লিয়াকত রাজশাহী:
রাজশাহী বিভাগীয় কমিশনার ড. মো. হুমায়ুন কবীর বলেছেন, রাজশাহীতে করোনা চিকিৎসা সেবাকে আরো উন্নত করার জন্য সর্বোচ্চ চেষ্টা অব্যাহত আছে। রাজশাহীতে চিকিৎসার অভাবে আর কেউ মারা যাচ্ছে না। রোগীদের চিকিৎসা দিয়ে ভালো করতে চিকিৎসকরা কঠোর পরিশ্রম করে যাচ্ছেন । এসব চিকিৎসা করতে গিয়ে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের কিছু ইয়াং চিকিৎসকও মারা গেছে।
তিনি মঙ্গলবার দুপুরে বিভাগীয় কমিশনারের সম্মেলন কক্ষে মুজিব শতবর্ষ উপলক্ষে কোভিড-১৯ এ আক্রান্ত জনগণকে চিকিৎসা সেবা প্রদানের জন্য নর্থ- ওয়েস্ট পাওয়ার জেনারেশন কোম্পানী লিমিটেড কর্তৃক রাজশাহী রাজশাহী বিভাগে পাঁচটি হাই ফ্লো ন্যাজাল ক্যানুলা অক্সিজেন থেরাপি ডিভাইস হস্তান্তর অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় একথা বলেন।
তিনি আরও জানান, গতকাল নর্থ-ওয়েস্ট পাওয়ার জেনারেশন কোম্পানী লিমিটেড রাজশাহী বিভাগে পাঁচটি High Flow Nasal Cannula Oxygen Therapy Device দিয়েছে। যার মধ্যে তিনটি রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ও দুইটি বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে হস্তান্তর করবো। এছাড়াও আমরা শীঘ্রই আরো কিছু ইকুইপমেন্ট সেখানে দিব।
তিনি আরো বলেন, সরকার করোনা সেবাকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে দেখছেন এবং জনগণকে সচেতন থাকতে নানান উদ্যোগ গ্রহণ করেছেন। আমরা রাজশাহীতে করোনার চিকিৎসাকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিচ্ছি। এজন্য ঢাকায় কথা বলা হয়েছে।
করোনায় সচেতনতায় শুধু সরকার কে গুরুত্ব দিলে হবে না। এজন্য জনগণকে সচেতন হতে হবে। নিজেদের নৈতিকতার জায়গা হতে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে। জনগণকে নিজেদের জায়গা হতে সচেতন হয়ে এই করোনা নামক অদৃশ্য শক্তির বিরুদ্ধে সম্মিলিতভাবে লড়াই করতে হবে বলে জানান বিভাগীয় কমিশনার ড মোঃ হুমায়ুন কবির।
পরে রাজশাহী জেলা প্রশাসক আব্দুল জলিল ও রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো: জামিলুর রহমান রামেক হাসপাতালের জন্য তিনটি ও বগুড়া শহিদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসাপালের জন্য বগুড়া জেলা অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মো: আব্দুল মালেক দুইটি হাই ফ্লো ন্যাজাল ক্যানুলা অক্সিজেন থেরাপি ডিভাইস (এইচএফএনসি) রাজশাহী বিভাগীর কমিশনার ড মোঃ হুমায়ুন কবীর এর নিকট হতে গ্রহণ করেন।
এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন, অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার (রাজস্ব) (যুগ্মসচিব) ড. মোঃ আব্দুল মান্নান, অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার (উন্নয়ন ও আইসিটি) (যুগ্মসচিব) এ.এন.এম মঈনুল ইসলাম, স্থানীয় সরকার পরিচালক মোঃ জিয়াউল হকপ্রমুখ।