ঢাকা বুধবার ২১ এপ্রিল ২০২১: ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলার তদন্তে সত্যতার আগে যেন কোন সাংবাদিককে গ্রেফতার করা যাবেনা। এমনটি দাবি করেন বাংলাদেশ মফস্বল সাংবাদিক ফোরামের সাধারণ সম্পাদক আহমেদ আবু জাফর। তিনি এক প্রতিক্রিয়ায় বলেন, ডিজিটাল আইনের মামলাগুলোর তদন্তে মিথ্যা ও বিচারে বেশিরভাগ সাংবাদিক বেকসুর খালাস হচ্ছেন। তবে প্রাথমিক পর্যায়ে পুলিশ অধিকাংশ মামলায় সাংবাদিকদের গ্রেফতার করে হয়রাণী করা হচ্ছে।
ডিজিটাল আইনটি সাংবাদিকদের গলার কাটা হয়ে দাঁড়য়েছে। সাংবাদিকরাতো সংবাদ লেখবেই। সংবাদের কারনে কেন তারা মামলায় আসামী হবেন? সংবাদকি পত্রিকার কাটতি বাড়ানোর জন্য নাকি রাষ্ট্রীয় স্বার্থে করা হয়ে থাকে?
গতকাল ২০ এপ্রিল খুলনা মেয়রের দায়েরকৃত ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায় এনটিভির প্রতিনিধি আবু তৈয়বকে গ্রেফতার করে পুলিশ। মামলাটি তদন্তের আগে সাংবাদিককে গ্রেফতারের তীব্র প্রতিবাদ জানানো হয়।
এভাবে প্রতিনিয়ত বিভিন্নজনে মামলা-হামলার যাতাকলে সাংবাদিকদের হয়রাণী ও হেনস্থার অপচেষ্টা চালায়। সম্প্রতি রাজবাড়ি জেলার গোয়ালন্দে যুগান্তর প্রতিনিধি শামিম শেখের বিরুদ্ধে স্থানীয় এক চেয়ারম্যান মিথ্যা রটনা সাজিয়ে হেনস্থার চেষ্টা চালায়। এভাবে প্রতিনিয়ত সাংবাদিকদের ইমেজ সংকট তৈরীতে বানোয়াট, মিথ্যা রটনা সাজিয়ে প্রোপাগান্ডা ছড়িয়ে যাচ্ছেন। এসকল অপশক্তির বিরুদ্ধে বিএমএসএফের পক্ষ থেকর গোটা দেশের সাংবাদিকদের ঐক্যবদ্ধ থাকারও আহবান জানানো হয়।