ঢাকা রোববার, ১১ এপ্রিল, ২০২১: দেশে সাংবাদিক নিয়োগ নীতিমালা নেই বলেই জনকন্ঠ সাংবাদিকদের রক্ত ঝড়ালো বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ মফস্বল সাংবাদিক ফোরামের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক ও সাংবাদিক নির্যাতন প্রতিরোধ কমিটির সমন্বয়কারী আহমেদ আবু জাফর। তিনি এক প্রতিক্রিয়ায় বলেন, দেশ স্বাধীনতার ৫০ বছরেও সাংবাদিক নিয়োগ নীতিমালা প্রণীত হয়নি। ফলে মালিকপক্ষ দ্বারা প্রতিনিয়ত সাংবাদিক ছাটাই, চাকরীচ্যুত, নির্যাতিত, হয়রানি এবং ওয়েজবোর্ড সুবিধা বঞ্চিত হচ্ছেন। সরকারকে সাংবাদিক নিয়োগ নীতিমালা প্রণয়নের ব্যাপারে একাধিকবার বিএমএসএফের পক্ষ থেকে দাবি তুলে স্মারকলিপি প্রদান করা হলেও টনক নড়েনি। দূ:খের বিষয় হলেও সত্যি যে, সাংবাদিক সংগঠনসমুহে মালিকপক্ষের অধিক প্রতিনিধিত্ব থাকায় দাবিটি বাস্তবায়নের মুখ দেখেনি। যখন যা খুশি মালিকপক্ষ করে যাচ্ছেন। তাদের প্রয়োজনে সাংবাদিকদের খাটাচ্ছেন। গণমাধ্যমকে তারা দূর্ণীতি রক্ষায় ‘বেড়া ‘ হিসেবে ব্যবহার করছেন। এভাবে চলতে পারেনা। সরকারকে ভাবতে হবে। নয়তো গণমাধ্যম অঙ্গনে চরম বিশৃঙ্খলা দেখা দিতে পারে।
উল্লেখ্য, আজ রোববার জনকন্ঠ থেকে চাকরীচ্যুত সাংবাদিকদের ওপর উপর লেলিয়ে দেয়া গ্লোবের সন্ত্রাসীদের হামলায় অন্তত ১০ জন সাংবাদিক রক্তাক্ত হয়েছেন। বিকেলে জনকন্ঠ অফিসের সামনে এ ঘটনা ঘটে। এতে ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সহ-সভাপতি এম এ কুদ্দুস, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক খায়রুল আলম, জনকণ্ঠের ডেপুটি ইউনিট চীফ পলাশ চন্দ্র দাস, সিনিয়র সাংবাদিক ফিরোজ মান্না, ওয়াজেদ হিরা ও সাজুসহ ১০ জন। আহতদের মধ্যে অনেকে ঢাকার মগবাজারের কমিউনিটি হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন বলে প্রাথমিক ভাবে জানাগেছে।
সম্প্রতি জনকন্ঠ থেকে দেশে তাৎক্ষনিক নোটিশে বেশ ক’জন সাংবাদিককে চাকরীচ্যুত করেন কর্তৃপক্ষ। একটি প্রথমসারির গণমাধ্যমে এমন আচরণে সারাদেশের সাংবাদিকদের মাঝে ক্ষোভ ও চরম অসন্তোষ সৃষ্টি হচ্ছে। জনকন্ঠের মালিকের স্ত্রী পত্রিকাটির সম্পাদক ও প্রকাশক শামীমা এ খানের ঈন্ধনে এমন পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে জানা গেছে।