উত্তরায় বিটিভি’র ভ‚য়া সাংবাদিক হিসেবে পরিচয়দানকারী বাটপারকে বলছি, সব মাত্রা ছাড়িয়েও কী নিজের অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখতে পারবে? গন্ডমূর্খ বখাটে তুমি নিজেও জানো না পুলিশ রেকর্ডে তুমি পেশাদার দাগী অপরাধী হিসেবে চিহ্নিত। নারী বাণিজ্য, টার্গেটকৃত মানুষ অপহরণপূর্বক মুক্তিপণ আদায়, আপত্তিকর ছবি ও ভিডিওগ্রাফীর সাহায্যে ধনাঢ্যদের বø্যাকমেইল করা ছাড়াও অভিনব প্রতারণার মাধ্যমে টাকা পয়সা হাতিয়ে নেয়াটাই তোমার পেশা। বউ সাজিয়ে এ পর্যন্ত কয়জন মেয়ের সর্বনাশ ঘটিয়েছো; তাদের অডিও বক্তব্যও আমার হাতে। আরো কিছু শুনতে চাও? বৃহত্তর উত্তরায় ইয়াবা সরবরাহ কর্মকান্ড তদারকিসহ পাইকার ব্যবসায়িদের শেল্টারদাতা হিসেবে মাদক নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের সর্বশেষ তালিকাতেও তোমার নাম অন্তর্ভুক্ত।
এতসব অপরাধ গুণাবলীর সীলমোহর থাকার পরও ‘সাংবাদিক’ পরিচয়ে আত্মরক্ষার দিন শেষ। সাংবাদিক পরিচয়ধারী ব্যক্তিকে মিনিমাম পড়াশুনা জানতে হয়, নিজে লেখার যোগ্যতা থাকাও বাধ্যতামূলক। অথচ আফসোস্, প্রাইমারীর গন্ডিটা পর্যন্ত পেরোনো সম্ভব হয়নি তোমার। প্রতারণার আরেক শিরোমণি ‘ঘড়ির মেকার মার্কা’র সাংবাদিককে সঙ্গী বানিয়ে বড়জোর রেললাইনের গাঁজার আসর পর্যন্তই যেতে পারবে। উত্তরার নিরেট ভদ্রলোক সাংবাদিকদের জন্য তোমরা যে কত বড় আপদ তা বুঝার ক্ষমতা থাকলে অনেক আগেই লজ্জায় এলাকা ছেড়ে বহুদূর চলে যেতে। জেনে রাখো, পেশাদার জাত সাংবাদিকরা প্রয়োজনীয় তথ্য উপাত্ত ছাড়া কখনো কোনো প্রতিবেদনে হাত দেয় না। পাঁচ হাজারেরও বেশি লীড ও ব্যাক লীড রিপোর্টের মধ্যেই তার প্রমাণ রয়েছে।
তথ্যঃ বাংলাদেশ প্রতিদিন পত্রিকার ক্রাইম ইনভেস্টিগেশন সেল ইনচার্জ সাইদুর রহমান রিমন।