মাজহারুল রাসেল : আসন্ন কোরবানির ঈদকে সামনে রেখে সোনারগাঁয়ে মোটাতাজাকরণে ব্যস্ত সময় পার করছেন গরুর খামারিরা। তবে এ বছর কোরবানির ঈদে গরুর দাম নিয়ে বেশ শঙ্কায় রয়েছেন খামারিরা। এ বছর দেশের করোনা ভাইরাসের প্রভাবে গরুর খাদ্যের দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় গরু পালনের খরচও বেড়ে গেছে। বেশি খরচে গরু পালন করলেও ঈদের বাজারে গরুগুলোর ন্যায্য দাম পাবেন কিনা তা নিয়ে বেশ দুশ্চিন্তায় রয়েছেন এখানকার খামারিরা।
জানা যায়, প্রত্যেক বছরের মতোই এই বছরেও কোরবানির ঈদকে সামনে রেখে গরু মোটাতাজাকরণ করছেন সোনারগাঁও উপজেলার খামারিরা। দীর্ঘদিন থেকে উচ্চ মূল্য দিয়ে গরুর খাদ্য কিনে খাওয়ানোর কারণে এবার গরু পালনের ব্যয় বৃদ্ধি পেয়েছে। এই ব্যয় অনুযায়ী গরুগুলোকে ঈদের সময়ে বিক্রি করতে না পারলে লোকসানে পড়তে হবে তাদেরকে।
সোনারগাঁও উপজেলা প্রাণীসম্পদ অফিসের তথ্যমতে, এই বছরে এই উপজেলায় ছোট বড় শতাধিক খামারে গরু মোটাতাজা করা হচ্ছে। এসব খামারে কোরবানির ঈদ উপলক্ষে পালন করা হচ্ছে দেশি বিদেশি প্রচুর ষাঁড় গরু। সামনের কোরবানির ঈদকে সামনে রেখে এসব খামারে গরু পরিচর্যায় ব্যস্ত সময় পার করছেন খামারিরা।
উপজেলার একটি ডেইরি খামারের মালিক নুর উদ্দিন গাজী বলেন, দেশের করোনা পরিস্থিতির মধ্যেও বেশ কষ্টে খামারের গরুগুলোকে পালন করে আসছি। এ বছর কোরবানির ঈদের জন্য ৩০টি ষাঁড় পালন করছি। তবে গরুগুলোকে পালনে খরচ আগের তুলনায় অনেক বেড়েছে। ঈদের সময়ে গরুগুলোকে ভালো দামে বিক্রি করতে না পারলে লোকসানে পড়তে হবে আমাকে।
পিরোজপুর ইউনিয়নের হাজি আলাউদ্দিনের খামারের ম্যানেজার জানান, কোরবানির ঈদে বিক্রি করার জন্য ৫০টি ষাঁড় গরু পালন করে আসছি। গরুর খাদ্যের দাম আগের তুলনায় কয়েকগুনে বেড়ে গেছে। এই ঈদে গরুগুলোকে ভালো দামে বিক্রি করার বেশি খরচ দিয়ে খাদ্য কিনে খাইয়েছি। খরচ অনুযায়ী গরুগুলোকে সঠিক দামে বাজারে বিক্রি করতে না পারলে নিশ্চিত লোকসানে পড়তে হবে। এমতাবস্থায় খামারিদের লোকসানের হাত থেকে রক্ষা করার জন্য সহজ শর্তে ঋণ ও সরকারের সহায়তা কামনা করছি।
সোনারগাঁও প্রাণীসম্পদ কর্মকর্তা মোহাম্মদ ইউসুফ হাবিব বলেন, আসন্ন কোরবানির ঈদে স্বাস্থ্যবিধি মেনে খামারিরা যাতে তাদের পালন করা গরুগুলো বিক্রি করতে পারে সেজন্য আমরা প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করেছি। এ বিষয়ে খামারিদের একটি প্রশিক্ষণও দিয়েছি আমরা। সবকিছু ঠিক থাকলে তাদের গরুগুলো ভালো দামে বিক্রি করতে পারবেন বলে আশা করছি।