কেরামত ভাই ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি ও একই বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী রেজিস্ট্রার হিসেবে কর্মরত থাকা অবস্থায় গত ১৭.০৫.২০২১ তারিখে না ফেরার দেশে চলে গেছেন।
তিনি হয়তো মাসে প্রায় ৫০০০০ টাকার মতো বেতন পেতেন। তা দিয়ে সংসার চলতো। আর কখনো বেতন
পাবেন না। তাঁর সহধর্মিণী কোন বাজেটে চলবেন! মেধাবী দুই সন্তানকে কিভাবে পড়াশোনা করাবেন!
আমি বাজেট বা অর্থনীতিকে সহজভাবে দেখি। তাই,
কেরামত ভাইয়ের সহধর্মিণীর বিশ্ববিদ্যালয়ের থেকে
অতি দ্রুত পারিবারিক পেনশন বা অন্যান্য আর্থিক সুবিধাদি দ্রুত পাওয়ার বিকল্প নেই। অত্যন্ত দুঃসময়ে
কেরামত ভাই ছাত্রলীগ করেছেন। তাঁর সহধর্মিণী মাস্টার্স পাস, যোগ্যতার বিবেচনায় ইবি’তে একটি চাকরি পাওয়ার দাবী রাখেন। ইবি’র সাবেক ও বর্তমান ছাত্রলীগ এবং তার শুভাকাঙ্ক্ষীরা মিলে আলোচিত আর্থিক ফান্ড দ্রুত বাস্তবায়ন করতে পারে।
গত ২৯.০৫.২০২১ তারিখে ঝিনাইদহ গিয়ে কেরামত ভাইয়ের কবর জিয়ারত করে আসলাম। তাঁর পরিবারের সদস্যদের সাহস যুগিয়ে আসলাম। দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করে আসলাম আমরাও পরিবারের পাশে আছি। কেন আছি? কৈশোরকাল থেকে ইবি দেখে আসছি -ইবির ছাত্রলীগ পরিবারকে আপন মনে করি। আমার সহোদর Afsar Ali ভাইয়ের রক্ত এতবেশি ঝরেছে তা এখন বুঝি। তাই, আমার ফেসবুকে ইবি সংশ্লিষ্টদের (একজন বাদে যিনি ইবির ছাত্রজীবনে বঙ্গবন্ধুর আদর্শে বিশ্বাসী না হয়েও হাইব্রিড হিসেবে ইবি’তে সদ্য একটি পদে আসীন হয়েছেন) কেরামত ভাইয়ের পরিবারের জন্য আলোচ্য বিষয়ে সহযোগিতা প্রত্যাশা করছি।
সূত্রঃ বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের উপসচিব আলমগীরের ফেসবুক থেকে।