মহানগর গোয়েন্দা (উত্তর) বিভাগের অভিযানঃ মারধর করে আটকে রেখে মুক্তিপণ আদায়ের অভিযোগে গ্রেফতার ০৩
বাদী মোঃ মনজুর আলম ১১ জুন, ২০২১ খ্রী বাকলিয়া থানায় হাজির হয়ে অভিযোগ করেন যে, গত ০৩/০৬/২০২১খ্রিঃ দুপুর ১ঃ৩০ ঘটিকায় পূর্ব পরিচয়ের সূত্র ধরে তিনি শারমিন আক্তার লিজার বাড়িতে যান। এসময় শারমিন আক্তার লিজা পূর্বপরিকল্পিতভাবে সঙ্গীয় অপরাপর সহযোগীদের সহায়তায় বাদীর হাত পা বেঁধে মারধর শুরু করে ও মুক্তিপণ হিসেবে চার লক্ষ টাকা দাবী করে। একপর্যায়ে সে নির্যাতন সহ্য করতে না পেরে সাথে থাকা ৫০,০০০ টাকা দিয়ে দেয়। কিন্তু এতেও মারধর বন্ধ না করে বিবাদীগণ জোরপূর্বক তার মানিব্যাগে থাকা ইউসিবি ব্যাংকের ক্রেডিট কার্ড ও পিন নাম্বার নিয়ে বুথ থেকে এক লক্ষ টাকা তুলে নেয়। এছাড়াও তার বিকাশে থাকা ৭০০০ টাকাও তুলে নেয়। পরবর্তীতে একটি সিএনজি করে কালা মিয়া বাজার এনে ফেলে দিয়ে চলে যায়। স্থানীয় লোকজন তখন বাদীকে উদ্ধার করে হাসপাতালে প্রেরণ করে।
উক্ত ঘটনার প্রেক্ষিতে বাদী বাকলিয়া থানায় হাজির হয়ে একটি লিখিত অভিযোগ দাখিল করে।
উক্ত ঘটনার প্রেক্ষিতে মহানগর গোয়েন্দা(উত্তর) বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার জনাব সালাম কবির, পিপিএম এর সার্বিক দিক নির্দেশনায় অতিঃ উপ-পুলিশ কমিশনার জনাব পংকজ দত্ত ও সহকারী পুলিশ কমিশনার জনাব মোঃ আরিফ হোসেনের তত্ত্বাবধানে পুলিশ পরিদর্শক জনাব মোঃ মঈনুর রহমানের নেতৃত্বে ৪ নং টিম অদ্য ১২ জুন, ২০২১ খ্রী ০৪ঃ০০ ঘটিকায় চট্টগ্রামের বাকলিয়া থানাধীন রাহাত্তারপুল এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে শারমিন আক্তার লিজাকে গ্রেফতার করেন।
পরবর্তীতে শারমিন আক্তার লিজার দেয়া তথ্য মতে বাকলিয়া থানাধীন বলিরহাট এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে উক্ত ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে রিমা আক্তার নাছিফা (২৬) ও তার স্বামী কায়সার প্রঃ হাসান কে গ্রেফতার করেন। এসময় তাদের হেফাজত মুক্তিপণের ৪৫,০০০ টাকা উদ্ধার করা হয়।
গ্রেফতারকৃত রিমা আক্তার নাছিফা (২৬) ও তার স্বামী কায়সার প্রঃ হাসান( ২৯) উক্ত ঘটনায় জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে বিজ্ঞ আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দী প্রদান করে।