নাসরিন পারভীন মিমি:
কক্সবাজার শহরের মোহাজের পাড়া এলাকায় নিজ স্ত্রী কে শারীরিক নির্যাতনের ঘটনায় ছালামত উল্লাহ (৩০) নামে এক ব্যাক্তির বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে।
জানাযায়, পারভীন আক্তার নামের এক মেয়ের সাথে দীর্ঘদিনের সম্পর্কের পর ৩ বছর আগে ইসলামিক শরীয়ত মোতাবক অভিযুক্ত ছালামত উল্লাহর নামে বিয়ে হয় যদিও দুই পরিবার তাদের সম্পর্ক ও বিবাহ মেনে না নেয়ার ফলে পারভীন আক্তারের সাথে শহরের অন্যত্রে ৩ বছর আগে সংসার শুরু করে ছালামত উল্লাহ।
তবে বিয়ের পর বছর যেতেই বাদে এক বিপত্তি। অজ্ঞাত এক কারনে পারভীন আক্তার কে সর্বদা এড়িয়ে যেতে থাকে স্বামী ছালামত উল্লাহ। যার ফলে দীর্ঘদিনের সংসারে পারভীন আক্তার বিয়ের এক বছর পর সন্তানসম্ভবা হলে স্বামী ছালামত উল্লাহর বিভিন্ন অজুহাতে ডাক্তারের সাহায্য বাচ্চা নষ্ট করতে বাধ্য হয় এমনকি বাচ্চা নষ্ট না করলে পারভীন আক্তারের সাথে সংসার করবেনা বলেও হুমকি প্রদান করে।
পারভীন আক্তার জানায়, তাদের সংসারে প্রায় সময় দুইজনের মনোমালিন্য হত আর পারভীন আক্তারকে শারীরিক নির্যাতন করত। এছাড়া তার স্বামী তার পরিবারের সাথে যোগসাজশ করতে থাকে যার ফলে পারভীন আক্তার জানতে পারে স্বামী ছালামত উল্লাহ তার স্ত্রী কে না জানিয়ে ২য় আরেকটি বিয়ে করে। যা ১ম স্ত্রী থেকে কোনো অনুমতি নেয়নি। খবর পেয়ে পারভীন আক্তার গত ১৫ তারিখ সকাল ১০ টায় তার শ্বশুরবাড়ি গেলে তার স্বামী ছালামত উল্লাহ ও শ্বশুরবাড়ির লোকজন ক্ষিপ্ত হয়ে পারভীন আক্তার কে বেধড়কভাবে শারীরিক নির্যাতন করে যার ফলে পারভীন আক্তার বিভিন্ন আঘাতে সেখানে অজ্ঞান হয়ে পড়ে যায় পরে আশেপাশের প্রতিবেশীরা ৯৯৯ নম্বরে কল দিয়ে প্রশাসনের সাহায্য চাইলে তখন তাৎক্ষণিক সদর থানার পুলিশের একটি টিম এসে পারভীন আক্তারকে উদ্ধার করে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে ভর্তি করায়।
এই ঘটনায় পারভীন আক্তার তার স্বামী ছালামত উল্লাহসহ ৫ জন কে আসামী করে সদর থানায় একটি নারী নির্যাতনের অভিযোগ দায়ের করে।
এই ব্যাপারে সদর থানার ওসির কাছে সাংবাদিকরা জানতে চাইলে সে বলে আমরা একটি অভিযোগ পেয়েছি সেটি তদন্তের ভিত্তিতে অপরাধীদের আইনের আওতায় আনা হবে।