মো.লিটন মাহমুদঃ মুন্সীগঞ্জ সদর উপজেলা বাংলাবাজার ইউনিয়নে কালিরচর এলাকার দু’টি হত্যা মামলার আসামি মিজি কে গ্রেফতারের পর ইনস্পেক্টর (অপারেশন) হানিফসহ অভিযানকারী পুলিশের ওপর হামলা করে হ্যান্ডকাফসহ আসামিকে ছিনিয়ে নিয়েছে স্থানীয়রা গ্রামবাসী। রোববার ভোরে এ ঘটনার পর পুলিশ এলাকায় অভিযান চালিয়ে স্থানীয় ইউপি মেম্বার বাচ্চু মিয়া ও তিন নারীসহ ১৯ জনকে গ্রেফতার করেছে।
এ দিকে পুলিশের ওপর হামলা ও আসামি ছিনতাইয়ের ঘটনায় সদর থানায় একটি মামলা দায়ের করেছে পুলিশ। বিষয়টি নিশ্চিত করেছে সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আবু বকর ছিদ্দিক।
ওসি জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে রোববার ভোরে অভিযান চালিয়ে হত্যা মামলার আসামি মিজিকে গ্রেফতার করা হয়। এ সময় স্থানীয় লোকজন পুলিশের ওপর হামলায় চালিয়ে হ্যান্ডকাপসহ মিজিকে ছিনিয়ে নেয়। পরে ১০০ পুলিশ নিয়ে চিরুনি অভিযান চালিয়ে ১৯ জনকে গ্রেফতার করা হয়।
তিনি জানান, স্থানীয়দের হামলায় আটজন পুলিশ আহত হয়েছে। আহতদের মধ্যে এসআই আব্দুল আজিজ, এএসআই সঞ্জয় কুমার সহা ও এএসআই কামাল উদ্দিন রয়েছেন।
এদিকে, আহত সদর থানার (ওসি)অপারেশন শেখ মো. আবু হানিফ বলেন, ভোর রাতে ডাকাত ধরার অভিযান পরিচালনা করি। এ সময় দুই হত্যা মামলার আসামি কে গ্রেফতার করি। তার স্হানীয় এলাকাবাসী আমাদের উপর হামলা চালায়।আমি সহ কয়েক জন পুলিশ সদস্য আহত হয়েছে। আমার মাথায় তিনটি সিলি পরেছে।
এ দিকে গ্রেফতারদের মধ্যে রুজিনা বেগম (৩০) একজন। যার দু’টি শিশু সন্তান রয়েছে। অপর দিকে ঢাকা থেকে ঈদে বাড়িতে এসে গ্রেফতার হয়েছেন বিউটি বেগম (৫৫) ও রুনা বেগম (৪৫)। আসামি ছিনতাই বা পুলিশের ওপর হামলার সাথে তারা জড়িত নয় বলে দাবি করেছেন। নিরীহ নারীদেরকে গ্রেফতার করায় রোববার সকাল থেকে থানার সামনে কালিরচরের অনেক নারী ও শিশু জড়ো হয়েছে।
এ বিষয়ে মুন্সীগঞ্জ সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো: আবু বকর ছিদ্দিক বলেন, ইনস্পেক্টরসহ বেশ কিছু পুলিশ কর্মকর্তা ও সদস্য আহত হয়েছে। পুলিশের ওপর আক্রামণ করে হ্যান্ডকাফসহ হত্যা মামলার আসামি ছিনতাই করা হয়েছে। এ ঘটনায় ১৯ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। আদালতের মাধ্যমে তাদেরকে কারাগারে পাঠানোর প্রক্রিয়া চলছে।