মোঃ আজিজুল হক, কিশোরগঞ্জ:
কিশোরগঞ্জে গতকাল রোববার সন্ধায় হঠাৎ শুরু হয় গরম বাতাস। গরম বাতাসের সাথে গুড়ি গুড়ি বৃষ্টি। যেসব এলাকায় গরম বাতাস প্রবাহিত হয়েছে সেসব এলাকায় বোরো ধানের শিষ মরে গেছে। গতকাল সোমবার সকালে কৃষকেরা জমিতে গিয়ে ফসলের এ অবস্থা দেখে মাথায় হাত কৃষকদের। গরম বাতাসের প্রভাবে জেলার ইটনা,মিঠামইন,অষ্টগ্রাম,করিমগঞ্জ, নিকলীর হাওরের প্রায় ২৫ হাজার হেক্টর জমির ধান নষ্ট হয়েছে বলে জানা যায়।
মঙ্গলবার দুপুরে করিমগঞ্জ উপজেলার সাগলির হাওর,পুরান চামটার হাওর ও ইটনা উপজেলার তেলনির হাওরে গিয়ে দেখা যায় হাজার হাজার হেক্টর জমির ধানের শিষ গুলি মরে গেছে। স্থানীয় কৃষক মো:শাকায়েত,কৃষক কামাল হোসেন,কৃষক দুলাল,কৃষক হরমুজ আলী,কৃষক মো:আওয়াল,কৃষক মো:জামুদুল মুন্সী জানান,এবার বোরো ধানের বাম্পার ফলনের আশা করেছিলেন তারা।কিন্তু গত রোববারের গরম বাতাসে ধানের শিষ মরে যাওয়ার অনেকটাই দিশেহারা তারা। জেলা কৃষি অফিসের সূত্র জানায়,কিশোরগঞ্জ জেলায় এবছর মোট ১ লক্ষ ৬৬ হাজার ৯৫০ হেক্টর জমিতে বোরো ধানের আবাদ করা হয়েছে। যার মধ্যে ২৫ হেক্টর জমির ধান গরম বাতাসে ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
মঙ্গলবার দুপুরে ইটনা ও করিমগঞ্জ উপজেলার ক্ষতিগ্রস্থ কৃষকদের জমি পরিদর্শনে যায় জেলা কৃষকলীগের সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার হোসেন বাচ্চুর নেতৃত্বে নেতৃবৃন্দ।
জেলা কৃষক লীগের সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার হোসেন বাচ্চু বলেন, আমরা জেলা কৃষকলীগের নেতৃবৃন্দ ক্ষতিগ্রস্ত জমি গুলি দেখতে আসলাম। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের জন্য প্রণোদনার অনুরোধ জানান তিনি।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন জেলা কৃষকলীগের যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক আবুল হাশেম, সদস্য মোস্তাফিজুর রহমান কাঞ্চন, সদস্য এহসানুল হক ফারুক, সদস্য রুবেল মিয়া, সুতারপাড়া ইউপি কৃষকলীগের সভাপতি বজরুল রহমান, সাধারণ সম্পাদক জামাল উদ্দিন সোহেল প্রমুখ।
কিশোরগঞ্জ জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর উপ-পরিচালক মো. ছাইফুল আলম বলেন, কিশোরগঞ্জের ১৩ উপজেলায় প্রায় ২৫ হাজার হেক্টর বোরো জমির ধান ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তবে জরিপ শেষে চুড়ান্ত প্রতিবেদন তৈরি করে কৃষি মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হবে ।