
জীবনের নির্যাস,
কান্ড থেকে সাহসের বীজ এবং
শিকড় থেকে নিজের অতীত”।
আধুনিক কবিতার এই যে সাহসী উচ্চারণ তা কত হাজার বছর আগে থেকে কবিরা স্বপ্নের বীজ বুনেছেন তা ভাবলেই অবাক হতে হয়। যখন যে কবির কলমের ডগায় বৃক্ষ, মৃত্যু, প্রাণ এসেছে তখনই সেই কবি তাঁর নিজস্ব রঙতুলিতে তা এঁকেছেন।
জীবনানন্দ দাশ বরিশাল থেকে জীবন নেন। বরিশালের কবিদের কবিতা পাঠ করলেই একটা অন্যরকম আবহ, অন্যরকম ঘোরের মধ্যে দিয়ে ক্রমাগত সামনের দিকে এগিয়ে যেতে হয়। কবি শাহীন রেজা বৃহত্তর বরিশালের। তাঁর কবিতার মধ্যে জীবনানন্দ দাশের ঘোর আছে। জীবনানন্দ দাশ কে নিয়ে কবি বিনয় মজুমদার দারুণ একটা উক্তি করেছেন। সেটা আমাদের জেনে রাখা দরকার, ” আমাদের সময় শক্তির কবিতা জীবনানন্দ আক্রান্ত ছিল সবচেয়ে বেশি, একথা বলা হয়।আমার ‘ ফিরে এসো চাকায়’ও এই প্রভাবের কথা কেউ কেউ বলেন।তবে আমার মনে হয় তা খারাপ নয়। অগ্রজকে অস্বীকার করে কিছুই সম্ভব নয়।আর ধর্মগ্রন্থে আছে যে,কে কত বড় গুরু তার বিচার হয় শিষ্যদের দিয়ে।এই প্রভাব তো তবে আনন্দের। আমি প্রথমে জীবনানন্দের ভাষা নকল করে কবিতা লিখতে চাইলাম। যেরকম কবিতা ‘স্বাধীনতা ‘ পত্রিকায় পূজা সংখ্যায় প্রকাশিতও হয়েছিল। তার একটির শেষ লাইনটি এরকম-‘ পৃথিবীর ডাকে আজ কন্যারা জাগেনা’। পরে অবশ্য আমি জীবনানন্দ প্রভাব ছাড়িয়ে অন্যরকমভাবে লিখতে চাইলাম।আসলে,পৃথিবীর যাঁরা বন্দিত কবি তাঁদের বিরোধিতা করে কিছু লেখা সম্ভব নয়।জীবনানন্দ, এরূপ বন্দিত কবিদের একজন”। ( ধূসর জীবনানন্দ। পৃষ্ঠা ৩৯)। কবি বিনয় মজুমদার জীবনানন্দ দাশ এর প্রসঙ্গে যে কথাটি বলেছেন সেই ঘোরের মধ্যে দিয়ে বাংলা কবিতা সামনের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। আধুনিক কবিতার তরুণ লিখিয়ে শুরুতেই প্রভাবিত হয়ে যান, তারপর ধীরে ধীরে প্রভাব থেকে বেরিয়ে নিজের পথ তৈরি করেন।
কবি শাহীন রেজা আশির দশকের কবি। অর্থাৎ দীর্ঘ একটি সময় তিনি কবিতার রাজপথে হেঁটে চলেছেন। তিনি নিজস্ব পথ নির্মাণে এগিয়ে যাবেন এটাই স্বাভাবিক। সম্প্রতি পঞ্চাশের কবি ফজল শাহাবুদ্দীন এর একটি গদ্য পাঠ করলাম শাহীন রেজা কে নিয়ে। ” শাহীন রেজা, আমার সতীর্থ “…. শিরোনামে গদ্যের একজায়গায় কবি ফজল শাহাবুদ্দীন লিখেছেন, ” এতোদিন শাহীনের যেসব কবিতা পড়ে আসছি এ কবিতা তার থেকে সম্পূর্ণ পৃথক।গঠন, প্রকৃতি ও ভাষা আলাদা এবং ছন্দ সংবদ্ধ। মনে হয়েছে আমার, শক্তি বা বিষ্ণুদের কবিতার মতো। শব্দবাণে পৃথিবী চমকাবে। এখানে ছন্দ এমন,মনে হয় সরাসরি পাঠকের চিত্তে এসে উন্মথিত হয়। কবিতাটি এমন,
“ডাকবে যদি নদীর নামে ডেকো
উর্মিমালায় জবাবটুকু পাবে
আলোর স্রোতে নামটি তোমার লিখো
শব্দবাণে পৃথিবী চমকাবে”….
কবি ফজল শাহাবুদ্দীন এর লেখাটি পাঠ করে আমি ত্রিশের বিষ্ণু দের কবিতা পাঠে আবারো মনোযোগী হলাম।কেন কবি ফজল শাহাবুদ্দীন কবি শাহীন রেজার কবিতা আলোচনা করতে যেয়ে বিষ্ণু দের কবিতার কথা বললেন।
বিষ্ণু দের কাব্যে পাশ্চাত্য ও দেশীয় ঐতিহ্যের উল্লেখ আছে। এক্ষেত্রে তিনি এলিয়ট- পাউন্ডের অনুগামী। সুধীন্দ্রনাথ দত্তের কবিতায় দেশীয় ঐতিহ্যের আধিপত্য কিন্তু বিষ্ণু দের কবিতায় দেশীয় ও বিদেশীয় ঐতিহ্য উভয়ই তুল্যমূল্য। বিষ্ণু দের কবিতা লক্ষ্য করিঃ
১.” যে প্রাচীরে উঠেছিল হেলেন,সে প্রাচীর তো ধূলিসাৎ কোনকালে ধূলায় ধূলায়।অরফিউস ফিরে গেছে বাঁচা গেছে গীতশূন্য বৈতরণীতীরে পুনরায়। পেনেলোপি লুপ্ত হল কবেকার ভূগোলের কোন ইথাকায়।”( কথকতা শিখন্ডীর গানঃ চোরাবালি)।
২.কত দূর্যোগ, কত দুর্ভোগ যায়
গঙ্গা কে কবে মেশায় রে ভলগায়
আমাদের রাত আমাদের দিন জানি
মানিনা কুহক,শুধু দুই হাতে আনি
তোমার হাতে এ অনুজের যৌবন
( আমার স্বপ্নঃ নাম রেখেছি কোমল গান্ধার)
বিষ্ণু দে ” এলোমেলো জীবন ও শিল্পসাহিত্য” প্রবন্ধে লিখেছেন, ” চিরকাল এই সত্য দেখা গেছে গোটা সমাজে যদি জীবনের কোন চেহারাই না পাওয়া যায়, তাহলে শিল্পকর্মীদের মানস খোঁজে সেই সমাজের একটা কোনো জীবন্ত অংশে জীবনদর্শনের আশ্রয়, সংহতির কেন্দ্র। সেকালে,মধ্যযুগে প্রায়ই তাই শিল্পীরা ধর্মের কেন্দ্রিকতায় সেই শিল্পাশ্রয় পেয়েছেন, না হলে পেতে হয়েছে লৌকিক জীবনযাত্রায়, গ্রামীণ জীবনে অথবা সেই শ্রেণির দিনরাত্রিতে,যার হাতে সমাজের ভবিষ্যৎ চেহারা”। বিষ্ণু দের এই বিষয়টিকে নিয়েই ডঃ বাসন্তীকুমার মুখোপাধ্যায় তাঁর ‘আধুনিক বাংলা কবিতার রূপরেখা’ গ্রন্থে বয়ান করছেন এভাবে,” কাব্যজীবনের প্রথম পর্বে বিষ্ণু দে কবি হতে চেয়েছেন,আর শেষ পর্বে হতে চেয়েছেন জনসাধারণের কবি”( পৃষ্ঠা ৩০৭)। এইবার আমরা কবি ফজল শাহাবুদ্দীন এর উক্তির যথার্থতা খুঁজে পেলাম। কবি শাহীন রেজা জনসাধারণের কবি।
শাহীন রেজার দুটি কবিতা লক্ষ্য করিঃ
০১. এবং তখন মৃতরাত্রির শরীর থেকে হঠাৎ বিচ্ছুরিত
হতে থাকলো অলৌকিক আলোকরশ্মি,
ঘুমন্ত প্রকৃতির দেহে উজ্জীবনের বর্ণিল ধারা
এবং সকলে একত্রে জপতে থাকলো
মাটি ও মানুষ, প্রকৃতি ও আকাশ,চোর ও ধার্মিকেরা
সম্মিলিতভাবে এক অদৃশ্য মহাপ্রভুর নাম,
উচ্চারণ করতে থাকলো তাঁর করুণাগাঁথা।
(আচ্ছালাতু খয়রুম মিনান নাউম)
০২. একজন শামসুর রাহমানের কাজ যদি হয় মানুষকে স্বপ্ন দেখানো
একজন আল মাহমুদের স্বপ্ন যদি হয়
চোখের মনিতে চিরকালের দু’টি জোনাকী আঁকা
একজন ফজল শাহাবুদ্দীনের গন্তব্য যদি মগ্নতায় অস্থিরতায় চন্দ্রিমায় অমাবশ্যায় প্রিয় ভূমি বাংলাদেশ
তবে একজন তরুণ কবি শাহীন রেজা,আমার কি কাজ হবে?
আমি কি লাল পিঁপড়ের সারির মধ্যে খুঁজবো আমার গন্তব্য
নাকি হলুদ রোদের মাঝে ফিঙে চোখ নিয়ে আঁকতে থাকবো আমার ভবিষ্যৎ
( কেন ভুল পথে যাবো)
নির্বাচিত ৫০ কবিতার প্রতিটি কবিতায় একটা বিষয় আছে। তা শব্দের আদর। চর্বিত চর্বণ নেই। কবি শাহীন রেজা জলের জায়গায় জল বলেছেন, বৃষ্টির জায়গায় বৃষ্টি। ভোরের এবাদতকে মুয়াজ্জিনের আহবান ধ্বনি অকপটে বলেছেন। এটাই কবির সাহস। কবি যখন কোনো বিষয়ের সাথে আস্থা রেখে দাঁড়িয়ে যান তখন তা কাল পেরিয়ে মহাকালের পথে অগ্রসর হয়। এই কাব্যগ্রন্থের ছান্দসিক বিষয় নিয়ে বলতে হয়, কবি ছন্দজ্ঞানে দক্ষ। ছন্দ নির্ভর কবিতাগুলো অত্যন্ত সুখপাঠ্য। গদ্য কবিতা যেখানে ঘোরের মধ্যে নিয়ে যায় সেখানে ছন্দ কবিতাগুলো পাঠ পরবর্তী রেশ থেকে যায়। কাব্যের লক্ষ্য হৃদয় জয় করা।তা গদ্য প্যাটার্নে হোক আর ছান্দসিক হোক। শাহীন রেজা সে কাজটি দারুণভাবে করে চলেছেন, এটা বলাই যায়।

দয়া করে নিউজটি শেয়ার করুন

এই ক্যাটাগরীর আরো খবর

পুরাতন খবর

SatSunMonTueWedThuFri
      1
23242526272829
30      
  12345
20212223242526
2728293031  
       
15161718192021
2930     
       
     12
24252627282930
       
2930     
       
    123
       
    123
25262728   
       
     12
31      
   1234
262728    
       
  12345
2728     
       
   1234
       
     12
31      
1234567
891011121314
15161718192021
2930     
       
    123
11121314151617
       
  12345
20212223242526
27282930   
       
      1
2345678
23242526272829
3031     
      1
       
293031    
       
     12
10111213141516
       
  12345
       
2930     
       
    123
18192021222324
25262728293031
       
28293031   
       
      1
16171819202122
30      
   1234
       
14151617181920
282930    
       
     12
31      
     12
3456789
10111213141516
17181920212223
       
© All rights reserved © MKProtidin.Com
Theme Developed BY ThemesBazar.Com