মোঃ সালাউদ্দিন রুবেলঃপটুয়াখালী জেলায় ঘূর্ণিঝড় ইয়াস এর প্রভাবে নদ-নদীতে স্বাভাবিকের চেয়ে পানির উচ্চতা বৃদ্ধি পেয়েছে। সারাদিন গুড়ি গুড়ি বৃষ্টি ও ঝড়ো হাওয়ার কারণে সকাল থেকে জোয়ারে পৌর ড্রেনের মাধ্যমে নদ-নদীর পানি শহর বা রাস্তায় ঢুকে পড়ছে এবং অনেক এলাকা প্লাবিত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। তাছাড়া ঘূর্ণিঝড় ইয়াস ও ভরা পূর্ণিমার জোয়ারের পানিতে পটুয়াখালী শহরের লঞ্চঘাট, চকবাজার, ও পুরান বাজার সহ অনেক এলাকা প্লাবিত।
বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর এর বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে : চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মংলা ও পায়রা সমুদ্র বন্দর সমূহকে তিন নম্বর দূরবর্তী স্থানীয় হুঁশিয়ারি সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।
এদিকে পটুয়াখালী শহরের জেলা পরিষদ এলাকায় শহররক্ষা বাঁধের ভাঙ্গা অংশ দিয়ে শহরে পানি প্লাবিত হওয়ার আশঙ্কায় ওই এলাকার অনেক সাধারন মানুষ আতঙ্কে রয়েছেন। নদ- নদী ও জোয়ারের পানি অত্যাধিক বৃদ্ধি পাওয়ায় পৌরবাসী বা শহরের অনেক রাস্তাঘাট প্লাবিত হওয়ার সম্ভাবনা আছে।
তাছাড়া কলাপাড়া উপজেলার লালুয়ার ভাঙ্গা ভেরি বাদ দিয়ে জোয়ারের পানি প্রবেশ করে প্রায় ০৯ টি গ্রাম পুরোপুরি প্লাবিত হয়েছে এতে করে অত্র এলাকার অনেক মানুষ সহ প্রায় আট হাজার মানুষ পানিবন্দি অবস্থায় রয়েছেন ও তাদের দুর্ভোগের অন্ত নেই। ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের প্রভাবে ভেঙ্গে যাচ্ছে আউলিয়াপুর বেরিবাঁধ। এছাড়াও কলাপাড়া বা গলাচিপা উপজেলার যেমন রাঙ্গাবালী, চরবিশ্বাস, চর কাজল, ও আন্ডারচর সহ অনেক গ্রামের মানুষ এখন পানি বন্দী অবস্থায় রয়েছেন।
পানি উন্নয়ন বোর্ড -পটুয়াখালীর-নির্বাহী প্রকৌশলী, মোঃ হালিম সালেহীন বলেন, সকাল সাড়ে দশটায় বিপদসীমার ১৮ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে পানি প্লাবিত হয়েছে। আমরা খোঁজখবর রাখছি। কলাপাড়ায় ভাঙ্গা বেরিবাঁধ দিয়ে কিছু এলাকা প্লাবিত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। পটুয়াখালী জেলা পরিষদ এলাকায়ও বেরিবাঁধ পর্যবেক্ষণে আমাদের লোক পাঠানো হয়েছে।
তাছাড়া পটুয়াখালীর জেলা প্রশাসক মোঃ মতিউল ইসলাম চৌধুরী বলেন,
আসন্ন ইয়াস ঘূর্ণিঝড় মোকাবেলায় ইতিমধ্যে জেলার ৮০৩ টি আশ্রয় কেন্দ্র প্রস্তুত রাখা হয়েছে। দুর্যোগকালীন ও পরবর্তী সময়ের জন্য পর্যাপ্ত শুকনা খাবার, পানি, স্যালাইন, ওষুধ ও গো-খাদ্য মজুদ রাখা হয়েছে। ৯৩ টি মেডিকেল টিম সহ নৌবাহিনী, কোস্টগার্ড, আনসার, রেড- ক্রিসেন্ট, স্বেচ্ছাসেবক দল ও সেনা বাহিনীকে প্রস্তুত রাখা হয়েছে। দুর্যোগ মোকাবেলায় সার্বিক সমন্বয় এর জন্য ইতিমধ্যে জেলা নিয়ন্ত্রণ কক্ষ খোলা হয়েছে। ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের মোকাবেলার জন্য জেলা নিয়ন্ত্রণ কক্ষ ২৪ ঘন্টাই খোলা থাকবে।