নাসরিন পারভীন মিমি ঃটেকনাফ উপজেলার হ্নীলা ইউনিয়নের এক আলোচিত সমালোচিত হোসাইন মেম্বার। অত্র ইউনিয়নের ৪ নং ওয়ার্ডের মেম্বার হোসাইন আহম্মদ যেন মিয়ানমার নাগরিক রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীকে বাংলাদেশের ভোটার তালিকাভুক্ত করার কারিগর। হোসাইন আহম্মদ মেম্বার লাখ লাখ টাকার বিনিময়ে মিয়ানমার নাগরিকদের ভোটার করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে। জনপ্রতিনিধির মুখোশের আড়ালে বেড়িয়ে আসছে থলের বিড়াল।
গোপন সুত্রে,যানা যায় মোঃ কামালসহ তার আরো বেশ কয়েকজন নিকট আত্মীয় পূর্বে মিয়ানমারের নাগরিক ছিলেন।
এছাড়া সে রোহিঙ্গা ইয়াবা গডফাদার কামালসহ অহরহ রোহিঙ্গাকে এনআইডি করে দেয়ার অভিযোগও উঠেছে।
তাছাড়া সোস্যাল মিডিয়ায় এনআইডি করার বিষয়ে তার এলাকার সচেতন যুবকরা বিভিন্ন স্ট্যাটাস ও ভিডিও বার্তার মাধ্যমে প্রতিবাদ করতেও দেখা গেছে।
এছাড়া ১৭ সালে হোসাইন মেম্বারসহ তার পরিবার ১০ হাজার পিচ ইয়াবা নিয়ে গ্রেফতার হয়েছিল।
তার বাসায় রোহিঙ্গাদের আনাগোনা সর্বদা দেখা যাই বলে এলাকাবাসী অভিযোগ করে এবং তাকে ফুলের মালা দিয়ে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন কাজে রোহিঙ্গারা বরণ করতেও দেখা গেছে।
কামাল হ্নীলা দারুস সূন্নাহ মাদ্রাসায় পড়ার সময় হ্নীলার মৌলানা ছৈয়দকে পিতা বানিয়ে বাংলাদেশ নাগরিক সেজেছে এতদিন। এমন সুযোগকে কাজে লাগিয়ে কৌশলি কামালের পিতা- মাতা ভাই-বোন সহ বাংলাদেশে চলে আসে। অর্থাৎ টেকনাফ উপজেলার হ্নীলা ইউনিয়নের পানখালী গ্রামে চলে আসেন।
হ্নীলা ইউনিয়ন পরিষদের ৪নং ওয়ার্ডের মেম্বার হোসাইন আহম্মদ কামাল ও তার পিতা মাতাকে ভোটার করে নিয়েছেন মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে। বর্তমানে কামালের পিতা বাংলাদেশী পাসপোর্ট নিয়ে সৌদি আরবে আছেন। কামাল কিভাবে
বাংলাদেশের ভোটার হয়েছে জানতে চাইলে কামালের মুঠোফোন নাম্বারে যোগাযোগ করলে কামাল জানান বাংলাদেশের নাগরিক হিসাবে ভোটার হয়েছে বলে দাবী করেন। তার দাদা, বাপ- চাচারা কি জন্মসূত্রে বাংলাদেশের নাগরিক নাকি মিয়ানমারের? এমন প্রশ্ন করলে ফোন কেটে দেয়।
এর পর অনেকবার চেষ্টা করেও কামালের সাথে আর যোগাযোগ করা যায়নি।
এছাড়া হোসাইন আহম্মদ মেম্বার মিয়ানমার বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী ইউনিয়নের মেম্বার হওয়ার সুবাদে মিয়ানমারের বিভিন্ন মাদক কারবারি, রোহিঙ্গা জঙ্গী এবং ধনীদের সাথে সখ্যতা গড়ে তুলতে সক্ষম হয় যার নেপথ্য ছিল রোহিঙ্গা কামাল।
এই রোহিঙ্গা কামাল কক্সবাজারস্থ সরকারি কলেজের পেছনের হাফেজ ছালাহুলের সংগঠনের একজন সক্রিয় সদস্য বলে জানা গেছে। হাফেজ ছালাহুলদের রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীকে সহায়তা প্রদান করার একটি সংস্থা আছে। বিভিন্ন সময় এই সংস্থাটি বিভিন্ন নামে তাদের কর্মকাণ্ড পরিচালনা করে যায়। হাফেজ ছালাহুলের এই সংস্থাটির বিভিন্ন সময় বিতর্কিত কর্মকান্ডের জন্য বাংলাদেশের আইনপ্রয়োগকারী সংস্থার সদস্যদের হাতে গ্রেফতার হয়েছিল। হোসাইন আহম্মদ মেম্বার এই সংস্থারও বেনামি অন্যতম সুবিধা ভোগী সূত্রে প্রকাশ। এদিকে হোসাইন আহম্মদ মেম্বার অন্য যে, সমস্ত রোহিঙ্গাদের ভোটার করেছে তাদের মাধ্যমে ইয়াবা কারবার চালাচ্ছে তাদের সম্পর্কে জোর অনুসন্ধান চালিয়ে যাচ্ছে। অপর দিকে যে রোহিঙ্গা জঙ্গী বার্মাইয়া মৌলভী শমশুকে হোসাইন আহম্মদ মেম্বার ভোটার করিয়েছিলেন সেই রোহিঙ্গা মৌলভী সমশু টেকনাফ মডেল থানার তৎকালীন ওসি (বহিষ্কৃত) প্রদীপের ভয়ে হ্নীলার ঘরবাড়ি বিক্রি করে বর্তমানে কক্সবাজার শহরে বসবাস করছে বলে সূত্র জানিয়েছেন।
সাম্প্রতিক হোসাইন মেম্বার ও রোহিঙ্গা কামালের বিরুদ্ধে এই নিয়ে আলোকিত উখিয়া,বাংলা পত্রিকা ২৪,উখিয়া নিউজসহ বেশ কয়েকটি পত্রিকায় শিরোনাম হয়েছে।
এই বিষয়ে হোসাইন মেম্বারের সাথে মোবাইলে যোগাযোগ করে তার বিষয়ে জানতে চাইলে সে, বলে অভিযোগ যদিও বা সত্য তাহলে সেটা আইনের মানুষ দেখবে বলে সাংবাদিকের উপর ক্ষিপ্ত হয়।